মইনুল হাসান, ফ্রান্স
গতকাল থেকে শুরু হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণ দুবাই এয়ার শো। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হবে বিশ্বের অন্যতম বড় এই প্রদর্শনীর ১৮তম আসর। দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রালের সুবিশাল চত্বরে বসেছে সব ধরনের সামরিক ও বেসামরিক আকাশযানের অন্যতম বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ এই প্রদর্শনী। সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে নান্দনিক নকশার বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন, আকাশট্যাক্সি, উড়ুক্কু স্কুটারের এমন সমাবেশে পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলের নগর দুবাই এখন বিশ্ব এভিয়েশনের প্রাণকেন্দ্র।
আকাশ, মহাকাশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এমন মহা আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন। নিবন্ধনের জন্য অনলাইনের বিকল্প কোনো ‘লাইন’ ছিল না। ১৬ বছরের নিচে কারও এখানে প্রবেশের সুযোগ নেই। এ ছাড়া আছে ড্রেস কোড মেনে চলার বাধ্যবাধকতা। মোটকথা এমন বিশাল আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে মাথার ওপরে বিশাল আকাশ যেহেতু সবার জন্য উন্মুক্ত, সে কারণেই সব থেকে উপভোগ্য এয়ার ডিসপ্লে বা নানাবিধ আকাশযানের মনোজ্ঞ মহড়া, চিত্তাকর্ষক অ্যারোবেটিক সাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পৃথিবীর প্রায় ৯৫টি দেশ থেকে বিমানশিল্পের সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ৪০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা তাদের পণ্যসম্ভার প্রদর্শনের জন্য হাজির হয়েছে জৌলুশের নগর দুবাইয়ে। উপস্থিত রয়েছে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক ৩৯০টি প্রতিনিধিদল। রয়েছে প্রায় ২০০ আকাশ ও মহাকাশযান। অংশ নিয়েছে মোট ৯টি বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ৮০টির বেশি স্টার্টআপের উজ্জ্বল উপস্থিতি এয়ার শোর আরেকটি আকর্ষণ। আছেন ৩০০ বিশেষজ্ঞ বক্তা, যাঁদের ঝুলিতে আছে বিস্ময়কর প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনের চমকপ্রদ গল্প।
এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বিমান বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা বাদ পড়ছে না। ইতিমধ্যে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন যে বর্তমানে ২৩ হাজারের বেশি আকাশযান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আকাশ। আগামী দুই দশকে তা হবে প্রায় দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৪৫ হাজার। পরিবেশবান্ধব, সময় এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী আকাশযান উদ্ভাবনের অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা আর সম্ভাবনার কথা বলছেন তাঁরা। জ্বালানি হিসেবে ঘুরেফিরে তরল হাইড্রোজেনের কথা উচ্চারিত হচ্ছে।
এয়ার শোর আলোচনা করলে ইউরোপিয়ানদের এয়ারবাস এবং আমেরিকানদের বোয়িং—এই দুটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অতিকায় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
দুবাই এয়ার শো ২০২৩-এ চমক দিচ্ছে বোয়িং নির্মিত সুবিশাল বিমান ৭৭৭এক্স। দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট বিমানটির যাত্রী বহন ক্ষমতা ৪২৬ জন। প্রায় ৭৭ মিটার বা ২৫২ ফুট দীর্ঘ বিমানটির দুই পাশের পাখা ৭২ মিটার বা ২৩৫ ফুট বিস্তৃত। ফলে বহু বিমানবন্দরে এমন বিস্তৃত ডানা নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে, এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভাঁজ করা যায় এমন ডানা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে বিমানটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে।
অন্যদিকে এয়ারবাস তাদের এ৩৫০-১০০০ বিমান নিয়ে সদর্পে উপস্থিত রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এ বিমানটি সেই ২০১৫ সাল থেকে বাজার দখল করে আছে এবং ইতিমধ্যে ৪৮০টি বিমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিমানবহরের অংশ হয়ে গেছে। তাই চমক না দিলেও এয়ারবাস ক্রয়াদেশ বাগাতে বোয়িং থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
দুবাইয়ে প্রথম এয়ার শো শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। দুই বছর পর পর টারসাস অ্যারোস্পেস এমন জমজমাট এয়ার শোর আয়োজন করে থাকে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা লাখের ঘর ছাড়িয়ে যাবে।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণ দুবাই এয়ার শো। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হবে বিশ্বের অন্যতম বড় এই প্রদর্শনীর ১৮তম আসর। দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রালের সুবিশাল চত্বরে বসেছে সব ধরনের সামরিক ও বেসামরিক আকাশযানের অন্যতম বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ এই প্রদর্শনী। সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে নান্দনিক নকশার বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন, আকাশট্যাক্সি, উড়ুক্কু স্কুটারের এমন সমাবেশে পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলের নগর দুবাই এখন বিশ্ব এভিয়েশনের প্রাণকেন্দ্র।
আকাশ, মহাকাশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এমন মহা আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন। নিবন্ধনের জন্য অনলাইনের বিকল্প কোনো ‘লাইন’ ছিল না। ১৬ বছরের নিচে কারও এখানে প্রবেশের সুযোগ নেই। এ ছাড়া আছে ড্রেস কোড মেনে চলার বাধ্যবাধকতা। মোটকথা এমন বিশাল আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে মাথার ওপরে বিশাল আকাশ যেহেতু সবার জন্য উন্মুক্ত, সে কারণেই সব থেকে উপভোগ্য এয়ার ডিসপ্লে বা নানাবিধ আকাশযানের মনোজ্ঞ মহড়া, চিত্তাকর্ষক অ্যারোবেটিক সাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পৃথিবীর প্রায় ৯৫টি দেশ থেকে বিমানশিল্পের সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ৪০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা তাদের পণ্যসম্ভার প্রদর্শনের জন্য হাজির হয়েছে জৌলুশের নগর দুবাইয়ে। উপস্থিত রয়েছে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক ৩৯০টি প্রতিনিধিদল। রয়েছে প্রায় ২০০ আকাশ ও মহাকাশযান। অংশ নিয়েছে মোট ৯টি বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ৮০টির বেশি স্টার্টআপের উজ্জ্বল উপস্থিতি এয়ার শোর আরেকটি আকর্ষণ। আছেন ৩০০ বিশেষজ্ঞ বক্তা, যাঁদের ঝুলিতে আছে বিস্ময়কর প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনের চমকপ্রদ গল্প।
এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বিমান বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা বাদ পড়ছে না। ইতিমধ্যে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন যে বর্তমানে ২৩ হাজারের বেশি আকাশযান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আকাশ। আগামী দুই দশকে তা হবে প্রায় দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৪৫ হাজার। পরিবেশবান্ধব, সময় এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী আকাশযান উদ্ভাবনের অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা আর সম্ভাবনার কথা বলছেন তাঁরা। জ্বালানি হিসেবে ঘুরেফিরে তরল হাইড্রোজেনের কথা উচ্চারিত হচ্ছে।
এয়ার শোর আলোচনা করলে ইউরোপিয়ানদের এয়ারবাস এবং আমেরিকানদের বোয়িং—এই দুটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অতিকায় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
দুবাই এয়ার শো ২০২৩-এ চমক দিচ্ছে বোয়িং নির্মিত সুবিশাল বিমান ৭৭৭এক্স। দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট বিমানটির যাত্রী বহন ক্ষমতা ৪২৬ জন। প্রায় ৭৭ মিটার বা ২৫২ ফুট দীর্ঘ বিমানটির দুই পাশের পাখা ৭২ মিটার বা ২৩৫ ফুট বিস্তৃত। ফলে বহু বিমানবন্দরে এমন বিস্তৃত ডানা নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে, এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভাঁজ করা যায় এমন ডানা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে বিমানটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে।
অন্যদিকে এয়ারবাস তাদের এ৩৫০-১০০০ বিমান নিয়ে সদর্পে উপস্থিত রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এ বিমানটি সেই ২০১৫ সাল থেকে বাজার দখল করে আছে এবং ইতিমধ্যে ৪৮০টি বিমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিমানবহরের অংশ হয়ে গেছে। তাই চমক না দিলেও এয়ারবাস ক্রয়াদেশ বাগাতে বোয়িং থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
দুবাইয়ে প্রথম এয়ার শো শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। দুই বছর পর পর টারসাস অ্যারোস্পেস এমন জমজমাট এয়ার শোর আয়োজন করে থাকে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা লাখের ঘর ছাড়িয়ে যাবে।
দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর লক্ষ্যে খসড়া নির্দেশিকা চূড়ান্ত করতে জনগণের মতামত চেয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর এ পদক্ষেপ ব্যাকহোলিং, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকের ডেটা ব্যবহারের পাশাপাশি ডিজিটাল বিভাজন দূর করে স
৪ ঘণ্টা আগেহোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটকে আরও আকর্ষণীয় করতে কাস্টম স্টিকার তৈরি করে পাঠান অনেকেই। এই ধরনের স্টিকার খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এই ফিচারটি মাধ্যমের ব্যক্তির চেহারা বা বস্তুকে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আলাদা করে কাস্টম স্টিকার তৈরি করা যায়। প্ল্যাটফর্মটির কাস্টম স্টিকার অপশন তৈরি করার জন্য নিজের ছবি বা পছন্দমতো অন্য
৫ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখন থেকে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে আর কনটেন্ট পোস্ট বা শেয়ার করবে না। তবে সংবাদমাধ্যমটির কনটেন্ট আগের মতোই এক্স-এ শেয়ার করতে পারবেন পাঠকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেআইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য জেমিনি অ্যাপ চালু করল গুগল। নতুন অ্যাপটির মাধ্যমে আইফোনে গুগলের এআই টুল ব্যবহার করা যাবে, যা দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা থেকে শুরু করে সৃজনশীল কাজ বিভিন্ন কাজে সাহায্য করবে। এ ছাড়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সও আসছে, যার মাধ্যমে আইফোন ব্যবহারকারীরা সিরি, চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির মাধ্যম
৯ ঘণ্টা আগে