নাজিম আল শমষের, ঢাকা
মেয়েটা ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলত ছেলেদের সঙ্গে। বিষয়টা দৃষ্টিকটু মনে হলো গ্রামবাসীর কাছে। শুধু নালিশ আসতে থাকল মেয়েটির রিকশাওয়ালা বাবার কাছে। নালিশে বিরক্ত বাবা একটা সময় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন, ‘ব্যস, আর নয়!’
মেয়েটি বাবাকে বোঝাল, বড় হতে গেলে মানুষের কটু কথা সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই! কন্যার অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানলেন বাবা। দিলেন খেলার অনুমতি। মা-বাবার অনুমতি নিয়ে মেয়েটিও ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নে ঝাঁপিয়ে পড়ল নতুন উদ্যমে।
এটাই বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের ফুটবলার উন্নতি খাতুনের ফুটবলার হওয়ার গল্প। ২০১৭ সালে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৮ গোল করে ওই টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় ছিল উন্নতি। গত বছর বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে ৬ গোল করে খুলনা বিভাগকে বানিয়েছে সেরা। সেই পারফরম্যান্সে উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে ৫ আগস্ট শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারও জিতেছে উন্নতি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর উন্নতি বলছিল, ‘এটা কখনো ভাবিনি। সবকিছু ভাবনার বাইরে ছিল।’
উন্নতির ফুটবলার হওয়ার গল্পটা থেমে যেতে পারত ২০১৭ সালেই। বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবলে খেলতে নামার আগে বাবা আবু দাউদ মেয়েকে বলে দিলেন, ভালো খেলতে পারলে বিকেএসপিতে ভর্তি করিয়ে দেবেন । নইলে নয়! ‘এরপর তো আমি দেখিয়েই দিলাম। বাঁ পায়ে গোল করে টুর্নামেন্টে বাজিমাত করলাম’—আজকের পত্রিকাকে বলছিল উন্নতি।
প্রতিশ্রুতিমতো মেয়েকে বিকেএসপিতে ভর্তি করাতে গিয়ে ধাক্কা খেলেন আবু দাউদ। উন্নতিকে ভর্তি করাতে প্রয়োজন ছিল ৩৫ হাজার টাকা। টাকার অঙ্ক শুনে পিছিয়ে এলেন দরিদ্র বাবা। প্রতিভাবান ছাত্রীকে সহায়তা করতে এগিয়ে এলেন দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তাঁদের সহায়তায় বিকেএসপিতে ভর্তি হলো উন্নতি। এখন সে এই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
স্কুল পর্যায়ে লেফট উইং পজিশনে খেললেও জাতীয় দলে উন্নতিকে লেফটব্যাকে খেলাচ্ছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। খেলেছে ২০১৯ সালের ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে। চোটে পড়ে এবারের নারী লিগে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। লিগ শেষে এখন আছে জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
ঝিনাইদহের দোহোরো গ্রামে বেড়ে ওঠা উন্নতিরা সাত ভাইবোন। সবার ছোট উন্নতি। বাবার বয়স হয়েছে, এখন আর উপার্জন করতে পারেন না। উন্নতির মা অনেক দিন হলো অসুস্থ।
একটি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে উন্নতিকে সহায়তা করছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে। ফুটবল ফেডারেশন থেকে পায় প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা। উন্নতির হাত ধরে কিছুটা সচ্ছলতা এসেছে তার পরিবারের। সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ১৬ বছর বয়সেই উন্নতি অনেকের কাছে বড় উদাহরণ। দেখিয়েছে মেয়েদের উন্নতির পথ। তাকে দেখে এখন ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে দোহারো গ্রামের আরও অনেক মেয়ে। যারা একটা সময় মাঠের বাইরে ‘সাইডটক’ করত, তারাও এখন উন্নতিকে বলে, ‘এগিয়ে যাও, তোমার পাশে আছি।’
জাতীয় দলের সাবিনা খাতুনকে ‘আদর্শ’ মানা উন্নতির ‘উন্নতি’ যতই হতে থাকবে, ততই উপকৃত হবে মেয়েদের ফুটবল।
মেয়েটা ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলত ছেলেদের সঙ্গে। বিষয়টা দৃষ্টিকটু মনে হলো গ্রামবাসীর কাছে। শুধু নালিশ আসতে থাকল মেয়েটির রিকশাওয়ালা বাবার কাছে। নালিশে বিরক্ত বাবা একটা সময় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন, ‘ব্যস, আর নয়!’
মেয়েটি বাবাকে বোঝাল, বড় হতে গেলে মানুষের কটু কথা সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই! কন্যার অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানলেন বাবা। দিলেন খেলার অনুমতি। মা-বাবার অনুমতি নিয়ে মেয়েটিও ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নে ঝাঁপিয়ে পড়ল নতুন উদ্যমে।
এটাই বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের ফুটবলার উন্নতি খাতুনের ফুটবলার হওয়ার গল্প। ২০১৭ সালে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৮ গোল করে ওই টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় ছিল উন্নতি। গত বছর বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে ৬ গোল করে খুলনা বিভাগকে বানিয়েছে সেরা। সেই পারফরম্যান্সে উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে ৫ আগস্ট শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারও জিতেছে উন্নতি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর উন্নতি বলছিল, ‘এটা কখনো ভাবিনি। সবকিছু ভাবনার বাইরে ছিল।’
উন্নতির ফুটবলার হওয়ার গল্পটা থেমে যেতে পারত ২০১৭ সালেই। বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবলে খেলতে নামার আগে বাবা আবু দাউদ মেয়েকে বলে দিলেন, ভালো খেলতে পারলে বিকেএসপিতে ভর্তি করিয়ে দেবেন । নইলে নয়! ‘এরপর তো আমি দেখিয়েই দিলাম। বাঁ পায়ে গোল করে টুর্নামেন্টে বাজিমাত করলাম’—আজকের পত্রিকাকে বলছিল উন্নতি।
প্রতিশ্রুতিমতো মেয়েকে বিকেএসপিতে ভর্তি করাতে গিয়ে ধাক্কা খেলেন আবু দাউদ। উন্নতিকে ভর্তি করাতে প্রয়োজন ছিল ৩৫ হাজার টাকা। টাকার অঙ্ক শুনে পিছিয়ে এলেন দরিদ্র বাবা। প্রতিভাবান ছাত্রীকে সহায়তা করতে এগিয়ে এলেন দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তাঁদের সহায়তায় বিকেএসপিতে ভর্তি হলো উন্নতি। এখন সে এই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
স্কুল পর্যায়ে লেফট উইং পজিশনে খেললেও জাতীয় দলে উন্নতিকে লেফটব্যাকে খেলাচ্ছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। খেলেছে ২০১৯ সালের ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে। চোটে পড়ে এবারের নারী লিগে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। লিগ শেষে এখন আছে জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
ঝিনাইদহের দোহোরো গ্রামে বেড়ে ওঠা উন্নতিরা সাত ভাইবোন। সবার ছোট উন্নতি। বাবার বয়স হয়েছে, এখন আর উপার্জন করতে পারেন না। উন্নতির মা অনেক দিন হলো অসুস্থ।
একটি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে উন্নতিকে সহায়তা করছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে। ফুটবল ফেডারেশন থেকে পায় প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা। উন্নতির হাত ধরে কিছুটা সচ্ছলতা এসেছে তার পরিবারের। সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ১৬ বছর বয়সেই উন্নতি অনেকের কাছে বড় উদাহরণ। দেখিয়েছে মেয়েদের উন্নতির পথ। তাকে দেখে এখন ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে দোহারো গ্রামের আরও অনেক মেয়ে। যারা একটা সময় মাঠের বাইরে ‘সাইডটক’ করত, তারাও এখন উন্নতিকে বলে, ‘এগিয়ে যাও, তোমার পাশে আছি।’
জাতীয় দলের সাবিনা খাতুনকে ‘আদর্শ’ মানা উন্নতির ‘উন্নতি’ যতই হতে থাকবে, ততই উপকৃত হবে মেয়েদের ফুটবল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৫ ঘণ্টা আগে