ক্রীড়া ডেস্ক
‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ হিসেবে পরিচিত অলিম্পিক নিয়ে যে উন্মাদনা, ফুটবলে বিশ্বকাপ এলে সেই উন্মাদনা বেড়ে যায় কয়েক শ গুণ। সমগ্র বিশ্ব যে ফুটবলজ্বরে আক্রান্ত থাকে এই কটা দিন। প্রতি চার বছর পরপর জুন-জুলাইয়ে সমগ্র পৃথিবী একটা বিন্দুতে মিলে যায়। ফুটবল আবেগের সর্বোচ্চ প্রদর্শনীও দেখা যায় বিশ্বকাপে। এবার এই মহাযজ্ঞ বসবে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দেশ কাতারে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের দিন গণনা এর মধ্যে শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপকে বরণ করে নিতে এখন থেকে অধীর আগ্রহ ক্রীড়াপ্রেমীরা। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে কাতারের নান্দনিক স্টেডিয়ামগুলো।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল হবে কাতারের পাঁচটি শহরে আটটি নান্দনিক স্টেডিয়ামে। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, স্টেডিয়ামগুলো একই সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সেরাটা ব্যবহার করা হয়েছে। স্টেডিয়ামগুলো হবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আর পরিবেশবান্ধব।
আল জানুব স্টেডিয়ামটি এর আগে আল-ওয়াক্রাহ স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। স্টেডিয়ামটি ২০১৯ সালের ২৬ মে উদ্বোধন করা হয়। স্টেডিয়ামটি কাতারের আল-ওয়াক্রাহ শহরের ফুটবল ক্লাব আল-ওয়াক্রাহর ব্যবহৃত একটি মাঠ। বর্তমানে এটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। বিশ্বকাপের পরে আবার সংস্কার করে এর আসনসংখ্যা করা হবে ২০ হাজার।
আল থুমামাহ স্টেডিয়াম কাতার বিশ্বকাপের আরেকটি আয়োজক ভেন্যু। এই স্টেডিয়াম কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম কাতারের জাতীয় স্টেডিয়াম। এটি কাতারের দোহায় অবস্থিত। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম কাতারে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামটি কাতারের সবচেয়ে পুরোনো স্টেডিয়ামগুলোর একটি। বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৬৮ হাজার।
রাস আবু আবুদ স্টেডিয়াম কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম আরেকটি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ম্যাচ আয়োজন করা হবে এই স্টেডিয়ামে। এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজারের মতো। এটির নকশায় ব্যবহৃত হয়েছে ব্যবহারযোগ্য শিপিং কন্টেইনার। ২০২২ বিশ্বকাপ শেষে এই স্টেডিয়ামকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম কাতারের আল রাইয়ান শহরে অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি নির্মাণ করা হয় ২০০৩ সালে। স্টেডিয়ামটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় নকশায় নির্মাণ করা হয়েছে। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে যেন কোনো থ্রি-ডি সিনেমা দেখা হচ্ছে। বসার চেয়ারগুলো ব্যবহার করা যাবে ইচ্ছামতো। স্টেডিয়ামের আলোকসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের বাতি। স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম কাতারের আল-রাইয়ান এলাকায় অবস্থিত। এটি বাহরাইন থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। ২০২০ সালে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম কাতারের সব চেয়ে বড় স্টেডিয়াম। এর অবস্থান কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে লুসাইল সিটিতে। স্টেডিয়ামটি চলবে সম্পূর্ণ নিজস্ব সৌরশক্তি দিয়ে এবং স্টেডিয়ামে থাকবে কাচের বিশেষ আবরণ। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৮০ হাজার।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে রাজধানী দোহা থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরের শহর আল খোর অবস্থিত আল বায়াত স্টেডিয়ামে। ২১ নভেম্বর বেলা ১টায় ‘এ’ গ্রুপের দল সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস। উদ্বোধনী দিনের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক কাতার। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ব্যস্ততম ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে আল বায়াত স্টেডিয়ামকে। ৬০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালসহ গ্রুপ পর্বের ৯টি ম্যাচ হবে।
কাতার বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ হিসেবে পরিচিত অলিম্পিক নিয়ে যে উন্মাদনা, ফুটবলে বিশ্বকাপ এলে সেই উন্মাদনা বেড়ে যায় কয়েক শ গুণ। সমগ্র বিশ্ব যে ফুটবলজ্বরে আক্রান্ত থাকে এই কটা দিন। প্রতি চার বছর পরপর জুন-জুলাইয়ে সমগ্র পৃথিবী একটা বিন্দুতে মিলে যায়। ফুটবল আবেগের সর্বোচ্চ প্রদর্শনীও দেখা যায় বিশ্বকাপে। এবার এই মহাযজ্ঞ বসবে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দেশ কাতারে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের দিন গণনা এর মধ্যে শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপকে বরণ করে নিতে এখন থেকে অধীর আগ্রহ ক্রীড়াপ্রেমীরা। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে কাতারের নান্দনিক স্টেডিয়ামগুলো।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল হবে কাতারের পাঁচটি শহরে আটটি নান্দনিক স্টেডিয়ামে। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, স্টেডিয়ামগুলো একই সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সেরাটা ব্যবহার করা হয়েছে। স্টেডিয়ামগুলো হবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আর পরিবেশবান্ধব।
আল জানুব স্টেডিয়ামটি এর আগে আল-ওয়াক্রাহ স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। স্টেডিয়ামটি ২০১৯ সালের ২৬ মে উদ্বোধন করা হয়। স্টেডিয়ামটি কাতারের আল-ওয়াক্রাহ শহরের ফুটবল ক্লাব আল-ওয়াক্রাহর ব্যবহৃত একটি মাঠ। বর্তমানে এটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। বিশ্বকাপের পরে আবার সংস্কার করে এর আসনসংখ্যা করা হবে ২০ হাজার।
আল থুমামাহ স্টেডিয়াম কাতার বিশ্বকাপের আরেকটি আয়োজক ভেন্যু। এই স্টেডিয়াম কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম কাতারের জাতীয় স্টেডিয়াম। এটি কাতারের দোহায় অবস্থিত। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম কাতারে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামটি কাতারের সবচেয়ে পুরোনো স্টেডিয়ামগুলোর একটি। বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৬৮ হাজার।
রাস আবু আবুদ স্টেডিয়াম কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম আরেকটি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ম্যাচ আয়োজন করা হবে এই স্টেডিয়ামে। এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজারের মতো। এটির নকশায় ব্যবহৃত হয়েছে ব্যবহারযোগ্য শিপিং কন্টেইনার। ২০২২ বিশ্বকাপ শেষে এই স্টেডিয়ামকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম কাতারের আল রাইয়ান শহরে অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি নির্মাণ করা হয় ২০০৩ সালে। স্টেডিয়ামটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় নকশায় নির্মাণ করা হয়েছে। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে যেন কোনো থ্রি-ডি সিনেমা দেখা হচ্ছে। বসার চেয়ারগুলো ব্যবহার করা যাবে ইচ্ছামতো। স্টেডিয়ামের আলোকসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের বাতি। স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম কাতারের আল-রাইয়ান এলাকায় অবস্থিত। এটি বাহরাইন থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। ২০২০ সালে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম কাতারের সব চেয়ে বড় স্টেডিয়াম। এর অবস্থান কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে লুসাইল সিটিতে। স্টেডিয়ামটি চলবে সম্পূর্ণ নিজস্ব সৌরশক্তি দিয়ে এবং স্টেডিয়ামে থাকবে কাচের বিশেষ আবরণ। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৮০ হাজার।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে রাজধানী দোহা থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরের শহর আল খোর অবস্থিত আল বায়াত স্টেডিয়ামে। ২১ নভেম্বর বেলা ১টায় ‘এ’ গ্রুপের দল সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস। উদ্বোধনী দিনের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক কাতার। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ব্যস্ততম ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে আল বায়াত স্টেডিয়ামকে। ৬০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালসহ গ্রুপ পর্বের ৯টি ম্যাচ হবে।
কাতার বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৪ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
৫ ঘণ্টা আগে