কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভয়াবহ বন্যায় পাকা আউশ ধান দীর্ঘদিন পানির নিচে ডুবে থাকায় নষ্ট হয়ে মাটিতে মিশে তা থেকে চারা গজিয়েছে। পানি কমার পর পুরো আউশখেত পরিণত হয়েছে বীজতলায়। এদিকে আমনের জন্য তৈরি বীজতলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় চারার সংকটে পড়েছেন কৃষকেরা। তাই বাধ্য হয়ে আউশ ধান থেকে গজানো চারায় আমন চাষের চেষ্টা
মাঠে মাঠে পেকেছে আউশ। আগাম পাকা আউশ খেতে এসে বসছে ঝাঁকে ঝাঁকে বাবুই পাখি। মুহূর্তের মধ্যে ধান খেয়ে যাচ্ছে ওরা। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাঠে মাঠে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাবুই পাখি তাড়াতে নানা পন্থা অবলম্বন করছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ তপ্ত রোদে ধানখেত পাহারাও দিচ্ছেন।
মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু ও ধলাই নদের বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙনের ফলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এতে কৃষি ও মৎস্য খাতের দুটিই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর ফ
আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে। সারা দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনা মূল্যে বীজ ও সার পাবেন
কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের পাশে ব্রাহ্মণপাড়ার সাহেবাবাদ বাজার। সেখানে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার বসে আমন ধানের চারার হাট। এ হাটে চারা কিনতে আসেন আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরাও।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আউশ ধানের আবাদ কম হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া ও খরার কারণে আউশের আবাদ কম হলেও চলিত বছর ফলন ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলন ও বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় তাঁরা বেশ খুশি কৃষকেরা।
নীলফামারীর ডোমারে বিএডিসির ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের ২৪০ একর জমিতে আউশ ধানের ভিত্তি বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় সেখানে ৩৫০ মেট্রিক টন ভিত্তি আউশ ধানবীজ উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা...
আমন ধানের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আমন একটি বড় ফসল, যেখানে বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টনের মতো চাল উৎপাদন হয়। এখন রোপা আমনের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা আর না বাড়লে বীজতলা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে বন্যা দীর্ঘস্থ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি ধানের দামও ভালো পেয়ে খুশি এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এতে তাঁরা ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে আউশ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের আউশ ধানে রেকর্ড ফলন হয়েছে। ক্রপ কাটিংয়ে বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে ২৩ মণ, যা আউশ মৌসুমের অন্য যেকোনো জাতের চেয়ে অনেক বেশি। ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের সবুজ বাংলা কৃষি খামারের প্রদর্শনী প্লটে হাইব্রিড এই ধান চাষে রেকর্ড ফলন হয়
চরমনসা গ্রামের কৃষক মো. ইয়ানুর রহমান বিপ্লবের ৮ হেক্টর জমির প্রদর্শনী প্লটে ব্রি হাইব্রিড–৭ জাতের বীজ বপন করা হয়েছিল গত ৮ এপ্রিল। চারা রোপণ করা হয়েছিল ৩ মে। আর কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে গতকাল বুধবার ধান কাটা হয়েছে। জীবনকাল ছিল ১১০ দিন। হেক্টর প্রতি ধানের ফলন ৭ টন (বিঘায় ২৩ মণ)। আর চালের হিসাবে হে