নাহিদ ইসলাম
নতুন এআই চিপ আর্টেমিস প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে এআই চিপ ইন্ডাস্ট্রিতে বিরাট এক মাইলফলক অর্জন করেছে মেটা কোম্পানি। নতুন এআই চিপটি মেটার সব প্রোডাক্ট, যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন এআইভিত্তিক ফিচারের জন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটেশনাল সক্ষমতা বাড়ানোর মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে। খুব কম বিদ্যুৎ খরচ করে বড় বড় এআই কম্পিউটেশনের কাজ করার শক্তি রাখে এমন সব চিপের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এ ধরনের চিপের চাহিদা পূরণ করতে এখন মেটা কোম্পানি নিজেদের হার্ডওয়্যার তৈরি করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
মেটার তৈরি প্রথম প্রজন্মের এমটিআইএ চিপের উত্তরসূরি বলা যায় ‘আর্টেমিস’কে। তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) ৫ ন্যানোমিটার চিপ তৈরির প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই চিপ ফেব্রিকেট করা হচ্ছে। পুরোনো চিপের তুলনায় কার্যক্ষমতা ৭ গুণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে এই অগ্রগতি মেটা কোম্পানির বিভিন্ন এআই প্রকল্প আর ডেটা সেন্টার কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় মেটা বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে, তা এই চিপ আপগ্রেড থেকেই বোঝা যায়।
এনভিডিয়া এইচ ১০০ চিপের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজের হার্ডওয়্যার তৈরিতে মেটা যদিও এগিয়ে যাচ্ছে, তবু গুগল, আমাজন আর মাইক্রোসফটের মতো প্রধান প্রতিযোগীদের সঙ্গে টেক্কা দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিকে। কারণ, বাকিরাও তাদের নিজেদের এআই চিপ প্রযুক্তির বিকাশে প্রচুর বিনিয়োগ করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাভাটার থেকে শুরু করে চ্যাটজিপিটির মতো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, অথবা যেকোনো ধরনের টেক্সট-ইমেজ-ভিডিও জেনারেটিভ এআই সফটওয়্যার চালানোর জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপ প্রয়োজন হয়। যারা গেমস খেলতে পছন্দ করে, তারা গ্রাফিকস কার্ডের সঙ্গে পরিচিত। গ্রাফিকস কার্ড হলো একটি সার্কিট বোর্ড, যার মধ্যে গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) থাকে।
ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোনসহ সব ধরনের পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইসের মধ্যেই জিপিইউ থাকে, যার প্রধান কাজ গ্রাফিকস, অর্থাৎ কম্পিউটার স্ক্রিনে আমরা যা কিছু দেখছি, তার মূলে থাকা পিক্সেলগুলো প্রসেসিং করা। সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট থেকে জিপিইউ আরও জটিল ও উচ্চপর্যায়ের লজিক্যাল প্রসেসিং করতে পারে।
জিপিইউ ছাড়াও ফিল্ড প্রোগ্রামেবল গেট অ্যারে (এফপিজিএ), অ্যাপ্লিকেশন স্পেসিফিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (এএসআইসি) ইত্যাদি এআই চিপের উদাহরণ। এসবই হলো সিলিকনের প্লেটের ওপর খোদাই করা বিদ্যুৎ পরিবাহী খুব ছোট অসংখ্য সার্কিটের সমষ্টি। এই সার্কিটগুলোর কাজ বিদ্যুৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা, বিভিন্ন কম্বিনেশনে সুইচ অন-অফ করা। আর এই সুইচ অন-অফের ভাষা হলো বাইনারি-১, মানে বিদ্যুৎ আছে ০ মানে বিদ্যুৎ নেই। কম্পিউটারের সব ধরনের লজিক্যাল প্রসেসিংয়ের মূলে রয়েছে এই বাইনারি ভাষা।
আমরা মানুষ যে ভাষায় কথা বলি, ছবি অথবা দৃশ্য, সুর অথবা তালের কোনোটাই কম্পিউটার বোঝে না, যতক্ষণ না তা বাইনারিতে রূপান্তর করে তাকে বোঝানো হয়। বিভিন্ন ধরনের এআই সফটওয়্যার দিয়ে আমরা বিপুল পরিমাণে ইমেজ, সাউন্ড ও টেক্সট ডেটা প্রসেসিং করছি আমাদের নানামুখী কাজের প্রয়োজনে। আর্টিকেল, গল্প, স্ক্রিপ্ট কিংবা গবেষণা প্রতিবেদন লেখা, ওয়েব সার্চ করা, প্রম্পট বুঝে তার ভিত্তিতে ইমেজ তৈরি করা, ব্যস্ত সড়কে ছুটে চলা অসংখ্য যানবাহনের ভিড়ে সেলফ ড্রাইভিং গাড়ি চালানোর মতো বিভিন্ন জটিল কাজ সম্পন্ন করতে বিভিন্ন এআই সফটওয়্যারকে প্রচুর ডেটা বিশ্লেষণ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এই সব ডেটা বাইনারিতে রূপান্তর করার পর এর পরিমাণ অভাবনীয় রকমের বেড়ে যায়। সেই বিপুল পরিমাণ বাইনারি ডেটা বিশ্লেষণ করে আবার তা মানুষের বোঝার মতো অক্ষর-সংখ্যা-চিত্র-শব্দের ভাষায় রূপান্তর করে উপস্থাপন করার জন্য প্রয়োজন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপ। এআই প্রযুক্তির জগতে প্রতিবছর সফটওয়্যার মডেল উন্নততর হচ্ছে। নতুন এআই মডেলগুলো আগের বছরের তুলনায় গড়ে ৪ গুণ বেশি ডেটা নিয়ে কাজ করতে পারে। সফটওয়্যারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হার্ডওয়্যার তৈরি করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
গুগলের টিপিইউ, মাইক্রোসফটের এমএআইএ ১০০ এবং আমাজনের ট্রেইনিয়াম ২-এর পর এবার মেটার ‘আর্টেমিস’ এআই চিপ প্রযুক্তির বিকাশের আরেকটি বড় অর্জন। তবে চিপ ডিজাইনের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে।
গোটা বিশ্বে উচ্চপর্যায়ের বিশ্লেষণ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপের ৯০ শতাংশ উৎপাদন করে তাইওয়ানের টিএসএমসি। চাহিদামাফিক যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় এই একটিমাত্র কোম্পানির ওপর নির্ভর করে অ্যাপল, এনভিডিয়া, টেসলাসহ বিভিন্ন ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় অর্ডার দেওয়া চিপ হাতে পাওয়ার জন্য। গ্রাহকপর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের এআই ফিচারের চাহিদা যত বাড়ছে, ততই এআই চিপের এই সংকট বাড়ছে। এদিকে তাইওয়ান দ্বীপের ওপর চীনের লোলুপ দৃষ্টি আর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গ্লোবাল চিপ সাপ্লাই চেইন থেকে চীনকে একঘরে করার নীতি চিপ সরবরাহকে আরও বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে চিপ এবং ভালো পারফরম্যান্সের ডিভাইসের দাম ক্রমেই ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ, কৃষি খাত এবং শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত আইওটি ডিভাইস, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা, স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স থেকে ইলেকট্রিক কার, এমনকি চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত রোবট পর্যন্ত সব ধরনের যন্ত্রেই এআই প্রযুক্তির নিত্যনতুন প্রয়োগের পদ্ধতি উদ্ভাবিত হচ্ছে। বিরাট জনগোষ্ঠীর জন্য অতি উপকারী এই আইডিয়াগুলো সবার ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে সাশ্রয়ী এআই চিপের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই।
তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ, ওয়াইটেক নিউজ
নতুন এআই চিপ আর্টেমিস প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে এআই চিপ ইন্ডাস্ট্রিতে বিরাট এক মাইলফলক অর্জন করেছে মেটা কোম্পানি। নতুন এআই চিপটি মেটার সব প্রোডাক্ট, যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন এআইভিত্তিক ফিচারের জন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটেশনাল সক্ষমতা বাড়ানোর মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে। খুব কম বিদ্যুৎ খরচ করে বড় বড় এআই কম্পিউটেশনের কাজ করার শক্তি রাখে এমন সব চিপের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এ ধরনের চিপের চাহিদা পূরণ করতে এখন মেটা কোম্পানি নিজেদের হার্ডওয়্যার তৈরি করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
মেটার তৈরি প্রথম প্রজন্মের এমটিআইএ চিপের উত্তরসূরি বলা যায় ‘আর্টেমিস’কে। তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) ৫ ন্যানোমিটার চিপ তৈরির প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই চিপ ফেব্রিকেট করা হচ্ছে। পুরোনো চিপের তুলনায় কার্যক্ষমতা ৭ গুণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে এই অগ্রগতি মেটা কোম্পানির বিভিন্ন এআই প্রকল্প আর ডেটা সেন্টার কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় মেটা বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে, তা এই চিপ আপগ্রেড থেকেই বোঝা যায়।
এনভিডিয়া এইচ ১০০ চিপের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজের হার্ডওয়্যার তৈরিতে মেটা যদিও এগিয়ে যাচ্ছে, তবু গুগল, আমাজন আর মাইক্রোসফটের মতো প্রধান প্রতিযোগীদের সঙ্গে টেক্কা দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিকে। কারণ, বাকিরাও তাদের নিজেদের এআই চিপ প্রযুক্তির বিকাশে প্রচুর বিনিয়োগ করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাভাটার থেকে শুরু করে চ্যাটজিপিটির মতো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, অথবা যেকোনো ধরনের টেক্সট-ইমেজ-ভিডিও জেনারেটিভ এআই সফটওয়্যার চালানোর জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপ প্রয়োজন হয়। যারা গেমস খেলতে পছন্দ করে, তারা গ্রাফিকস কার্ডের সঙ্গে পরিচিত। গ্রাফিকস কার্ড হলো একটি সার্কিট বোর্ড, যার মধ্যে গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) থাকে।
ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোনসহ সব ধরনের পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইসের মধ্যেই জিপিইউ থাকে, যার প্রধান কাজ গ্রাফিকস, অর্থাৎ কম্পিউটার স্ক্রিনে আমরা যা কিছু দেখছি, তার মূলে থাকা পিক্সেলগুলো প্রসেসিং করা। সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট থেকে জিপিইউ আরও জটিল ও উচ্চপর্যায়ের লজিক্যাল প্রসেসিং করতে পারে।
জিপিইউ ছাড়াও ফিল্ড প্রোগ্রামেবল গেট অ্যারে (এফপিজিএ), অ্যাপ্লিকেশন স্পেসিফিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (এএসআইসি) ইত্যাদি এআই চিপের উদাহরণ। এসবই হলো সিলিকনের প্লেটের ওপর খোদাই করা বিদ্যুৎ পরিবাহী খুব ছোট অসংখ্য সার্কিটের সমষ্টি। এই সার্কিটগুলোর কাজ বিদ্যুৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা, বিভিন্ন কম্বিনেশনে সুইচ অন-অফ করা। আর এই সুইচ অন-অফের ভাষা হলো বাইনারি-১, মানে বিদ্যুৎ আছে ০ মানে বিদ্যুৎ নেই। কম্পিউটারের সব ধরনের লজিক্যাল প্রসেসিংয়ের মূলে রয়েছে এই বাইনারি ভাষা।
আমরা মানুষ যে ভাষায় কথা বলি, ছবি অথবা দৃশ্য, সুর অথবা তালের কোনোটাই কম্পিউটার বোঝে না, যতক্ষণ না তা বাইনারিতে রূপান্তর করে তাকে বোঝানো হয়। বিভিন্ন ধরনের এআই সফটওয়্যার দিয়ে আমরা বিপুল পরিমাণে ইমেজ, সাউন্ড ও টেক্সট ডেটা প্রসেসিং করছি আমাদের নানামুখী কাজের প্রয়োজনে। আর্টিকেল, গল্প, স্ক্রিপ্ট কিংবা গবেষণা প্রতিবেদন লেখা, ওয়েব সার্চ করা, প্রম্পট বুঝে তার ভিত্তিতে ইমেজ তৈরি করা, ব্যস্ত সড়কে ছুটে চলা অসংখ্য যানবাহনের ভিড়ে সেলফ ড্রাইভিং গাড়ি চালানোর মতো বিভিন্ন জটিল কাজ সম্পন্ন করতে বিভিন্ন এআই সফটওয়্যারকে প্রচুর ডেটা বিশ্লেষণ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এই সব ডেটা বাইনারিতে রূপান্তর করার পর এর পরিমাণ অভাবনীয় রকমের বেড়ে যায়। সেই বিপুল পরিমাণ বাইনারি ডেটা বিশ্লেষণ করে আবার তা মানুষের বোঝার মতো অক্ষর-সংখ্যা-চিত্র-শব্দের ভাষায় রূপান্তর করে উপস্থাপন করার জন্য প্রয়োজন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপ। এআই প্রযুক্তির জগতে প্রতিবছর সফটওয়্যার মডেল উন্নততর হচ্ছে। নতুন এআই মডেলগুলো আগের বছরের তুলনায় গড়ে ৪ গুণ বেশি ডেটা নিয়ে কাজ করতে পারে। সফটওয়্যারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হার্ডওয়্যার তৈরি করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
গুগলের টিপিইউ, মাইক্রোসফটের এমএআইএ ১০০ এবং আমাজনের ট্রেইনিয়াম ২-এর পর এবার মেটার ‘আর্টেমিস’ এআই চিপ প্রযুক্তির বিকাশের আরেকটি বড় অর্জন। তবে চিপ ডিজাইনের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে।
গোটা বিশ্বে উচ্চপর্যায়ের বিশ্লেষণ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপের ৯০ শতাংশ উৎপাদন করে তাইওয়ানের টিএসএমসি। চাহিদামাফিক যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় এই একটিমাত্র কোম্পানির ওপর নির্ভর করে অ্যাপল, এনভিডিয়া, টেসলাসহ বিভিন্ন ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় অর্ডার দেওয়া চিপ হাতে পাওয়ার জন্য। গ্রাহকপর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের এআই ফিচারের চাহিদা যত বাড়ছে, ততই এআই চিপের এই সংকট বাড়ছে। এদিকে তাইওয়ান দ্বীপের ওপর চীনের লোলুপ দৃষ্টি আর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গ্লোবাল চিপ সাপ্লাই চেইন থেকে চীনকে একঘরে করার নীতি চিপ সরবরাহকে আরও বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে চিপ এবং ভালো পারফরম্যান্সের ডিভাইসের দাম ক্রমেই ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ, কৃষি খাত এবং শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত আইওটি ডিভাইস, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা, স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স থেকে ইলেকট্রিক কার, এমনকি চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত রোবট পর্যন্ত সব ধরনের যন্ত্রেই এআই প্রযুক্তির নিত্যনতুন প্রয়োগের পদ্ধতি উদ্ভাবিত হচ্ছে। বিরাট জনগোষ্ঠীর জন্য অতি উপকারী এই আইডিয়াগুলো সবার ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে সাশ্রয়ী এআই চিপের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই।
তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ, ওয়াইটেক নিউজ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়ার জন্য ১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে বিশ্বের অন্যতম চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এএমডি। প্রযুক্তি বিশ্বে এআই কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তা কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়। বিশেষ করে এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সাফল্য দেখে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এ
২ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে গতকাল বৃহস্পতিবার ৭৯৮ মিলিয়ন বা ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ইউরো (৮৪ কোটি ডলার) জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবায় ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করায় এই জরিমানা
৩ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে মিডরেঞ্জের সেরা পারফর্মিং স্মার্টফোন অনার এক্স৭সি নিয়ে এসেছে অনার বাংলাদেশ। সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনের দাম মাত্র ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। গত ১২ নভেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে, যা ডিভাইসটি অনারের ব্র্যান্ড বা যেকোনো রিটেইল শপে কেনা যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেসুরক্ষা টুলগুলো কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে গুগল। টুল দুটি এখন গুগল পিক্সেল ৬ ও নতুন মডেলগুলোতে চালু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের গুগল বেটা প্রোগ্রামের ব্যবহারকারীরা স্ক্যাম ডিটেকশন ইন ফোন টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
২০ ঘণ্টা আগে