মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভয়াবহ বন্যায় পাকা আউশ ধান দীর্ঘদিন পানির নিচে ডুবে থাকায় নষ্ট হয়ে মাটিতে মিশে তা থেকে চারা গজিয়েছে। পানি কমার পর পুরো আউশখেত পরিণত হয়েছে বীজতলায়। এদিকে আমনের জন্য তৈরি বীজতলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় চারার সংকটে পড়েছেন কৃষকেরা। তাই বাধ্য হয়ে আউশ ধান থেকে গজানো চারায় আমন চাষের চেষ্টা করছেন অনেক কৃষক। তবে ভিন্ন প্রজাতির এই চারা থেকে আদৌ কোনো ফসল হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। উপজেলা কৃষি অফিসও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না।
গোমতীর চরে গিয়ে দেখা গেছে, উজানের ঢল ও সাম্প্রতিক বন্যার পানিতে তলিয়ে গোমতী নদীর চরে আবাদ হওয়া পাকা ও আধপাকা আউশ ধান নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাটিতে মিশে যাওয়া এসব আউশ ধান থেকে চারা গজিয়েছে। রোপা আমনের চারার সংকটের কারণে চরে গজানো এসব আউশ ধানের চারা তুলে আমনের জমিতে আবাদ করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। চরে কারওর নির্ধারিত বীজতলা নেই। যাঁর যেখানে মন চাইছৈ, সেখান থেকেই ধানের চারা তোলে নিয়ে জমিতে রোপণ করছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, পানি নেমে গেলেও বন্যায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমনের চারার সংকটে পড়েছেন তাঁরা। অন্য জেলা থেকে চারা সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও দাম লাগামহীন। ফলে চারা সংগ্রহ করতে পারেননি অনেকে। তাই মাটিতে মিশে যাওয়া আউশ ধান থেকে গজানো চারা আবাদ করছেন তাঁরা।
মশলাপাড়া ইউনিয়নের আছাদনগর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘বন্যার কারণে আমন ধানের বীজতলা দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় সম্পূর্ণ পচে যায়। পানি নেমে গেলে নতুন করে বীজতলা তৈরি সম্ভব না হওয়ায় জমি পতিত রয়েছে। ফলে গোমতীর চরে পানি-কাদায় নষ্ট হওয়া ধান থেকে গজানো চারা দিয়ে আমন চাষের চেষ্টা করছি। আমরা জানি না এ থেকে আদৌ কোনো ফসল পাব কি না। কিন্তু জমি ফেলে না রেখে ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘আউশ মৌসুমের জন্য নির্ধারিত ধানের জাতগুলো আমন মৌসুমে আবাদ করা হলে তাতে আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনা কম। এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো ফলাফল আমাদের কাছে নেই। তবে জমি পতিত না রেখে ধান চাষ করলে জমি আগাছামুক্ত থাকবে, যা পরবর্তী ফসল ফলাতে সহায়তা করবে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর বন্যার পানিতে বর্ষা মৌসুমের দুটি ধান ফসল তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই উপজেলার ৩০ হাজার কৃষক। এবার রোপা আমনের ফলন না হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকেরা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় কৃষি বিভাগ এগিয়ে এলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলছেন কৃষকেরা।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভয়াবহ বন্যায় পাকা আউশ ধান দীর্ঘদিন পানির নিচে ডুবে থাকায় নষ্ট হয়ে মাটিতে মিশে তা থেকে চারা গজিয়েছে। পানি কমার পর পুরো আউশখেত পরিণত হয়েছে বীজতলায়। এদিকে আমনের জন্য তৈরি বীজতলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় চারার সংকটে পড়েছেন কৃষকেরা। তাই বাধ্য হয়ে আউশ ধান থেকে গজানো চারায় আমন চাষের চেষ্টা করছেন অনেক কৃষক। তবে ভিন্ন প্রজাতির এই চারা থেকে আদৌ কোনো ফসল হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। উপজেলা কৃষি অফিসও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না।
গোমতীর চরে গিয়ে দেখা গেছে, উজানের ঢল ও সাম্প্রতিক বন্যার পানিতে তলিয়ে গোমতী নদীর চরে আবাদ হওয়া পাকা ও আধপাকা আউশ ধান নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাটিতে মিশে যাওয়া এসব আউশ ধান থেকে চারা গজিয়েছে। রোপা আমনের চারার সংকটের কারণে চরে গজানো এসব আউশ ধানের চারা তুলে আমনের জমিতে আবাদ করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। চরে কারওর নির্ধারিত বীজতলা নেই। যাঁর যেখানে মন চাইছৈ, সেখান থেকেই ধানের চারা তোলে নিয়ে জমিতে রোপণ করছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, পানি নেমে গেলেও বন্যায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমনের চারার সংকটে পড়েছেন তাঁরা। অন্য জেলা থেকে চারা সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও দাম লাগামহীন। ফলে চারা সংগ্রহ করতে পারেননি অনেকে। তাই মাটিতে মিশে যাওয়া আউশ ধান থেকে গজানো চারা আবাদ করছেন তাঁরা।
মশলাপাড়া ইউনিয়নের আছাদনগর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘বন্যার কারণে আমন ধানের বীজতলা দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় সম্পূর্ণ পচে যায়। পানি নেমে গেলে নতুন করে বীজতলা তৈরি সম্ভব না হওয়ায় জমি পতিত রয়েছে। ফলে গোমতীর চরে পানি-কাদায় নষ্ট হওয়া ধান থেকে গজানো চারা দিয়ে আমন চাষের চেষ্টা করছি। আমরা জানি না এ থেকে আদৌ কোনো ফসল পাব কি না। কিন্তু জমি ফেলে না রেখে ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘আউশ মৌসুমের জন্য নির্ধারিত ধানের জাতগুলো আমন মৌসুমে আবাদ করা হলে তাতে আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনা কম। এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো ফলাফল আমাদের কাছে নেই। তবে জমি পতিত না রেখে ধান চাষ করলে জমি আগাছামুক্ত থাকবে, যা পরবর্তী ফসল ফলাতে সহায়তা করবে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর বন্যার পানিতে বর্ষা মৌসুমের দুটি ধান ফসল তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই উপজেলার ৩০ হাজার কৃষক। এবার রোপা আমনের ফলন না হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকেরা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় কৃষি বিভাগ এগিয়ে এলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলছেন কৃষকেরা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
৪৪ মিনিট আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে