অনলাইন ডেস্ক
প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোকে দমিয়ে রেখে স্মার্টফোনের বাজারে একচেটিয়া ব্যবসার অভিযোগ তুলে এবার মামলা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুগান্তকারী এই মামলার খবর বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলছে, গ্রাহক ও ডেভেলপারদের ‘লক ইন’ বা আটকানোর জন্য আইফোন অ্যাপ স্টোর নিয়ন্ত্রণের অপব্যবহার করেছে অ্যাপল। কোম্পানিটি প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ ও পণ্যগুলোকে হুমকি হিসেবে দেখে। এসব অ্যাপ ও পণ্যকে ব্যর্থ ও কম আকর্ষণীয় করে তুলতে অ্যাপল অবৈধ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
অ্যাপল ‘জোরালোভাবে’ মামলার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দাবিগুলোও অস্বীকার করেছে।
নিউজার্সির একটি ফেডারেল আদালতে ১৬টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা একসঙ্গে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলা অ্যাপলের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য অ্যাপলের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গ্রাহকদের খরচ বাড়াতে, উদ্ভাবন দমিয়ে রাখাতে, নিজের মুনাফা বাড়ানোর জন্য ‘একটি শেপশিফটিং নিয়ম’ (নিজের প্রয়োজন অনুসারে নিয়ম পরিবর্তন করা) ব্যবহার করেছে অ্যাপল এবং কোম্পানিটির হার্ডওয়্যার সফটওয়্যারগুলোতে অ্যাকসেস সীমাবদ্ধ করেছে।
৮৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে পাঁচটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়, যেখানে অ্যাপল তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগপত্রে বলা হয়, অ্যাপল তথাকথিত সুপার অ্যাপস ও স্ট্রিমিং অ্যাপগুলোর বিকাশকে বাধা দিতে তার অ্যাপ রিভিউ প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে। কারণ এ ধরনের অ্যাপের জন্য গ্রাহকেরা আইফোন ব্যবহারে কম উৎসাহ পাবে বলে কোম্পানিটি উদ্বিগ্ন ছিল।
অ্যাপল প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো তৈরি স্মার্ট ঘড়িগুলোর সঙ্গে আইফোনের সংযুক্ত করা প্রক্রিয়াটি কঠিন করে তুলেছে, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলোকে ট্যাপ-টু-পে প্রযুক্তি অ্যাকসেস করতে বাধা দিয়েছে। ফলে অ্যাপল পে ট্রান্সজেকশনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার ফি গ্রাহক ও ডেভেলপারদের কাছ থেকে আদায় করে কোম্পানিটি।
অভিযোগটি প্রতিদ্বন্দ্বী ফোনগুলো থেকে পাঠানো বার্তাগুলোকে অ্যাপল সবুজ আইকোন দিয়ে আলাদা করে এবং ভিডিও ও অন্যান্য ফিচারও সীমিত করে। অ্যাপলের পদক্ষেপগুলো তরুণদের মধ্যে একধরনের ‘সামাজিক নিন্দা’ তৈরি করেছে, যা প্রযুক্তি জায়ান্টটিকে বাজারে তার দখল বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। অর্থাৎ, অ্যাপলের আইমেসেজ ব্যবহার না করলে অন্যদের সামাজিকভাবে হেয় করার প্রবণতা দেখা যায়।
মার্কিন আইনের অধীনে কোম্পানিটি তার ব্যবসায়িক অংশীদার নির্বাচন করতে স্বাধীন ছিল। কোম্পানির নিয়মগুলোকে ন্যায্য বলে উপস্থাপন করার জন্য গোপনীয়তা ও সুরক্ষা উদ্বেগের বিষয়টি তুলে এনেছিল।
আদালতকে মামলাটি খারিজ করার অনুরোধ করবে অ্যাপল। তবে এই অনুরোধ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অ্যাপল বলছে, ‘তথ্য ও আইনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি ভুল এবং আমরা এর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়াই করব।’
২০০৯ সাল থেকে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে তৃতীয়বারের মতো আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছে অ্যাপল এবং রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে কোম্পানির বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম অ্যান্টি-ট্রাস্ট চ্যালেঞ্জ।
যদি সরকার মামলায় জয়লাভ করে, তবে এটি অ্যাপলকে তার বর্তমান চুক্তি ও অনুশীলনগুলো সংশোধন করতে বাধ্য করতে পারে, এমনকি কোম্পানিটি ভেঙে ফেলতে পারে। কারণ বিনিয়োগকারীদের ওপরও আইনি লড়াইয়ের প্রভাব পরায় অ্যাপলের শেয়ার ৪ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
তবে এসব পরিবর্তন বাস্তবায়িত হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। কারণ মামলাটি আদালতে নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লাগবে। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রেবেকা অ্যালেনসওয়ার্থ মামলাটিকে ‘ব্লকবাস্টার’ হিসেবে অভিহিত করেন। এর আগে গুগল, মেটা ও আমাজন সবাই একই ধরনের মামলার মুখোমুখি হয়েছে।
তিনি বলেন, স্মার্টফোনের কার্যকারিতা বাড়ানো, প্রযুক্তি ও সফটওয়্যারকে ভোক্তা এবং অন্যান্য ব্যবসায়ের কাছে আরও অ্যাকসেসযোগ্য করে তোলার মতো বিষয় এই মামলার মূলে রয়েছে। মামলাটি অ্যাপলকে ছোট ইউনিটে বিভক্ত করা বা বিভাজন বন্ধ করার বিষয়ে নয়। অ্যাপল তার আইওএস ইকোসিস্টেমে ও ব্যবসায়িক অনুশীলনের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে।
ফোর্টনাইট গেম প্রস্তুতকারক এপিক গেমসের সঙ্গে একটি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জড়িত অ্যাপল। মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করার জন্য গত মাসে অ্যাপলকে ১৮০ কোটি ইউরো (১৫০ কোটি পাউন্ড) জরিমানা করা হয়।
ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের বাইরে অর্থ প্রদানের বিকল্পগুলো ব্যবহারকারীদের জানানোর ক্ষেত্রে স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোকে বাধা দিয়েছে কোম্পানিটি।
কমপিটিশন কমিশনার মার্গ্রেথ ভেস্টেগার বলেছেন, অ্যাপল এক দশক ধরে বাজারে তার প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করেছে এবং প্রযুক্তি জায়ান্টকে সমস্ত বিধিনিষেধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। তবে অ্যাপল জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
ওহাইওর কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির ব্যবসায়িক আইনের অধ্যাপক আনাট অ্যালন-বেক বলেছেন, বিচার বিভাগের নতুন মামলাটির ব্যাপকতা ইইউর আগের আইনি চ্যালেঞ্জের তুলনায় বেশি। মামলাটি কেবল ৩০ শতাংশ অ্যাপ স্টোরের ফি সম্পর্কে নয়। অ্যাপলের মূল অন্যায় এর অন্যায্য আচরণ।
তিনি আরও বলেন, পদ্ধতিগতভাবে অ্যাপল ইকোসিস্টেম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাদ দেয় কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে অনেক স্টার্টআপ ব্যবসা, স্টেকহোল্ডার, গ্রাহক এবং শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি করছে অ্যাপল।
বিচার বিভাগের মতে, মার্কিন স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলের শেয়ার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিস্তৃত স্মার্টফোন বাজারে কোম্পানিটির শেয়ার ৬৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোকে দমিয়ে রেখে স্মার্টফোনের বাজারে একচেটিয়া ব্যবসার অভিযোগ তুলে এবার মামলা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুগান্তকারী এই মামলার খবর বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলছে, গ্রাহক ও ডেভেলপারদের ‘লক ইন’ বা আটকানোর জন্য আইফোন অ্যাপ স্টোর নিয়ন্ত্রণের অপব্যবহার করেছে অ্যাপল। কোম্পানিটি প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ ও পণ্যগুলোকে হুমকি হিসেবে দেখে। এসব অ্যাপ ও পণ্যকে ব্যর্থ ও কম আকর্ষণীয় করে তুলতে অ্যাপল অবৈধ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
অ্যাপল ‘জোরালোভাবে’ মামলার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দাবিগুলোও অস্বীকার করেছে।
নিউজার্সির একটি ফেডারেল আদালতে ১৬টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা একসঙ্গে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলা অ্যাপলের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য অ্যাপলের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গ্রাহকদের খরচ বাড়াতে, উদ্ভাবন দমিয়ে রাখাতে, নিজের মুনাফা বাড়ানোর জন্য ‘একটি শেপশিফটিং নিয়ম’ (নিজের প্রয়োজন অনুসারে নিয়ম পরিবর্তন করা) ব্যবহার করেছে অ্যাপল এবং কোম্পানিটির হার্ডওয়্যার সফটওয়্যারগুলোতে অ্যাকসেস সীমাবদ্ধ করেছে।
৮৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে পাঁচটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়, যেখানে অ্যাপল তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগপত্রে বলা হয়, অ্যাপল তথাকথিত সুপার অ্যাপস ও স্ট্রিমিং অ্যাপগুলোর বিকাশকে বাধা দিতে তার অ্যাপ রিভিউ প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে। কারণ এ ধরনের অ্যাপের জন্য গ্রাহকেরা আইফোন ব্যবহারে কম উৎসাহ পাবে বলে কোম্পানিটি উদ্বিগ্ন ছিল।
অ্যাপল প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো তৈরি স্মার্ট ঘড়িগুলোর সঙ্গে আইফোনের সংযুক্ত করা প্রক্রিয়াটি কঠিন করে তুলেছে, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলোকে ট্যাপ-টু-পে প্রযুক্তি অ্যাকসেস করতে বাধা দিয়েছে। ফলে অ্যাপল পে ট্রান্সজেকশনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার ফি গ্রাহক ও ডেভেলপারদের কাছ থেকে আদায় করে কোম্পানিটি।
অভিযোগটি প্রতিদ্বন্দ্বী ফোনগুলো থেকে পাঠানো বার্তাগুলোকে অ্যাপল সবুজ আইকোন দিয়ে আলাদা করে এবং ভিডিও ও অন্যান্য ফিচারও সীমিত করে। অ্যাপলের পদক্ষেপগুলো তরুণদের মধ্যে একধরনের ‘সামাজিক নিন্দা’ তৈরি করেছে, যা প্রযুক্তি জায়ান্টটিকে বাজারে তার দখল বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। অর্থাৎ, অ্যাপলের আইমেসেজ ব্যবহার না করলে অন্যদের সামাজিকভাবে হেয় করার প্রবণতা দেখা যায়।
মার্কিন আইনের অধীনে কোম্পানিটি তার ব্যবসায়িক অংশীদার নির্বাচন করতে স্বাধীন ছিল। কোম্পানির নিয়মগুলোকে ন্যায্য বলে উপস্থাপন করার জন্য গোপনীয়তা ও সুরক্ষা উদ্বেগের বিষয়টি তুলে এনেছিল।
আদালতকে মামলাটি খারিজ করার অনুরোধ করবে অ্যাপল। তবে এই অনুরোধ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অ্যাপল বলছে, ‘তথ্য ও আইনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি ভুল এবং আমরা এর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়াই করব।’
২০০৯ সাল থেকে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে তৃতীয়বারের মতো আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছে অ্যাপল এবং রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে কোম্পানির বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম অ্যান্টি-ট্রাস্ট চ্যালেঞ্জ।
যদি সরকার মামলায় জয়লাভ করে, তবে এটি অ্যাপলকে তার বর্তমান চুক্তি ও অনুশীলনগুলো সংশোধন করতে বাধ্য করতে পারে, এমনকি কোম্পানিটি ভেঙে ফেলতে পারে। কারণ বিনিয়োগকারীদের ওপরও আইনি লড়াইয়ের প্রভাব পরায় অ্যাপলের শেয়ার ৪ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
তবে এসব পরিবর্তন বাস্তবায়িত হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। কারণ মামলাটি আদালতে নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লাগবে। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রেবেকা অ্যালেনসওয়ার্থ মামলাটিকে ‘ব্লকবাস্টার’ হিসেবে অভিহিত করেন। এর আগে গুগল, মেটা ও আমাজন সবাই একই ধরনের মামলার মুখোমুখি হয়েছে।
তিনি বলেন, স্মার্টফোনের কার্যকারিতা বাড়ানো, প্রযুক্তি ও সফটওয়্যারকে ভোক্তা এবং অন্যান্য ব্যবসায়ের কাছে আরও অ্যাকসেসযোগ্য করে তোলার মতো বিষয় এই মামলার মূলে রয়েছে। মামলাটি অ্যাপলকে ছোট ইউনিটে বিভক্ত করা বা বিভাজন বন্ধ করার বিষয়ে নয়। অ্যাপল তার আইওএস ইকোসিস্টেমে ও ব্যবসায়িক অনুশীলনের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে।
ফোর্টনাইট গেম প্রস্তুতকারক এপিক গেমসের সঙ্গে একটি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জড়িত অ্যাপল। মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করার জন্য গত মাসে অ্যাপলকে ১৮০ কোটি ইউরো (১৫০ কোটি পাউন্ড) জরিমানা করা হয়।
ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের বাইরে অর্থ প্রদানের বিকল্পগুলো ব্যবহারকারীদের জানানোর ক্ষেত্রে স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোকে বাধা দিয়েছে কোম্পানিটি।
কমপিটিশন কমিশনার মার্গ্রেথ ভেস্টেগার বলেছেন, অ্যাপল এক দশক ধরে বাজারে তার প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করেছে এবং প্রযুক্তি জায়ান্টকে সমস্ত বিধিনিষেধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। তবে অ্যাপল জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
ওহাইওর কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির ব্যবসায়িক আইনের অধ্যাপক আনাট অ্যালন-বেক বলেছেন, বিচার বিভাগের নতুন মামলাটির ব্যাপকতা ইইউর আগের আইনি চ্যালেঞ্জের তুলনায় বেশি। মামলাটি কেবল ৩০ শতাংশ অ্যাপ স্টোরের ফি সম্পর্কে নয়। অ্যাপলের মূল অন্যায় এর অন্যায্য আচরণ।
তিনি আরও বলেন, পদ্ধতিগতভাবে অ্যাপল ইকোসিস্টেম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাদ দেয় কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে অনেক স্টার্টআপ ব্যবসা, স্টেকহোল্ডার, গ্রাহক এবং শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি করছে অ্যাপল।
বিচার বিভাগের মতে, মার্কিন স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলের শেয়ার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিস্তৃত স্মার্টফোন বাজারে কোম্পানিটির শেয়ার ৬৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
আইফোনের জন্য নতুন আইওএস ১৮.১. ১ সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে এসেছে অ্যাপল। ডিভাইসের নিরাপত্তা বিষয়ক ত্রুটি সারাতে নতুন আপডেটটি নিয়ে আসা হয়েছে। আইফোনের সকল ব্যবহারকারীরকে আপডেটটি ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপল। তবে এই আপডেটের মাধ্যমে আইফোনে নতুন কোন ফিচার যুক্ত হবে না।
৪ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ২০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে গুগল। সেই সঙ্গে ২০ লাখ ডলার মূল্যের ক্লাউড সেবাও বরাদ্দ করবে টেক জায়ান্টটি। গত সোমবার এই উদ্যোগের ঘোষণা দেন গুগল ডিপমাইন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইউ ডেমিস হাসাবিস।
৬ ঘণ্টা আগেপেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফারদের জন্য ফুল-ফ্রেম মিররলেস ক্যামেরা ‘আলফা ১ II’ নিয়ে আসছে সনি ইলেকট্রনিকস। এই ক্যামেরায় দ্রুত গতিতে উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি তোলা যাবে। সেই সঙ্গে এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) বেশ কিছু ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে। তাই ক্যামেরাটি দিয়ে বন্যপ্রাণী, খেলাধুলা পোর্ট্রেট...
৭ ঘণ্টা আগেঅ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত পিক্সেল ল্যাপটপ নিয়ে আসতে পারে টেক জায়ান্ট গুগল। এটি একটি উচ্চমানের পিক্সেল ল্যাপটপ হতে পারে। গুগলের এই প্রকল্পে একটি নিবেদিত দল কাজ করছে...
৮ ঘণ্টা আগে