জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
করোনা মহামারির প্রভাবে শেরপুরে শতাধিক কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো চালু আছে তাও চলছে ধুঁকে ধুঁকে। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর একে একে বন্ধ হতে শুরু করে কিন্ডারগার্টেনগুলো।
এসব কিন্ডারগার্টেন প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। যেসব কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে সেসব কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা অন্যত্র ভর্তি হয়েছে। আর যেসব কিন্ডারগার্টেন এখনো চালু আছে সেগুলো অর্থাভাবে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। স্কুল মালিকেরা বলছেন, করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়া ও শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারা এবং শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তারা।
জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বছর দুয়েক আগেও জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শ কিন্ডারগার্টেন ছিল। এসব কিন্ডারগার্টেনে অন্তত ৭০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। আর এসব স্কুলে কর্মসংস্থান হয়েছিল প্রায় ৬-৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর। তবে ২০২০ সালে মহামারি করোনাভাইরাস এসে বদলে দেয় পুরো চিত্রই। সরকার স্কুল বন্ধ ঘোষণার পর বেকার হয়ে পড়েন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনেকেই স্কুলের বাড়িভাড়া ও শিক্ষকদের বেতন দিতে না পেরে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ করে দেন। বন্ধ হওয়া স্কুলের শিক্ষকেরা অন্য পেশা বেছে নেন।
সরেজমিন জানা গেছে, শহরের সজবরখিলা এলাকার ওরিয়েন্টাল স্কুল, গোপালবাড়ি এলাকার এনআই মেমোরিয়াল একাডেমি, দমদমা এলাকার এইম আইডিয়াল স্কুল, মোবারকপুর এলাকার আখেরমামুদ স্কুলসহ শতাধিক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর প্রতিষ্ঠানগুলোয় চলতি বছরের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও শিক্ষার্থী ভর্তির তেমন সাড়া মেলেনি। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনেও তারা স্কুল চালাতে পারেননি। তবে নূরানী মাদ্রাসা খোলা থাকায় সে সব মাদ্রাসায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে দিয়েছেন অভিভাবকেরা। এ জন্য এখন আশানুরূপ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পাওয়া যাচ্ছে না।
শহরের দমদমা এলাকার এমএ পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রফিকুল ইসলাম আধার জানান, আমার স্কুলে প্রায় সাড়ে পাঁচ শ শিক্ষার্থী ছিল। করোনার পর স্কুল খুললেও আশানুরূপ শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। তাই অনেকে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছেন।
উত্তর গৌরীপুর মডেল স্কুলের পরিচালক শাহরিয়ার শাকির বলেন, আমাদের স্কুলের আশপাশে অন্তত ১৫টি নুরানি মাদ্রাসা রয়েছে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকলেও এসব নুরানি মাদ্রাসা খোলা থাকার কারণে স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই মাদ্রাসায় চলে গেছে। এ জন্য স্কুল খোলার পরও আমরা আশানুরূপ শিক্ষার্থী পাইনি। করোনার আগে স্কুলে সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী থাকলেও এখন মাত্র ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখন কীভাবে স্কুল চালাব সেটাই ভাবছি।
শহরের বাগরাকসা মহল্লার প্রিজম প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে স্কুল অনেকদিন বন্ধ ছিল। সে সময় অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে কর্মরত শিক্ষকরা বেকার হয়ে কেউ ইজিবাইক চালিয়েছেন, কেউবা দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন। করোনার পর এখন স্কুল খুললেও আগের মতো শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়েছে।
জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংগঠনের আওতায় ৭০টি আর জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল ছিল। এসব প্রতিষ্ঠানে ৬-৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ছিলেন। এখন অর্ধেকের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক শিক্ষক-কর্মচারীই বেকার হয়ে পড়েছেন। করোনাকালীন সময়ে টিকে থাকার জন্য আমরা সরকারের কাছে প্রণোদনা ও স্বল্পসুদে ঋণসহ বেশ কিছু দাবি পেশ করেছিলাম। কিন্তু সেগুলো না পাওয়ায় অনেক স্কুলই টিকে থাকতে পারেনি।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোমিনুর রশীদ বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর আর্থিক সংস্থানের জন্য ব্যাংকে ঋণের আবেদন করতে পারে।
করোনা মহামারির প্রভাবে শেরপুরে শতাধিক কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো চালু আছে তাও চলছে ধুঁকে ধুঁকে। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর একে একে বন্ধ হতে শুরু করে কিন্ডারগার্টেনগুলো।
এসব কিন্ডারগার্টেন প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। যেসব কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে সেসব কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা অন্যত্র ভর্তি হয়েছে। আর যেসব কিন্ডারগার্টেন এখনো চালু আছে সেগুলো অর্থাভাবে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। স্কুল মালিকেরা বলছেন, করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়া ও শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারা এবং শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তারা।
জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বছর দুয়েক আগেও জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শ কিন্ডারগার্টেন ছিল। এসব কিন্ডারগার্টেনে অন্তত ৭০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। আর এসব স্কুলে কর্মসংস্থান হয়েছিল প্রায় ৬-৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর। তবে ২০২০ সালে মহামারি করোনাভাইরাস এসে বদলে দেয় পুরো চিত্রই। সরকার স্কুল বন্ধ ঘোষণার পর বেকার হয়ে পড়েন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনেকেই স্কুলের বাড়িভাড়া ও শিক্ষকদের বেতন দিতে না পেরে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ করে দেন। বন্ধ হওয়া স্কুলের শিক্ষকেরা অন্য পেশা বেছে নেন।
সরেজমিন জানা গেছে, শহরের সজবরখিলা এলাকার ওরিয়েন্টাল স্কুল, গোপালবাড়ি এলাকার এনআই মেমোরিয়াল একাডেমি, দমদমা এলাকার এইম আইডিয়াল স্কুল, মোবারকপুর এলাকার আখেরমামুদ স্কুলসহ শতাধিক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর প্রতিষ্ঠানগুলোয় চলতি বছরের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও শিক্ষার্থী ভর্তির তেমন সাড়া মেলেনি। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনেও তারা স্কুল চালাতে পারেননি। তবে নূরানী মাদ্রাসা খোলা থাকায় সে সব মাদ্রাসায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে দিয়েছেন অভিভাবকেরা। এ জন্য এখন আশানুরূপ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পাওয়া যাচ্ছে না।
শহরের দমদমা এলাকার এমএ পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রফিকুল ইসলাম আধার জানান, আমার স্কুলে প্রায় সাড়ে পাঁচ শ শিক্ষার্থী ছিল। করোনার পর স্কুল খুললেও আশানুরূপ শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। তাই অনেকে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছেন।
উত্তর গৌরীপুর মডেল স্কুলের পরিচালক শাহরিয়ার শাকির বলেন, আমাদের স্কুলের আশপাশে অন্তত ১৫টি নুরানি মাদ্রাসা রয়েছে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকলেও এসব নুরানি মাদ্রাসা খোলা থাকার কারণে স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই মাদ্রাসায় চলে গেছে। এ জন্য স্কুল খোলার পরও আমরা আশানুরূপ শিক্ষার্থী পাইনি। করোনার আগে স্কুলে সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী থাকলেও এখন মাত্র ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখন কীভাবে স্কুল চালাব সেটাই ভাবছি।
শহরের বাগরাকসা মহল্লার প্রিজম প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে স্কুল অনেকদিন বন্ধ ছিল। সে সময় অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে কর্মরত শিক্ষকরা বেকার হয়ে কেউ ইজিবাইক চালিয়েছেন, কেউবা দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন। করোনার পর এখন স্কুল খুললেও আগের মতো শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়েছে।
জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংগঠনের আওতায় ৭০টি আর জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল ছিল। এসব প্রতিষ্ঠানে ৬-৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ছিলেন। এখন অর্ধেকের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক শিক্ষক-কর্মচারীই বেকার হয়ে পড়েছেন। করোনাকালীন সময়ে টিকে থাকার জন্য আমরা সরকারের কাছে প্রণোদনা ও স্বল্পসুদে ঋণসহ বেশ কিছু দাবি পেশ করেছিলাম। কিন্তু সেগুলো না পাওয়ায় অনেক স্কুলই টিকে থাকতে পারেনি।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোমিনুর রশীদ বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর আর্থিক সংস্থানের জন্য ব্যাংকে ঋণের আবেদন করতে পারে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে