দান উৎকৃষ্ট ইবাদত। মহানবী (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল। দানের ক্ষেত্রে দাতার জন্য কর্তব্য হলো, ভালো, উৎকৃষ্ট এবং প্রিয় জিনিস দান করা। ব্যবহারের অনুপযোগী, নষ্ট ও পচা জিনিস দান করা অনুচিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন,
পরকালে সব বান্দাকেই মহান আল্লাহর কাছে নিজেদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। সেদিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের প্রতি পূর্ণ ইনসাফ করবেন। যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবেন।
প্রায় সব সিরাতবিদ স্বীকার করেছেন, তরুণেরাই সর্বাগ্রে নবী (সা.)-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসলামের ছায়াতলে এসেছেন। তাঁরাই জীবন বাজি রেখে নবীজির আদর্শ বুকে ধারণ করেছেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছেন ইসলামের সুমহান বার্তা।
জীবনের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে আমরা হিমশিম খাই। দোটানা ও সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের ভোগায়। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) নামাজের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর তৌফিক কামনা করতে বলেছেন তিনি। এই নামাজকে ইসলামে
আমরা সাধারণত ধন-সম্পদ ও টাকাপয়সার মাধ্যমে ধনী কিংবা অসহায় নির্ণয় করি। এটিই দুনিয়ার রীতি। তবে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে ধনী বা অসহায় যাচাই করা হবে নিষ্ঠার সঙ্গে করা আমলের মাধ্যমে। তবে শুধু আমল বা ইবাদত করলেই কিয়ামতের মাঠে পার পাওয়া যাবে না, মানুষের প্রতি অন্যায়-অনাচার থেকেও পবিত্র হতে হবে। কোনো অনাচার
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় পবিত্র মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিকেরা তাঁর জন্ম ‘হাতির বছর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নবুওয়াত লাভের আগে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল, ইতিহাসবিদেরা যেগুলোকে
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কবি-সাহিত্যিকের মতো বাংলা ভাষার কবি-সাহিত্যিকের হাত ধরেও অসংখ্য নবীজীবনী রচিত হয়েছে। এসব গ্রন্থ বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে, পাঠকমহলে জনপ্রিয় হয়েছে এবং আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এমন বহুল সমাদৃত পাঁচটি সিরাতগ্রন্থের কথা নিয়ে লিখেছেন আমজাদ ইউনুস।
প্রত্যেক মুসলমান বিশ্বাস করে, সবার শেষ ঠিকানা কবর। সাড়ে তিন হাত মাটির বাড়িই আসল গন্তব্য। কার কখন ডাক আসে বলা যায় না। তাই সব সময় কবরের প্রস্তুতি নিয়ে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনো ব্যক্তির ইন্তেকাল হলে দ্রুত তার কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মরদেহের (দাফন
মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা-ছায়ায় বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ এসেছে কোরআন-হাদিসে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে তাদেরও রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার। তাদের প্রতি কোনো ধরনের জুলুম ইসলাম অনুমোদন করে না।
মানুষ মানুষের জন্য। চলতে-ফিরতে মানুষের ভুল হতেই পারে। কিন্তু কেউ ভুল করলে তাকে শোধরানোর সুযোগ না দিয়ে চড়াও হওয়া সঠিক নয়। সামান্য ভুলে গায়ে হাত তোলা অনুচিত। বাসার গৃহপরিচারিকা, নিরাপত্তারক্ষী, ফেরিওয়ালা, টোকাই কিংবা রিকশাচালক
বৃষ্টি মহান আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিয়ামত। পবিত্র কোরআনে বারবার তিনি বৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর অপার দানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এক আয়াতে বলেছেন, ‘আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণের মাধ্যমে মৃতপ্রায় ধরিত্রীকে পুনরুজ্জীবিত করেন; তাতে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তার ঘটান; তাতে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ ও পৃথিবীর
পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহ তাআলার বাণী। মুসলিম-অমুসলিমনির্বিশেষে কোরআন সবার জন্য পথপ্রদর্শক। বিশেষত মুসলিমদের জন্য কোরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অশেষ। নিঃসন্দেহে বুঝে বুঝে তিলাওয়াত করা এবং কোরআন থেকে হিদায়েত ও উপদেশ গ্রহণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবু শুধু সওয়াবের নিয়তেও কোরআন তিলাওয়াত
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং সরাসরি তাঁকে সালাম জানানো নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার ও আদব।
মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আকাশ, বাতাস, ভূমি, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বতঘেরা গাছগাছালি আর পাখপাখালিতে সমৃদ্ধ অপূর্ব সুন্দর পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার পরই তাতে মানবজাতিকে প্রেরণ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানুষের
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির কারণে অনেক ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেওয়া হয়। গভীরভাবে দেখলে বুঝতে পারব, এটি আসলে কত জঘন্য অপরাধ। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এসব জেনেও কিছু মানুষ অপরাধীদের বিভিন্ন স্বার্থে সমর্থন দিয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য কিছু পশু হালাল করেছেন। সেই পশুগুলোর মধ্য থেকে কিছু পশু কোরবানির জন্য বৈধ ঘোষণা করেছেন। যেমন—গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, মহিষ, উট। এসব পশুর মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ বৈধ। তবে এগুলোর কিছু কিছু অঙ্গ খাওয়া মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না।