কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি মানদণ্ড তৈরি করার ওপর জোর দিচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা, লেখক ও ফটোগ্রাফারদের সংগঠন। বিশেষ করে মেধাস্বত্বের অপব্যবহার ও ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। 

একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে গতকাল বুধবার তাঁরা বলেন, প্রযুক্তি খুব দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। প্রযুক্তি ব্যবহারে জরুরি ভিত্তিতে কিছু নিয়ম প্রবর্তন করা উচিত। 

তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল উন্নতি ও প্রয়োগ সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি, একটি আইনি কাঠামো থাকা উচিত যা এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে  ব্যবহার করা হয় এমন কনটেন্টের নিরাপত্তা দেবে। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের ওপর জনগণের আস্থা অটুট থাকবে।’ 

চিঠিটিতে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), গ্যানেট, দ্য নিউজ মিডিয়া অ্যালায়েন্স, গেটি ইমেজ, দ্য ন্যাশনাল প্রেস ফটোগ্রাফারস অ্যাসোসিয়েশন, এজেন্স ফ্রান্স–প্রেস (এএফপি)–সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করেছে।

এআইকে প্রশিক্ষণ দিতে বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার করা হয়। এই মেধাস্বত্বের আসল মালিকেরা যেন তাঁদের কাজের প্রাপ্য স্বীকৃতি পান সে বিষয়ে এআই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিটিপির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সঙ্গে বার্তা সংস্থা এপি একটি চুক্তি করেছে। চুক্তিটির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমটির পুরোনো প্রতিবেদন ব্যবহারের লাইসেন্স পেল ওপেনএআই। 

পক্ষপাতদুষ্ট খবর ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে চিঠিটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভুয়া ছবি তৈরির ক্ষমতা নিয়ে আলোকচিত্রীরা চিন্তিত। 

এআই প্রযুক্তি তৈরিতে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করায় সহযোগিতা করবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সাতটি এআই ডেভেলপার কোম্পানি এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একমত হয়েছে। 

অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এখানে মেধাস্বত্ব অপব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।