এনভিডিয়ার সিইও যেভাবে হবু স্ত্রীর মনজয় করেছিলেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ১০
লরিকে হুয়াং বলেন, ৩০ বছর বয়সে একজন সিইও হয়ে যাবেন তিনি। ছবি: প্রেস ফার্ম

প্রযুক্তির জগতের অন্যতম পরিচিত নাম চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেনসেন হুয়াং। তবে শুধু এনভিডিয়ার সাফল্যই তাঁর পুরো জীবনের গল্প নয়, বরং কলেজজীবনের একটি রোমান্টিক ও মজাদার অধ্যায়ও হুয়াংয়ের রয়েছে। যখন ১৭ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র হুয়াং তাঁর ১৯ বছরের হবু স্ত্রী লরি হুয়াংয়ের মন জয় করার চেষ্টা করেন, তখন পরিস্থিতি তাঁর পক্ষে ছিল না। তবে হুয়াংয়ের স্মার্ট কৌশল ও আত্মবিশ্বাস শিগগিরই লরির মন জয় করে।

গত সপ্তাহে হংকং বিশ্ববিদ্যালয় অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-তে একটি সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণের সময় তাঁর চেয়ে বড় বয়সী স্ত্রীর মন জয়ের কৌশল খোলাসা করেন জেনসন হুয়াং। তিনি বলেন, আমি ছিলাম ক্লাসের সবচেয়ে ছোট ছেলে। কলেজে ছিল ২৫০ জন ছাত্র, তাঁর মধ্যে ৩ জন মেয়ে।

হুয়াং আরও বলেন, তিনি ছিলেন একমাত্র ছাত্র যার চেহারা ‘শিশুর মতো দেখতে’ ছিল।

হুয়াং তাঁর শিশুর চেহারা নিয়েই হবু স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করা চেষ্টা করেন। তিনি তাঁর হবু স্ত্রীকে বলেন, হুয়াংয়ের হোমওয়ার্ক দেখতে চাইলে একটি চুক্তি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি তুমি প্রতি রবিবার আমার সঙ্গে হোমওয়ার্ক কর, আমি তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তুমি বিষয়গুলো ‘এ’ পাবে।’

এর পর থেকে হুয়াং প্রতি রবিবার লরির সঙ্গে ডেটিং করেন। লরিকে হুয়াং বলেন, ৩০ বছর বয়সে একজন সিইও হয়ে যাবেন তিনি।

অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওয়েবসাইটে হুয়াংয়ের জীবনী অনুসারে, প্রথম সাক্ষাতের পাঁচ বছর পর হুয়াং লরি মিলসকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে, ম্যাডিসন ও স্পেনসার। ম্যাডিসন এনভিডিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর এবং স্পেনসার এনভিডিয়ার সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার।

১৯৮৪ সালে অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি (ওএসইউ) থেকে স্নাতক করার পর হুয়াং চিপ কোম্পানি এলএসআই লজিক এবং অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (এএমডি)-এ কাজ করেন। এরপর ১৯৯২ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করতে শুরু করেন এবং এক বছর পর ১৯৯৩ সালে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিপ্লবের ফলে এই কোম্পানিটি বর্তমানে ৩ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হিসেবে পরিণত হয়েছে।

এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সময় হুয়াংয়ের বয়স ৩০ বছর ছিল।

সিইও প্রায়ই এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠার গল্প শেয়ার করেন। তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রেস্তোরা ডেনি’সে বসে খাবার খাচ্ছিলেন, তখনই গ্রাফিক্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ধারণাটি তাঁর মাথায় আসে। ২০১০ সালের একটি নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাক্ষাৎকারে হুয়াং বলেছিলেন, ছাত্রাবস্থায় তিনি ডেনি’সে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন।

বর্তমানে হুয়াংয়ের মোট সম্পদ আনুমানিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার।

জেনসন হুয়াংয়ের সিগনেচার স্টাইল—কালো চামড়ার জ্যাকেট। এ জন্য তিনি স্ত্রী এবং মেয়েকে কৃতিত্ব দেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি এইচপি-এর অনলাইন শো ‘দ্য মোমেন্ট’-এ এক সাক্ষাৎকারে, হোস্ট রায়ান প্যাটেল হুয়াংকে প্রশ্ন করেন যে, ‘ডেনি’সে বসে তখন আপনি কী কখনো ভেবেছিলেন যে আপনি ভবিষ্যতে স্টাইল আইকন হবেন? কিন্তু এখন তো আপনি সেই স্টাইল স্টার। আপনি এ বিষয়ে কী ভাবেন?’

হুয়াং হাসতে হাসতে উত্তর দেন, ‘এটা আমাকে নিয়ে বলো না। আমি খুশি যে আমার স্ত্রী এবং মেয়ে আমাকে এই ধরনের পোশাক পরতে সাহায্য করে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত