আমজাদ ইউনুস
বিশ্বনবী
বাংলা ভাষার অন্যতম কবি গোলাম মোস্তফা রচিত ‘বিশ্বনবী’ বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন। সাহিত্য সমালোচকদের মতে, এটিই কবি গোলাম মোস্তফার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। বইটিতে লেখকের প্রগাঢ় নবীপ্রেম, ভাষার ভাব ও প্রাঞ্জলতা, পাঠের গভীরতা ও পাণ্ডিত্য ফুটে উঠেছে। এতে লেখক জ্ঞান, বিজ্ঞান, ইতিহাস, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্য সব মহাপুরুষের ওপর নবীজি (সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। এই গ্রন্থ রচনায় লেখক অর্ধশতাধিক প্রামাণ্যগ্রন্থের সহায়তা নিয়েছেন। এ বইয়ে রাসুলের জীবনপ্রবাহ, ইসলামের প্রচার ও বিস্তৃতি অত্যন্ত সুলিখিত ও সুখপাঠ্য আঙ্গিকে বিন্যস্ত করা হয়েছে। কিছু বিতর্কের যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও লেখক উপস্থাপন করেছেন। মুসলিম ও অমুসলিম লেখক-সাহিত্যিকেরাও ‘বিশ্বনবী’র প্রশংসা করেছেন।
মহানবী
কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ আলী আহসানের রচনা ‘মহানবী’। ১৯৫৮ সালের এপ্রিল বা মে মাসে তিনি তেহরানে গিয়েছিলেন। তেহরানে থাকাকালে ইরানের বিখ্যাত পণ্ডিত যায়নুল আবেদিন রাহনুমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তিনি তাঁর রচিত ‘পয়াম্বর’ বইটি আলী আহসানকে উপহার দেন এবং নবীজীবনী লেখার জন্য উৎসাহিত করেন। পরে ওমরাহর সফরে সৈয়দ আলী আহসান হারাম শরিফে প্রবেশ করে দোয়া করেন। এর পরই নবীজির জীবনী লেখার ইচ্ছা দৃঢ় হয় তাঁর। গ্রন্থটি ভাষা ও তথ্যের দিক থেকে অনন্য ও অসাধারণ। লেখক সম্পূর্ণ নিজস্ব এক চমকপ্রদ ও অত্যাধুনিক বাংলা গদ্যের শৈলী অবলম্বন করেছেন এতে। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন লেখক রাসুল (সা.)-এর চরিত্র এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যে বিরূপ আপত্তিকর, কুৎসিত মন্তব্য উচ্চারণ করেছেন; লেখক এই গ্রন্থে সেসবের যথাযথ জবাব দিয়েছেন।
মরুভাস্কর হযরত মুহাম্মদ (সা.)
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর কলমে রচিত হয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নবীজীবনী ‘মরু ভাস্কর’। লেখক এই গ্রন্থে সুষমামণ্ডিত ও বলিষ্ঠ ভাষায় মহানবীর জীবনী উপস্থাপন করেছেন। গ্রন্থটি মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ বাহারের দীর্ঘ ভূমিকাসহ ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে বুলবুল পাবলিশিং হাউজ কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। চিরায়ত রচনা হিসেবে বাংলা সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে এই সিরাতগ্রন্থ।
নূর নবী
বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক এয়াকুব আলী চৌধুরীর রচনা ‘নূর নবী’। লেখক ছোটদের জন্য ১৯১৮ সালে রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শ তুলে ধরে রচনা করেন ‘নূর নবী’। ছোটদের উপযোগী কোমল ও মধুর ভাষায় অসাধারণ ও অনুপম একটি গ্রন্থ এটি। এতে নবীচরিত্রের কোমল ও মধুর দিকগুলো শিশুদের জন্য সহজ-সরল ও আকর্ষণীয়ভাবে অঙ্কিত হয়।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ
বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদের রচনা এটি। সহজ কাব্যিক ভাষায় কলমের কালিতে এঁকেছেন নবীজির জীবনী। ১৯৮৯ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটিতে নবীজি (সা.)-এর জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উঠে এসেছে। বইটি মূলত কাজী ইমদাদুল হক বিরচিত ‘নবীকাহিনী’ সিরিজের সমাপ্ত অংশ। তিনি ঈসা (আ.) পর্যন্ত লিখে মারা যান। এরপর আল মাহমুদ এই বই লিখে সিরিজের পূর্ণতা দিয়েছেন।
বিশ্বনবী
বাংলা ভাষার অন্যতম কবি গোলাম মোস্তফা রচিত ‘বিশ্বনবী’ বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন। সাহিত্য সমালোচকদের মতে, এটিই কবি গোলাম মোস্তফার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। বইটিতে লেখকের প্রগাঢ় নবীপ্রেম, ভাষার ভাব ও প্রাঞ্জলতা, পাঠের গভীরতা ও পাণ্ডিত্য ফুটে উঠেছে। এতে লেখক জ্ঞান, বিজ্ঞান, ইতিহাস, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্য সব মহাপুরুষের ওপর নবীজি (সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। এই গ্রন্থ রচনায় লেখক অর্ধশতাধিক প্রামাণ্যগ্রন্থের সহায়তা নিয়েছেন। এ বইয়ে রাসুলের জীবনপ্রবাহ, ইসলামের প্রচার ও বিস্তৃতি অত্যন্ত সুলিখিত ও সুখপাঠ্য আঙ্গিকে বিন্যস্ত করা হয়েছে। কিছু বিতর্কের যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও লেখক উপস্থাপন করেছেন। মুসলিম ও অমুসলিম লেখক-সাহিত্যিকেরাও ‘বিশ্বনবী’র প্রশংসা করেছেন।
মহানবী
কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ আলী আহসানের রচনা ‘মহানবী’। ১৯৫৮ সালের এপ্রিল বা মে মাসে তিনি তেহরানে গিয়েছিলেন। তেহরানে থাকাকালে ইরানের বিখ্যাত পণ্ডিত যায়নুল আবেদিন রাহনুমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তিনি তাঁর রচিত ‘পয়াম্বর’ বইটি আলী আহসানকে উপহার দেন এবং নবীজীবনী লেখার জন্য উৎসাহিত করেন। পরে ওমরাহর সফরে সৈয়দ আলী আহসান হারাম শরিফে প্রবেশ করে দোয়া করেন। এর পরই নবীজির জীবনী লেখার ইচ্ছা দৃঢ় হয় তাঁর। গ্রন্থটি ভাষা ও তথ্যের দিক থেকে অনন্য ও অসাধারণ। লেখক সম্পূর্ণ নিজস্ব এক চমকপ্রদ ও অত্যাধুনিক বাংলা গদ্যের শৈলী অবলম্বন করেছেন এতে। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন লেখক রাসুল (সা.)-এর চরিত্র এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যে বিরূপ আপত্তিকর, কুৎসিত মন্তব্য উচ্চারণ করেছেন; লেখক এই গ্রন্থে সেসবের যথাযথ জবাব দিয়েছেন।
মরুভাস্কর হযরত মুহাম্মদ (সা.)
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর কলমে রচিত হয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নবীজীবনী ‘মরু ভাস্কর’। লেখক এই গ্রন্থে সুষমামণ্ডিত ও বলিষ্ঠ ভাষায় মহানবীর জীবনী উপস্থাপন করেছেন। গ্রন্থটি মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ বাহারের দীর্ঘ ভূমিকাসহ ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে বুলবুল পাবলিশিং হাউজ কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। চিরায়ত রচনা হিসেবে বাংলা সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে এই সিরাতগ্রন্থ।
নূর নবী
বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক এয়াকুব আলী চৌধুরীর রচনা ‘নূর নবী’। লেখক ছোটদের জন্য ১৯১৮ সালে রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শ তুলে ধরে রচনা করেন ‘নূর নবী’। ছোটদের উপযোগী কোমল ও মধুর ভাষায় অসাধারণ ও অনুপম একটি গ্রন্থ এটি। এতে নবীচরিত্রের কোমল ও মধুর দিকগুলো শিশুদের জন্য সহজ-সরল ও আকর্ষণীয়ভাবে অঙ্কিত হয়।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ
বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদের রচনা এটি। সহজ কাব্যিক ভাষায় কলমের কালিতে এঁকেছেন নবীজির জীবনী। ১৯৮৯ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটিতে নবীজি (সা.)-এর জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উঠে এসেছে। বইটি মূলত কাজী ইমদাদুল হক বিরচিত ‘নবীকাহিনী’ সিরিজের সমাপ্ত অংশ। তিনি ঈসা (আ.) পর্যন্ত লিখে মারা যান। এরপর আল মাহমুদ এই বই লিখে সিরিজের পূর্ণতা দিয়েছেন।
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৬ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৬ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে