আবদুল আযীয কাসেমি
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির কারণে অনেক ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেওয়া হয়। গভীরভাবে দেখলে বুঝতে পারব, এটি আসলে কত জঘন্য অপরাধ। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এসব জেনেও কিছু মানুষ অপরাধীদের বিভিন্ন স্বার্থে সমর্থন দিয়ে যায়।
মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য মানে মূলত নষ্ট পণ্য। এটি থেকে আর উপকৃত হওয়া সম্ভব নয়। বিশেষত সেটি যখন হয় খাবার, তখন তা থেকে সৃষ্টি হয় মানুষের জীবনহানির শঙ্কা, কিংবা কোনো মারাত্মক রোগের আশঙ্কা। সহজ-সরল মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এই পণ্যগুলো ধরিয়ে দেওয়া হয়। ইসলাম এটাকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। ইসলামের নির্দেশনা হলো, একজন ব্যবসায়ী ক্রেতাকে তার পণ্যের গুণমান সম্পর্কে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ধারণা দেবে। এরপর ক্রেতা ভালো মনে করলে কিনবে, অন্যথায় এড়িয়ে যাবে।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন বাজারে গেলেন। একজন ব্যবসায়ীকে দেখলেন চালজাতীয় কিছু বিক্রি করছে। নবীজি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কীভাবে বিক্রি করছ?’ ব্যবসায়ী উত্তরে পণ্যের দিকে ইঙ্গিত করল। নবীজি তাকে বললেন, ‘তুমি এখানে তোমার হাত প্রবেশ করাও।’ সে হাত প্রবেশ করাল। হাত বের করার পর দেখা গেল তার হাত ভেজা। নবীজি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ৭২৯২)
হজরত ওমর (রা.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, একজন ব্যবসায়ী দুধে পানি মিশিয়ে ধোঁকা দিয়ে দুধ বিক্রি করছিল। হজরত ওমর (রা.) খবর পেয়ে তার দুধগুলো মাটিতে ফেলে দেন। (আত তামহিদ, ইবনু আবদিল বার: ৪/ ১৪২)
চিন্তা করে দেখুন, নবীজি বলছেন, যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ, যেন সে মুসলমানই নয়। যদিও উলামায়ে কেরাম বলেছেন, এই কাজকে হালাল মনে না করে করলে সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে না। তবে সে মুসলমানের মতো কাজ করেনি। পক্ষান্তরে যারা একে বৈধ মনে করে কোনোরূপ অপরাধবোধ ছাড়াই করছে, তাদের ব্যাপারে ভয়ংকর শঙ্কা রয়েছে। যেখানে পণ্য ভালো হওয়া সত্ত্বেও সামান্য ভেজাল মিশ্রণের কারণে নবীজি একে ধোঁকা বলে অভিহিত করেছেন, সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট পণ্য বিক্রির ব্যাপারে নবীজির অভিব্যক্তি কী হতে পারে?
এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘দ্বীন হলো কল্যাণকামিতার নাম।’ কল্যাণকামিতার দাবি হলো, ক্রেতাকে বিক্রির সময় পণ্যের ব্যাপারে পুরোপুরি ধারণা দেওয়া এবং এ বিষয়ে কোনো রকম ছলচাতুরীর আশ্রয় না নেওয়া। আর যদি পণ্য হয় মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা নষ্ট, তখন তো সেটা বিক্রি করার কোনো অবকাশই নেই।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির কারণে অনেক ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেওয়া হয়। গভীরভাবে দেখলে বুঝতে পারব, এটি আসলে কত জঘন্য অপরাধ। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এসব জেনেও কিছু মানুষ অপরাধীদের বিভিন্ন স্বার্থে সমর্থন দিয়ে যায়।
মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য মানে মূলত নষ্ট পণ্য। এটি থেকে আর উপকৃত হওয়া সম্ভব নয়। বিশেষত সেটি যখন হয় খাবার, তখন তা থেকে সৃষ্টি হয় মানুষের জীবনহানির শঙ্কা, কিংবা কোনো মারাত্মক রোগের আশঙ্কা। সহজ-সরল মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এই পণ্যগুলো ধরিয়ে দেওয়া হয়। ইসলাম এটাকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। ইসলামের নির্দেশনা হলো, একজন ব্যবসায়ী ক্রেতাকে তার পণ্যের গুণমান সম্পর্কে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ধারণা দেবে। এরপর ক্রেতা ভালো মনে করলে কিনবে, অন্যথায় এড়িয়ে যাবে।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন বাজারে গেলেন। একজন ব্যবসায়ীকে দেখলেন চালজাতীয় কিছু বিক্রি করছে। নবীজি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কীভাবে বিক্রি করছ?’ ব্যবসায়ী উত্তরে পণ্যের দিকে ইঙ্গিত করল। নবীজি তাকে বললেন, ‘তুমি এখানে তোমার হাত প্রবেশ করাও।’ সে হাত প্রবেশ করাল। হাত বের করার পর দেখা গেল তার হাত ভেজা। নবীজি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ৭২৯২)
হজরত ওমর (রা.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে, একজন ব্যবসায়ী দুধে পানি মিশিয়ে ধোঁকা দিয়ে দুধ বিক্রি করছিল। হজরত ওমর (রা.) খবর পেয়ে তার দুধগুলো মাটিতে ফেলে দেন। (আত তামহিদ, ইবনু আবদিল বার: ৪/ ১৪২)
চিন্তা করে দেখুন, নবীজি বলছেন, যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ, যেন সে মুসলমানই নয়। যদিও উলামায়ে কেরাম বলেছেন, এই কাজকে হালাল মনে না করে করলে সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে না। তবে সে মুসলমানের মতো কাজ করেনি। পক্ষান্তরে যারা একে বৈধ মনে করে কোনোরূপ অপরাধবোধ ছাড়াই করছে, তাদের ব্যাপারে ভয়ংকর শঙ্কা রয়েছে। যেখানে পণ্য ভালো হওয়া সত্ত্বেও সামান্য ভেজাল মিশ্রণের কারণে নবীজি একে ধোঁকা বলে অভিহিত করেছেন, সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট পণ্য বিক্রির ব্যাপারে নবীজির অভিব্যক্তি কী হতে পারে?
এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘দ্বীন হলো কল্যাণকামিতার নাম।’ কল্যাণকামিতার দাবি হলো, ক্রেতাকে বিক্রির সময় পণ্যের ব্যাপারে পুরোপুরি ধারণা দেওয়া এবং এ বিষয়ে কোনো রকম ছলচাতুরীর আশ্রয় না নেওয়া। আর যদি পণ্য হয় মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা নষ্ট, তখন তো সেটা বিক্রি করার কোনো অবকাশই নেই।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১০ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১০ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১০ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে