হেলা করে প্রত্যাখ্যান করেছিল ইন্টেল, সেই কোম্পানি এখন ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের

অনলাইন ডেস্ক    
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ৪৪
বর্তমানে ইন্টেলের বাজারমূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও কম। ছবি: এক্সডিএ ডেভেলপারস

আর্থিক লোকসানের মুখে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম চিপ নির্মাতা ইন্টেল। অপরদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ভিত্তিক চিপ তৈরি করে অ্যাপলকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানির তালিকায় নাম লিখিয়েছে এনভিডিয়া। তবে ১৯ বছর আগেই এনভিডিয়াকে কিনে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে ইন্টেল। সেসময় মাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলার খরচেই যে কোম্পানি অধিগ্রহণ করতে পারত ইন্টেল তার বাজারমূল্য এখন ৩ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

২০০৫ সালে এক বোর্ড মিটিংয়ে এনভিডিয়াকে কিনে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে ইন্টেল। তৎকালীন এনভিডিয়ার সিইও পল ওটেলিনি ইন্টেলের বোর্ড অব ডিরেক্টরদের কাছে অধিগ্রহণের প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। গ্রাফিকস চিপ ডিজাইনগুলো ডেটা সেন্টারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে ইন্টেলের কিছু নির্বাহী মনে করেন। তবে ইন্টেলের অধিগ্রহণকৃত কোম্পানিগুলোকে একত্রিত করার দুর্বল ইতিহাস এবং নজিরবিহীন দামের কথা উল্লেখ করে বোর্ডটি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

বর্তমানে ইন্টেলের বাজারমূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আর এনভিডিয়ার বাজারমূল্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলার।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কোম্পানি এক সময় সিলিকন ভ্যালির চিপ শিল্পে প্রাধান্য বজায় রেখেছিল সেটি এখন এআই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।

এনভিডিয়া অধিগ্রহণ প্রত্যাখ্যান করার পর বর্তমান সিইও প্যাট্রিক গেলসিঙ্গারের নেতৃত্বে ‘লারাবি’ নামক একটি অভ্যন্তরীণ প্রকল্পে হাত দেয় ইন্টেল। ইন্টেলের পিসি-স্টাইলের ডিজাইন ব্যবহার করে চার বছর ধরে হাইব্রিড গ্রাফিকস চিপ তৈরি করার চেষ্টা করে কোম্পানিটি। এ জন্য ইন্টেলের কয়েক শ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। ২০০৯ সালে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য এই প্রকল্প বাতিল হয়।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গেলসিঙ্গার বলেন, ‘এই প্রকল্পের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। এতে বিশ্বাস করতাম। যদি ইন্টেল এই প্রকল্প চালিয়ে যেত, তবে আজকের বিশ্ব অনেক ভিন্ন হতো।’

পরবর্তীতে এআই চিপ বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে ইন্টেল। এ জন্য ২০১৬ সালে ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলারে নার্ভানা সিস্টেমস এবং ২০১৯ সালে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারে হাবানা ল্যাবস অধিগ্রহণ করে। তবে এসব বিনিয়োগ ইন্টেলকে এআই চিপ বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়।

ইন্টেলের সর্বশেষ এআই চিপ ‘গাউডি ৩’ এনভিডিয়ার চিপের সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে বাজারজাত করা হয়েছে। তবে গেলসিঙ্গার স্বীকার করেন যে, ইন্টেল এখনই এনভিডিয়ার উচ্চমানের চিপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না।

এককালে অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও ইন্টেলকেই অন্য কোম্পানি কিনে নেওয়ার সুযোগ তৈরি পারে বলে মনে করেছে বিভিন্ন বিনিয়োগকারী ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, ডলার, ইন্টেল, এনভিডিয়া, লোকসান

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

বাংলাদেশের বন্দরে পাকিস্তানের কার্গো জাহাজ, ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে যে কারণে

পরশুরামে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সংলাপ শুরু কাল, চলবে পুরো নভেম্বর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত