ক্রীড়া ডেস্ক
বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তিগত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে দলীয় সব অর্জনই আছে দুজনের ঝুলিতে। তাঁদের মতোই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার হওয়ার কথা ছিল নেইমারের। ইউরোপীয় ফুটবলের পাদপ্রদীপে আসার আগেই যে বিস্ময় বালকের পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। নিজের দেশ ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে আরও সূক্ষ্মভাবে তৈরি করছিলেন নিজেকে। সে সময় এতটাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন যে তাঁর নাম নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অথচ সে সময় মেসি–রোনালদোরাও ক্যারিয়ারে শীর্ষ পর্যায়ে। দুই কিংবদন্তির পায়ের জাদুতে তখন বুঁদ ছিল পুরো বিশ্ব।
নেইমারের দক্ষতার কারণেই বলা হচ্ছিল ভবিষ্যতে তিনিই হবেন ফুটবলের নেতা। তাঁর ড্রিবলিং, গোল করা এবং করানোর ক্ষমতার কারণে সান্তোসের কোচ মুরিসি রামালহো তো মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখছিলেন নেইমারকেই। ২০১১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘খুব শিগগিরই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবে সে। দুজনই (মেসি–নেইমার) একই হলেও নেইমার ছিল বিশেষ। সে বল নিয়ে যেভাবে দিক পরিবর্তন এবং ড্রিবলিং করত তা ছিল অকল্পনীয়। মেসি সরলরেখায় বেশি ড্রিবল করত। তাই বল নিয়ে সে যা করতে পারে বিশ্বের আর কাউকে আপনি এমন করতে দেখবেন না।’
রামালহোর কথা অল্প সময়ের মধ্যেই প্রমাণিতও হয়েছিল। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় উড়তে ছিলেন তিনি। মেসি–সুয়ারেজদের সঙ্গে ভয়ংকর এমএসএন ত্রিফলা তৈরি করেছিলেন তিনি। আক্রমণভাগে তাঁদের জাদুতেই ২০১৪–১৫ মৌসুমে কাতালান ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিল। সেটাই ছিল বার্সার শেষ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাও। এরপর আর জেতেনি কখনো। সেই মৌসুমে বার্সার শিরোপা জয়ে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু তারপরও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু ও সতীর্থ মেসির আড়ালেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। স্প্যানিশ ক্লাবের সময়টা যে তখন শুধুই মেসির। তাঁর ড্রিবলিং, ফ্রি কিক ও পায়ের জাদুতে সমর্থকের চোখ আটকে ছিল।
মেসির আড়াল থেকে তাই নিজেকে আলাদাভাবে চেনানোর জন্য বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার পুরোটার সদ্ব্যবহার করতে। সঙ্গে এককভাবে নিজেকে তুলে ধরতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২২ কোটি ইউরোতে পিএসজিতে নাম লেখান তিনি। চেয়েছিলেন পিএসজিকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সফল করার সঙ্গে নিজেকে চূড়ায় তুলতে। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। প্যারিসের ক্লাবের হয়ে ৬ মৌসুম খেলে একবারই সুযোগ পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছোঁয়ার। কিন্তু ২০১৯–২০ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে তাঁর স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। সঙ্গে নিজেকে শীর্ষে তোলারও।
পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর আবার চোট সঙ্গী হতে থাকে নেইমারের। এতে করে মৌসুমের শুরুটা ভালো করলেও শেষে ছিটকে পড়তে হয় তাঁকে। চোট প্রবণের সঙ্গে নারী কেন্দ্রিক বিতর্কও সঙ্গী হয়। মাঠের খেলায় আবার ডাইভ দেওয়ার দুর্নামও কুড়ান। এত সব বিতর্ককে সঙ্গী করে নিজের ক্যারিয়ারকে আর শিখরে তুলতে পারেননি তিনি। মাঝে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাবে যোগ দিয়ে তাঁর জায়গাটাও কেড়ে নেন। মেসি যোগ দেওয়ার পর তো আরও কোণঠাসা হয়েছিলেন তিনি। ফলে যোগ দেওয়ার সময় প্যারিসে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, শেষে তার বিপরীত চিত্র দেখেছেন। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ক্লাবে আর দেখতে চান না বলে পরে সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেন।
মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল পিএসজির প্রধান চরিত্র আবার হবেন নেইমার। কারণ ক্লাব ছাড়ার জন্য এমবাপ্পেও চিঠি দিয়েছেন। পিএসজির এমন কঠিন সময়ে তিনিই আবার ক্লাব ছাড়বেন বলে ঘোষণা দেন। এটা জানার পর তাঁকে রাখতে রাজি নয় পিএসজিও। এবারের দলবদলেই তাঁকে ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেয় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরাও। তাঁর জায়গায় খেলানোর জন্য বার্সেলোনা থেকে আবার উসমান দেম্বেলেকেও নিয়ে আসে পিএসজি। মাঝে আবার গত মৌসুমে চুক্তি নবায়ন করার সময় এমবাপ্পে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আর দলে চান না। এতে করে নেইমারের জায়গা আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। সে হিসেবে গুঞ্জন উঠছিল ৩১ বছর বয়সী তারকার পুনরায় বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বার্সা আর্থিক সমস্যায় থাকায় তাঁর যাওয়াটা কঠিন ছিল। সঙ্গে তাঁকে ফেরানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও হুয়ান লাপোর্তাও।
নেইমারকে নিতে খুব বেশি ক্লাবও আগ্রহ দেখায়নি। বিশাল রিলিজ ক্লজের সঙ্গে তাঁর চোট প্রবণতা হয়তো অন্য ক্লাবের অনাগ্রহের বিষয় ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র পথ ছিল সৌদি প্রো লিগ। আর শেষ পর্যন্ত সেই পথটাই বেছে নিলেন তিনি। রোনালদোর দেখানো পথেই পাড়ি জমানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৯০ মিলিয়ন ইউরোয় আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি তিনি।
এতে করে নেইমারের ক্যারিয়ারও অস্তাচলের দিকে ঝুঁকে পড়ল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নেই খেলোয়াড়েরা ইউরোপ ছেড়ে সৌদি, মেজর লিগ সকারে যায়। যেমনটা রোনালদো, মেসি, করিম বেনজেমারা করেছেন। তাঁরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই ক্যারিয়ারের শেষটা এসব লিগে কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নেইমার ৩১ বছর বয়সেই নিজেকে মেলে ধরার বড় মঞ্চ ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদিতে। অথচ, ইউরোপের ফুটবলে আরও কয়েক বছর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
তাই বলা যায় যেভাবে ফুটবল মঞ্চে নিজের আর্বিভাবের বার্তা দিয়েছিলেন, সেটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসির ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন রোনালদো। সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের ক্লাবে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। নেইমার ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাঁকে কেন্দ্র করে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ‘হেক্সার’ যে স্বপ্ন দেখেছিল, সেটি স্বপ্নই রয়ে গেছে। কোপা আমেরিকাতেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি নেইমার। সামনে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ থাকলেও আল হিলালে যোগ দেওয়ায় ব্যালন ডি অরের আক্ষেপ সম্ভবত তাঁর থেকেই যাবে।
অবশ্য নাম-ডাক, বিত্ত-বৈভবের কমতি নেই তাঁর। কিন্তু সেটা কী একজন ফুটবলারের লক্ষ্য হতে পারে!
বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তিগত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে দলীয় সব অর্জনই আছে দুজনের ঝুলিতে। তাঁদের মতোই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার হওয়ার কথা ছিল নেইমারের। ইউরোপীয় ফুটবলের পাদপ্রদীপে আসার আগেই যে বিস্ময় বালকের পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। নিজের দেশ ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে আরও সূক্ষ্মভাবে তৈরি করছিলেন নিজেকে। সে সময় এতটাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন যে তাঁর নাম নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অথচ সে সময় মেসি–রোনালদোরাও ক্যারিয়ারে শীর্ষ পর্যায়ে। দুই কিংবদন্তির পায়ের জাদুতে তখন বুঁদ ছিল পুরো বিশ্ব।
নেইমারের দক্ষতার কারণেই বলা হচ্ছিল ভবিষ্যতে তিনিই হবেন ফুটবলের নেতা। তাঁর ড্রিবলিং, গোল করা এবং করানোর ক্ষমতার কারণে সান্তোসের কোচ মুরিসি রামালহো তো মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখছিলেন নেইমারকেই। ২০১১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘খুব শিগগিরই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবে সে। দুজনই (মেসি–নেইমার) একই হলেও নেইমার ছিল বিশেষ। সে বল নিয়ে যেভাবে দিক পরিবর্তন এবং ড্রিবলিং করত তা ছিল অকল্পনীয়। মেসি সরলরেখায় বেশি ড্রিবল করত। তাই বল নিয়ে সে যা করতে পারে বিশ্বের আর কাউকে আপনি এমন করতে দেখবেন না।’
রামালহোর কথা অল্প সময়ের মধ্যেই প্রমাণিতও হয়েছিল। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় উড়তে ছিলেন তিনি। মেসি–সুয়ারেজদের সঙ্গে ভয়ংকর এমএসএন ত্রিফলা তৈরি করেছিলেন তিনি। আক্রমণভাগে তাঁদের জাদুতেই ২০১৪–১৫ মৌসুমে কাতালান ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিল। সেটাই ছিল বার্সার শেষ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাও। এরপর আর জেতেনি কখনো। সেই মৌসুমে বার্সার শিরোপা জয়ে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু তারপরও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু ও সতীর্থ মেসির আড়ালেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। স্প্যানিশ ক্লাবের সময়টা যে তখন শুধুই মেসির। তাঁর ড্রিবলিং, ফ্রি কিক ও পায়ের জাদুতে সমর্থকের চোখ আটকে ছিল।
মেসির আড়াল থেকে তাই নিজেকে আলাদাভাবে চেনানোর জন্য বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার পুরোটার সদ্ব্যবহার করতে। সঙ্গে এককভাবে নিজেকে তুলে ধরতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২২ কোটি ইউরোতে পিএসজিতে নাম লেখান তিনি। চেয়েছিলেন পিএসজিকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সফল করার সঙ্গে নিজেকে চূড়ায় তুলতে। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। প্যারিসের ক্লাবের হয়ে ৬ মৌসুম খেলে একবারই সুযোগ পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছোঁয়ার। কিন্তু ২০১৯–২০ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে তাঁর স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। সঙ্গে নিজেকে শীর্ষে তোলারও।
পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর আবার চোট সঙ্গী হতে থাকে নেইমারের। এতে করে মৌসুমের শুরুটা ভালো করলেও শেষে ছিটকে পড়তে হয় তাঁকে। চোট প্রবণের সঙ্গে নারী কেন্দ্রিক বিতর্কও সঙ্গী হয়। মাঠের খেলায় আবার ডাইভ দেওয়ার দুর্নামও কুড়ান। এত সব বিতর্ককে সঙ্গী করে নিজের ক্যারিয়ারকে আর শিখরে তুলতে পারেননি তিনি। মাঝে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাবে যোগ দিয়ে তাঁর জায়গাটাও কেড়ে নেন। মেসি যোগ দেওয়ার পর তো আরও কোণঠাসা হয়েছিলেন তিনি। ফলে যোগ দেওয়ার সময় প্যারিসে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, শেষে তার বিপরীত চিত্র দেখেছেন। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ক্লাবে আর দেখতে চান না বলে পরে সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেন।
মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল পিএসজির প্রধান চরিত্র আবার হবেন নেইমার। কারণ ক্লাব ছাড়ার জন্য এমবাপ্পেও চিঠি দিয়েছেন। পিএসজির এমন কঠিন সময়ে তিনিই আবার ক্লাব ছাড়বেন বলে ঘোষণা দেন। এটা জানার পর তাঁকে রাখতে রাজি নয় পিএসজিও। এবারের দলবদলেই তাঁকে ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেয় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরাও। তাঁর জায়গায় খেলানোর জন্য বার্সেলোনা থেকে আবার উসমান দেম্বেলেকেও নিয়ে আসে পিএসজি। মাঝে আবার গত মৌসুমে চুক্তি নবায়ন করার সময় এমবাপ্পে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আর দলে চান না। এতে করে নেইমারের জায়গা আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। সে হিসেবে গুঞ্জন উঠছিল ৩১ বছর বয়সী তারকার পুনরায় বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বার্সা আর্থিক সমস্যায় থাকায় তাঁর যাওয়াটা কঠিন ছিল। সঙ্গে তাঁকে ফেরানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও হুয়ান লাপোর্তাও।
নেইমারকে নিতে খুব বেশি ক্লাবও আগ্রহ দেখায়নি। বিশাল রিলিজ ক্লজের সঙ্গে তাঁর চোট প্রবণতা হয়তো অন্য ক্লাবের অনাগ্রহের বিষয় ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র পথ ছিল সৌদি প্রো লিগ। আর শেষ পর্যন্ত সেই পথটাই বেছে নিলেন তিনি। রোনালদোর দেখানো পথেই পাড়ি জমানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৯০ মিলিয়ন ইউরোয় আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি তিনি।
এতে করে নেইমারের ক্যারিয়ারও অস্তাচলের দিকে ঝুঁকে পড়ল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নেই খেলোয়াড়েরা ইউরোপ ছেড়ে সৌদি, মেজর লিগ সকারে যায়। যেমনটা রোনালদো, মেসি, করিম বেনজেমারা করেছেন। তাঁরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই ক্যারিয়ারের শেষটা এসব লিগে কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নেইমার ৩১ বছর বয়সেই নিজেকে মেলে ধরার বড় মঞ্চ ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদিতে। অথচ, ইউরোপের ফুটবলে আরও কয়েক বছর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
তাই বলা যায় যেভাবে ফুটবল মঞ্চে নিজের আর্বিভাবের বার্তা দিয়েছিলেন, সেটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসির ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন রোনালদো। সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের ক্লাবে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। নেইমার ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাঁকে কেন্দ্র করে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ‘হেক্সার’ যে স্বপ্ন দেখেছিল, সেটি স্বপ্নই রয়ে গেছে। কোপা আমেরিকাতেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি নেইমার। সামনে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ থাকলেও আল হিলালে যোগ দেওয়ায় ব্যালন ডি অরের আক্ষেপ সম্ভবত তাঁর থেকেই যাবে।
অবশ্য নাম-ডাক, বিত্ত-বৈভবের কমতি নেই তাঁর। কিন্তু সেটা কী একজন ফুটবলারের লক্ষ্য হতে পারে!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৪ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
৫ ঘণ্টা আগে