অনিন্দ্য চৌধুরী অর্ণব
১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর। সে সময় পদার্থবিজ্ঞানের অনেক মৌলিক বিষয় আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু কে জানত, অজানা এক রশ্মি আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞানেও খুলে দেবে নতুন দিগন্ত। অজানা সেই রশ্মির হাত ধরে ১৮৯৬ সালে ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী হেনরি বেকরেল আবিষ্কার করলেন রেডিও-অ্যাকটিভিটি বা তেজস্ক্রিয়তা। ১৮৯৭ সালে স্যার জোসেফ জন টমসন আবিষ্কার করলেন পদার্থের মৌলিক কণা ইলেকট্রন। বলছিলাম এক্স-রে আবিষ্কারের কথা।
জার্মান বিজ্ঞানী উইলহেম রন্টজেন একটি বায়ুশূন্য টিউব নিয়ে গবেষণা করছিলেন। টিউবটিকে তিনি কালো কার্ডবোর্ড দিয়ে চারদিক থেকে ঢেকে দেন। একটি বেরিয়াম প্লাটিনো-সায়ানাইড পেপার রাখা ছিল বেঞ্চের ওপর। ক্রুকস টিউবের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ চালানোর সময় তিনি দেখলেন, বেরিয়াম প্লাটিনো-সায়ানাইড পেপারে অদ্ভুত একটি কালো দাগ পড়েছে। তিনি ভেবে দেখলেন, এ রকম দাগ বেরিয়াম প্লাটিনো-সায়ানাইড পেপারে শুধু সরাসরি আলো প্রবেশ করলে পড়তে পারে। কিন্তু টিউব থেকে আলো আসার কোনো উপায় ছিল না। রন্টজেন বুঝতে পারলেন, সম্পূর্ণ নতুন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন তিনি। কিন্তু তখনই এ নিয়ে শোরগোল না ফেলে তিনি এ ধাঁধার সমাধানে সচেষ্ট হলেন।
রাত-দিন এক করে তিনি পড়ে রইলেন এই অজানা রশ্মি নিয়ে। একের পর এক পরীক্ষা চালিয়ে তিনি এর আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। অবশেষে ১৮৯৫ সালের ক্রিসমাস ইভের দিন মোটামুটি প্রস্তুত হলেন তিনি। তাঁর স্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন গবেষণাগারে।
যন্ত্রাদি চালু করে স্ত্রীর হাতটি রাখলেন একটি নতুন ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর। প্রায় ১৪ মিনিট ধরে এক্স-রে ফেলা হলো তাঁর হাতে। ফিল্মটি যখন ডেভেলপ করা হলো, দেখা গেল একটি হাতের ছবি এসেছে। তাতে ধরা পড়েছে আঙুলে থাকা আংটির ছবিও। তবে ছবিটি সাধারণ কোনো হাতের ছবির মতো ছিল না। হাতের প্রতিটি হাড় দেখা যাচ্ছিল সেই ছবিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আঙুলের আংটি যেন ঝুলে আছে একটি হাড়ের চারধারে। আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হওয়ার পর রন্টজেনের স্ত্রীর হাতের সেই ছবি পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
প্রফেসর রন্টজেন সেদিন জানতেন না, তিনি কী আবিষ্কার করেছেন। জানতেন না বলেই যেহেতু এক্স বীজগণিতে অজানা মান নির্দেশ করে, তাই অজানা এই রশ্মির নামকরণ করা হয় এক্স-রে। কেউ কেউ তাঁর নামে রন্টজেন-রে রাখতে চেয়েছিলেন এই রশ্মির নাম। কিন্তু তা টেকেনি। এক্স-রে নামই রয়ে গেছে। তবে তিনি বেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর এ আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানে বেশ উপযোগী হয়ে উঠতে পারে। এটি জেনেও একজন আদর্শ বিজ্ঞানীর মতো তিনি কোনো পেটেন্টের আবেদন করেননি। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন তাঁর এই আবিষ্কারকে।
১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর। সে সময় পদার্থবিজ্ঞানের অনেক মৌলিক বিষয় আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু কে জানত, অজানা এক রশ্মি আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞানেও খুলে দেবে নতুন দিগন্ত। অজানা সেই রশ্মির হাত ধরে ১৮৯৬ সালে ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী হেনরি বেকরেল আবিষ্কার করলেন রেডিও-অ্যাকটিভিটি বা তেজস্ক্রিয়তা। ১৮৯৭ সালে স্যার জোসেফ জন টমসন আবিষ্কার করলেন পদার্থের মৌলিক কণা ইলেকট্রন। বলছিলাম এক্স-রে আবিষ্কারের কথা।
জার্মান বিজ্ঞানী উইলহেম রন্টজেন একটি বায়ুশূন্য টিউব নিয়ে গবেষণা করছিলেন। টিউবটিকে তিনি কালো কার্ডবোর্ড দিয়ে চারদিক থেকে ঢেকে দেন। একটি বেরিয়াম প্লাটিনো-সায়ানাইড পেপার রাখা ছিল বেঞ্চের ওপর। ক্রুকস টিউবের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ চালানোর সময় তিনি দেখলেন, বেরিয়াম প্লাটিনো-সায়ানাইড পেপারে অদ্ভুত একটি কালো দাগ পড়েছে। তিনি ভেবে দেখলেন, এ রকম দাগ বেরিয়াম প্লাটিনো-সায়ানাইড পেপারে শুধু সরাসরি আলো প্রবেশ করলে পড়তে পারে। কিন্তু টিউব থেকে আলো আসার কোনো উপায় ছিল না। রন্টজেন বুঝতে পারলেন, সম্পূর্ণ নতুন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন তিনি। কিন্তু তখনই এ নিয়ে শোরগোল না ফেলে তিনি এ ধাঁধার সমাধানে সচেষ্ট হলেন।
রাত-দিন এক করে তিনি পড়ে রইলেন এই অজানা রশ্মি নিয়ে। একের পর এক পরীক্ষা চালিয়ে তিনি এর আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। অবশেষে ১৮৯৫ সালের ক্রিসমাস ইভের দিন মোটামুটি প্রস্তুত হলেন তিনি। তাঁর স্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন গবেষণাগারে।
যন্ত্রাদি চালু করে স্ত্রীর হাতটি রাখলেন একটি নতুন ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর। প্রায় ১৪ মিনিট ধরে এক্স-রে ফেলা হলো তাঁর হাতে। ফিল্মটি যখন ডেভেলপ করা হলো, দেখা গেল একটি হাতের ছবি এসেছে। তাতে ধরা পড়েছে আঙুলে থাকা আংটির ছবিও। তবে ছবিটি সাধারণ কোনো হাতের ছবির মতো ছিল না। হাতের প্রতিটি হাড় দেখা যাচ্ছিল সেই ছবিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আঙুলের আংটি যেন ঝুলে আছে একটি হাড়ের চারধারে। আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হওয়ার পর রন্টজেনের স্ত্রীর হাতের সেই ছবি পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
প্রফেসর রন্টজেন সেদিন জানতেন না, তিনি কী আবিষ্কার করেছেন। জানতেন না বলেই যেহেতু এক্স বীজগণিতে অজানা মান নির্দেশ করে, তাই অজানা এই রশ্মির নামকরণ করা হয় এক্স-রে। কেউ কেউ তাঁর নামে রন্টজেন-রে রাখতে চেয়েছিলেন এই রশ্মির নাম। কিন্তু তা টেকেনি। এক্স-রে নামই রয়ে গেছে। তবে তিনি বেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর এ আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানে বেশ উপযোগী হয়ে উঠতে পারে। এটি জেনেও একজন আদর্শ বিজ্ঞানীর মতো তিনি কোনো পেটেন্টের আবেদন করেননি। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন তাঁর এই আবিষ্কারকে।
দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর লক্ষ্যে খসড়া নির্দেশিকা চূড়ান্ত করতে জনগণের মতামত চেয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর এ পদক্ষেপ ব্যাকহোলিং, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকের ডেটা ব্যবহারের পাশাপাশি ডিজিটাল বিভাজন দূর করে স
২৯ মিনিট আগেহোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটকে আরও আকর্ষণীয় করতে কাস্টম স্টিকার তৈরি করে পাঠান অনেকেই। এই ধরনের স্টিকার খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এই ফিচারটি মাধ্যমের ব্যক্তির চেহারা বা বস্তুকে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আলাদা করে কাস্টম স্টিকার তৈরি করা যায়। প্ল্যাটফর্মটির কাস্টম স্টিকার অপশন তৈরি করার জন্য নিজের ছবি বা পছন্দমতো অন্য
১ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখন থেকে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে আর কনটেন্ট পোস্ট বা শেয়ার করবে না। তবে সংবাদমাধ্যমটির কনটেন্ট আগের মতোই এক্স-এ শেয়ার করতে পারবেন পাঠকেরা।
২ ঘণ্টা আগেআইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য জেমিনি অ্যাপ চালু করল গুগল। নতুন অ্যাপটির মাধ্যমে আইফোনে গুগলের এআই টুল ব্যবহার করা যাবে, যা দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা থেকে শুরু করে সৃজনশীল কাজ বিভিন্ন কাজে সাহায্য করবে। এ ছাড়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সও আসছে, যার মাধ্যমে আইফোন ব্যবহারকারীরা সিরি, চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির মাধ্যম
৫ ঘণ্টা আগে