ঘূর্ণিঝড় মোখার ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় মিয়ানমারের সামরিক আদালতে রুদ্ধদ্বার বিচারে এক ফটোসাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে এত লম্বা কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি।
আরব সাগরে সৃষ্ট গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান বা ওমানে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ১২০ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে—শুকনো খাবার, তাঁবু, ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট
কক্সবাজারের মহেশখালীতে গ্যাসের দুটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) রয়েছে। এখান থেকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগের দিন জাহাজে থাকা ভাসমান এই টার্মিনাল দুটি গভীর সমুদ্রে নিরাপদ জায়গায় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি নিরাপদ জায়গায় সরানো গেলেও, সিস্টেম জটিলত
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে গত ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি, পান বরজ ও আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহরছড়া, সাবরাং ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষিজাত খামারে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া লবণের মাঠ ও সুপারি বাগানেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দেশটিতে মোখার আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা ৬০ জনে পৌঁছেছে। বিধ্বস্ত অসংখ্য ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে এবং ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে মাছ ধরার নৌকা। প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা।
কক্সবাজারের টেকনাফে মোখার আঘাতের পর অনেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। মোখার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে দুই দিন পার হলেও অর্থাভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখনো রোদবৃষ্টিতে উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার।
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিদর্শনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি গত রোববার মিয়ানমারে আঘাত হানে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারের বেশি।
গত রোববার যে অবস্থাডা হয়েছিল, তা জীবনে কখনো দেহি নাই। যে ভয়ে-আতঙ্কে ছিলাম বলার মতো নই। যেভাবে বাতাসগুলো ছুটছিল, তা গাছের আগাগুলো দেহেন বুঝতে পারবেন। বাড়িগুলো দেহেন কেমন হয়ে গেছে। দাঁড়ানোর মতো সাহস কারও ছিল না এহেনে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে ৯০ ভাগ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়ে তার ছিঁড়ে নিচে পড়েছে। এতে গত দুদিন ধরে বিদ্যুৎহীন এই উপজেলা। ফলে দেখা দিয়েছে খাবার তীব্র পানি সংকট। এক-দুই কিলোমিটার দূর থেকে প
এক মাস আগে ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্টে পা হারায় দুই ছেলে। অসুস্থ দুই শিশুর পা এখনো ব্যান্ডেজ মোড়ানো। দুর্ঘটনায় মায়ের ডান হাতে ক্ষত। এর মধ্যে খবর পান ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানবে। পা হারানো দুই ছেলে নিয়ে যেতে পারেননি আশ্রয়কেন্দ্রে। বাতাসে চাল উড়ে নিয়ে গেছে, ছোট ঝুপড়ি ঘরটিতে গাছ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু দুই ছেলেক
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ২ হাজার ৮২৬টি ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৭ জন রোহিঙ্গা আহত হন।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ অতিক্রমের পর আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর চাঁদপুর থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রায় ৬০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার ভোর ৬টা থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কখন কোথায় আঘাত হানে, তা নিয়ে দেশজুড়ে চলতে থাকা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে লিখতে বসে পড়েছি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে। লোডশেডিং পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছিল তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি ছিল অনেক বেশি খারাপ।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারসহ তিন সমুদ্রবন্দরে জারি করা সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রবন্দর তিনটি হলো চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা।