ঢাকা: রাতে সুইডেন আর ইউক্রেন ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে ইউরোর শেষ ষোলো। এর আগে রাতের অন্য ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। জার্মানির বিদায়ে এবারে ইউরোর মৃত্যুকূপ হিসেবে পরিচিত 'এফ' গ্রুপের আর কোনো দল থাকল না শিরোপার লড়াইয়ে।

‘গ্রুপ অব ডেথে’র প্রথম দল হিসেবে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল হাঙ্গেরি। শেষ ষোলোতে উঠে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নেয় ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। পেনাল্টি শুটআউটে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় রানার্সআপ ফ্রান্সকেও। কাল ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে গ্রুপ অব ডেথের শেষ দল জার্মানি।

ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল চ্যাম্পিয়নের মতোই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল। রোনালদোর দুই গোলে হাঙ্গেরিকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটা দুর্দান্তই হয়েছিল পর্তুগিজদের। তবে জার্মানির কাছে হেরে কিছুটা শঙ্কায় পড়েছিল তাদের শেষ ষোলোয় ওঠা নিয়ে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করে এফ গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিলেন রোনালদোরা। টুর্নামেন্টে নিজেকে আরেক ধাপ ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদো। মিশেল প্লাতিনিকে ছাড়িয়ে ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলে আলি দাঁইয়ির আরও কাছে চলে এসেছেন। তবে ব্যক্তিগত অর্জন ছাপিয়ে রোনালদোর বড় হতাশা, তাঁর দল শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে। যদিও ৫ গোল করে এখনো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোই।

আত্মঘাতী গোলে জার্মানিকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ফ্রান্স। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ ড্র করে শেষ ষোলোয় উঠলেও আটকে যায় তারা সুইজারল্যান্ডের কাছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের ঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেনি ফরাসিরা। জার্মানিও যে খুব ভালো ফর্মে ছিল, তা নয়। ফ্রান্সের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা জার্মানি পর্তুগালকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হাঙ্গেরির সঙ্গে ড্র করে আবার হোঁচট খায় তারা। সেটা কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো টুর্নামেন্ট থেকে।

মহামারিতে ইউরো যেন একঝলক স্বস্তি হয়ে এসেছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। মাঠে গিয়ে খেলা উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শকেরা। টিভি পর্দায় দর্শকেরা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ফুটবলীয় বিনোদন। ইউরো প্রতি রাতই যে উপহার দিচ্ছে রোমাঞ্চকর ফুটবল। বড় দল, ছোট দল বলে যেখানে কোনো পার্থক্য থাকছে না। পাগলপারা এক টুর্নামেন্টই হচ্ছে বলা যায়! না হলে কি আর কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই জার্মানি-ফ্রান্স-পর্তুগাল-নেদারল্যান্ডসের মতো বড় বড় দলের বিদায়ঘণ্টা বাজে!