বোরহান জাবেদ
ঢাকা: ২০১১-২০১২ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিতে এসেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। স্পেন ছেড়ে প্রিমিয়ার লিগের গতিময়, আক্রমণাত্মক ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খুব একটু সময় নেননি। প্রথম মৌসুমেই ৪৪ বছর পর সিটির লিগ শিরোপা জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পরের দশ বছরে ছোট-বড় মিলে সিটির আরও ডজনখানেক ট্রফি জয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আগুয়েরো।
সব ট্রফির ভিড়ে সিটি সমর্থকদের একটাই আক্ষেপ—ইউরোপ সেরার মুকুটটা পরা হয়নি এখনো। ইতিহাদে কান পাতলেও এই একটি ট্রফির হাহাকারই শোনা যাবে। যতই সময় যাচ্ছে হাহাকারটা দীর্ঘ হচ্ছে। সমর্থকদের দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়েছে আগুয়েরোকেও। ২০১৪ প্রিমিয়ার লিগ জিতে তাই ঘোষণা দেন, সিটিকে ইউরোপ সেরা না বানিয়ে ক্লাব ছাড়বেন না!
আগুয়েরোর আজ সেই কথা রাখার রাত। কয়েক ঘণ্টা পরই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। অল ইংলিশ ফাইনালে কে এগিয়ে, এসব নিয়ে চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। চেলসি একবার ইউরোপ সেরা হলেও এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে সিটির হয়ে আগুয়েরোর শেষ ম্যাচ।
এ মৌসুমে সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ আগুয়েরোর। মৌসুম শেষের আগেই চুক্তি না বাড়িয়ে ক্লাব ছাড়ার ব্যাপার নিশ্চিত করেছেন এই আর্জেন্টাইন। আগুয়েরোর চলে যাওয়া সিটির একটি অধ্যায়েরও সমাপ্তি।
২০১২ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন আগুয়েরো। ম্যানচেস্টারের ক্লাব বলতে তখন সবাই ইউনাইটেডকেই চিনত। এর একটা বড় অংশ জুড়ে ছিলেন ইউনাইটেড কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ফার্গুসনকে একবার ইউনাইটেডের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তাঁর তালিকায় লিভারপুল আর আর্সেনাল থাকলেও সিটির ঠাঁই হয়নি। তখন অবশ্য এটা অবাক করার মতো ব্যাপারও ছিল না। লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূরে থাক মৌসুম শেষে অবনমন বাঁচাতেই লড়ত সিটি। সেই সিটি এখন প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল। এখন ইউরোপসেরা হওয়া থেকে আরেক একধাপ দূরে তারা।
সিটির এই উত্থানে আগুয়েরোর নামটা সবার আগেই আসবে। প্রিমিয়ার লিগে তাঁর গোল ১৮৪টি। এই ১৮৪ গোলের পথে অন্তত দুটি রেকর্ড একেবারে নিজের করে নিয়েছেন, একটিতে ভাগ বসিয়েছেন। সিটির ইতিহাসের আগুয়েরোর চেয়ে বেশি গোল করতে পারেননি আর কেউ। বিদায়বেলায় গত ২৩ মে এভারটনের বিপক্ষে ২ গোল করে ওয়েইন রুনির ১৮৩ গোলের রেকর্ড পেছনে ফেলে প্রিমিয়ার লিগে নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। ১৮৪ গোল করে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতার নামটাও আগুয়েরো।
২০১১-২০১২ মৌসুমের পর মাঝে ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে লেস্টার সিটি আর ২০১৯-২০২০ মৌসুমে লিভারপুলের নামটা বাদ দিলে পাঁচবারই লিগের সেরা হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এতে আগুয়েরোর অবদান কতটা, ওপরের পরিসংখ্যানই উচ্চ স্বরে বলে দিচ্ছে।
বিদায়লগ্নে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার পরিচয়ে বিদায় নেবেন। আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে ম্যানচেস্টার শহরে যেদিন প্রথম পা রেখেছিলেন, আগুয়েরো কি এত কিছু ভেবেছিলেন? যা ভাবেননি, সেসবের অনেক কিছুই হয়তো পেয়ে গেছেন। কিন্তু যেটা ভেবেছেন, সেটি এখনো অধরা—একটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।
আজ রাতে যদি সেটি পেয়েই যান, এর চেয়ে সুন্দর বিদায় আর কী হতে পারে আগুয়েরোর!
ঢাকা: ২০১১-২০১২ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিতে এসেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। স্পেন ছেড়ে প্রিমিয়ার লিগের গতিময়, আক্রমণাত্মক ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খুব একটু সময় নেননি। প্রথম মৌসুমেই ৪৪ বছর পর সিটির লিগ শিরোপা জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পরের দশ বছরে ছোট-বড় মিলে সিটির আরও ডজনখানেক ট্রফি জয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আগুয়েরো।
সব ট্রফির ভিড়ে সিটি সমর্থকদের একটাই আক্ষেপ—ইউরোপ সেরার মুকুটটা পরা হয়নি এখনো। ইতিহাদে কান পাতলেও এই একটি ট্রফির হাহাকারই শোনা যাবে। যতই সময় যাচ্ছে হাহাকারটা দীর্ঘ হচ্ছে। সমর্থকদের দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়েছে আগুয়েরোকেও। ২০১৪ প্রিমিয়ার লিগ জিতে তাই ঘোষণা দেন, সিটিকে ইউরোপ সেরা না বানিয়ে ক্লাব ছাড়বেন না!
আগুয়েরোর আজ সেই কথা রাখার রাত। কয়েক ঘণ্টা পরই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। অল ইংলিশ ফাইনালে কে এগিয়ে, এসব নিয়ে চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। চেলসি একবার ইউরোপ সেরা হলেও এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে সিটির হয়ে আগুয়েরোর শেষ ম্যাচ।
এ মৌসুমে সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ আগুয়েরোর। মৌসুম শেষের আগেই চুক্তি না বাড়িয়ে ক্লাব ছাড়ার ব্যাপার নিশ্চিত করেছেন এই আর্জেন্টাইন। আগুয়েরোর চলে যাওয়া সিটির একটি অধ্যায়েরও সমাপ্তি।
২০১২ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন আগুয়েরো। ম্যানচেস্টারের ক্লাব বলতে তখন সবাই ইউনাইটেডকেই চিনত। এর একটা বড় অংশ জুড়ে ছিলেন ইউনাইটেড কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ফার্গুসনকে একবার ইউনাইটেডের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তাঁর তালিকায় লিভারপুল আর আর্সেনাল থাকলেও সিটির ঠাঁই হয়নি। তখন অবশ্য এটা অবাক করার মতো ব্যাপারও ছিল না। লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূরে থাক মৌসুম শেষে অবনমন বাঁচাতেই লড়ত সিটি। সেই সিটি এখন প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল। এখন ইউরোপসেরা হওয়া থেকে আরেক একধাপ দূরে তারা।
সিটির এই উত্থানে আগুয়েরোর নামটা সবার আগেই আসবে। প্রিমিয়ার লিগে তাঁর গোল ১৮৪টি। এই ১৮৪ গোলের পথে অন্তত দুটি রেকর্ড একেবারে নিজের করে নিয়েছেন, একটিতে ভাগ বসিয়েছেন। সিটির ইতিহাসের আগুয়েরোর চেয়ে বেশি গোল করতে পারেননি আর কেউ। বিদায়বেলায় গত ২৩ মে এভারটনের বিপক্ষে ২ গোল করে ওয়েইন রুনির ১৮৩ গোলের রেকর্ড পেছনে ফেলে প্রিমিয়ার লিগে নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। ১৮৪ গোল করে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতার নামটাও আগুয়েরো।
২০১১-২০১২ মৌসুমের পর মাঝে ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে লেস্টার সিটি আর ২০১৯-২০২০ মৌসুমে লিভারপুলের নামটা বাদ দিলে পাঁচবারই লিগের সেরা হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এতে আগুয়েরোর অবদান কতটা, ওপরের পরিসংখ্যানই উচ্চ স্বরে বলে দিচ্ছে।
বিদায়লগ্নে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার পরিচয়ে বিদায় নেবেন। আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে ম্যানচেস্টার শহরে যেদিন প্রথম পা রেখেছিলেন, আগুয়েরো কি এত কিছু ভেবেছিলেন? যা ভাবেননি, সেসবের অনেক কিছুই হয়তো পেয়ে গেছেন। কিন্তু যেটা ভেবেছেন, সেটি এখনো অধরা—একটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।
আজ রাতে যদি সেটি পেয়েই যান, এর চেয়ে সুন্দর বিদায় আর কী হতে পারে আগুয়েরোর!
দ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৯ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগে