ক্রীড়া ডেস্ক
এক লাফে যেন ১০ বছর কমে গেল বয়স। ৩৫ বছর বয়সে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ নিয়ে করলেন ছেলেখেলা। মাঠে ছিলেন আরেক জাদুকর যার বয়স ৩৭। দুজনেই তাঁরা ‘এলএমটেন’। এক মাঠে এলএমটেন দেখলেন আরেকজনের জাদু। লিওনেল মেসির জাদুতে লুকা মদরিচ হয়ে মলিন, স্তব্ধ!
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে যেন জাদুর আসরে সবাইকে মুগ্ধ করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মেসি। তাঁর সান্নিধ্যে পাল্টে যাওয়া হুলিয়ান আলভারেজও দেখালেন জাদু। গোল করলেন মেসি, আলভারেজকে দিয়ে করালেন গোল, ভাঙলেন রেকর্ড। মেসির এক ও হুলিয়ান আলভারেজের দুই গোলে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আট বছরের ব্যবধানে আরেকবার ফাইনালের স্বাদ পেলেন মেসি। এই লুসাইল স্টেডিয়ামেই নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। রোববারের ফাইনালে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ফ্রান্স কিংবা মরক্কো।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে পা ফেলতেই ছুঁয়ে ফেললেন লোথার ম্যাথাউসকে। ছুঁয়ে ফেললেন জার্মান কিংবদন্তির বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। রেকর্ডটা ভাঙতে লিওনেল মেসির দরকার ছিল একটি মাত্র ম্যাচ। আর টপকাতে হতো ক্রোয়েশিয়ার লৌহ কঠিন রক্ষণ। সেই রক্ষণ তো ভেঙেছেনই। নিজের করে নিয়েছেন রাতটা।
মাঠে নেমে যেমন লোথার ম্যাথিউসকে ছুঁয়েছেন মেসি তেমনি নিজের করে নিয়েছেন অনন্য এক রেকর্ড। কাতার বিশ্বকাপে নিজের পঞ্চম গোলে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার ১০ গোলকে ছাপিয়ে বিশ্বকাপে ১১ গোলের কীর্তি নিজের দখলে নেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। আগের চার আসরের নকআউটে গোল করতে না পারা মেসি এবারের আসরে গোল করলেন নক আউটের তিন ম্যাচেই।
লেফট ব্যাক মার্কোস আকুনিয়া না থাকায় নেদারল্যান্ডস ম্যাচের ৫-৩-২ ফরমেশনটা ভাঙতেই হতো আর্জেন্টিনা কোচ লিওলেন স্কালোনি। প্রত্যাশিতভাবেই আকুনিয়ার জায়গায় নিকোলাস তালিয়াফিকোকে রক্ষণের বাঁ প্রান্তে রেখে দল সাজান স্কালোনি। পরিবর্তন আসে ফরমেশনেও। ৫-৩-২ ভেঙে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ফরমেশন ছিল ৪-৪-২। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের মতোই একাদশের বাইরে রাখা হয় দুই ফরোয়ার্ড আনহেল দি মারিয়া ও লাওতারো মার্তিনেজকে। ৪-১-২-৩ ফরমেশনে সাজানো ক্রোয়েশিয়া খেলেছে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে।
বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রেখে আক্রমণে ওঠা আর্জেন্টিনার দর্শন। কিন্তু শুরুটা ছিল ক্রোয়েশিয়ার দখলে। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে আর্জেন্টাইনদের এক প্রকার বোতলবন্দীই করে রেখেছিলেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। বলের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়ার জালে প্রথম শট নেয় ২৫ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এনজো ফার্নান্দেজের শট ঠেকান ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচ।
তবে ৩২ মিনিটে এই লিভাকোভিচই ডেকে আনেন বিপদ। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ক্রোয়াট গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান হুলিয়ান আলভারেজ। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার মুহূর্তে তাঁকে ফাউল করে বসেন লিভাকোভিচ। আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও হলুদ কার্ড দেখেছেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি।
যেই আলভারেজের কল্যাণে রেকর্ডে নাম লেখালেন মেসি সেই আলভারেজ ৩৯ মিনিটে দেখালেন জাদু। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়েছিলেন মেসি। নিজে বল পায়ে না রাখতে পারলেও বাড়িয়ে দেন আলভারেজের দিকে। বল পাওয়া মাত্রই আর পেছনেই তাকাননি ২৩ বছর বয়সী ম্যানসিটি তারকা। নিজেদের অর্ধ থেকে একাই বল টেনে নেন ক্রোয়াট বক্স অব্দি। বক্সে ছিলেন দুই ডিফেন্ডার। কেউই আটকাতে পারেননি আলভারেজকে। লিভাকোভিচ এগিয়ে এলেও থামাতে পারেননি তাঁকে। আলতো ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন দ্বিতীয়বারের মতো।
৬৯ মিনিটে লুসাইল স্টেডিয়ামে আসা ৮০ হাজারেরও বেশি দর্শক সাক্ষী হয়ে রইলেন অনিন্দ্য সুন্দর এক গোলের। সেই গোলে হুলিয়ান আলভারেজের নাম লেখা থাকলেও গোলের কারিগর সেই লিওনেল মেসি। বয়স ৩৫ হলেও মেসি যেন ফিরে গেলেন ১০ বছর আগে সেই বার্সা যুগে। বাক্স খুলে দেখালেন জাদু। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বলের দখল নিজের পায়ে রেখে একা ঢুকে পড়লেন ক্রোয়াটদের ডি-বক্সে। সারাটা সময় গায়ে লেগেছিলেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইওস্কো গাভারদিওল। কিন্তু একবারের জন্যও বল হারাননি মেসি। অপেক্ষায় রইলেন কখন ফাঁকা হবেন আলভারেজ। সেকেন্ডের ভগ্নাংশে ভুল করল ক্রোয়েশিয়া রক্ষণভাগ আর সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আলভারেজের দিকে বল বাড়ালেন মেসি। এরপর আলভারেজের গোল যেন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। বাকি সময়টা হেলেদুলে শেষ করে আবারও স্বপ্নের ফাইনালের ছোঁয়া পেলেন মেসি ও তাঁর দল। প্রশ্ন, এবার কী সেই আরাধ্য বিশ্বকাপ কী ছুঁতে পারবেন তিনি?
এক লাফে যেন ১০ বছর কমে গেল বয়স। ৩৫ বছর বয়সে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ নিয়ে করলেন ছেলেখেলা। মাঠে ছিলেন আরেক জাদুকর যার বয়স ৩৭। দুজনেই তাঁরা ‘এলএমটেন’। এক মাঠে এলএমটেন দেখলেন আরেকজনের জাদু। লিওনেল মেসির জাদুতে লুকা মদরিচ হয়ে মলিন, স্তব্ধ!
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে যেন জাদুর আসরে সবাইকে মুগ্ধ করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মেসি। তাঁর সান্নিধ্যে পাল্টে যাওয়া হুলিয়ান আলভারেজও দেখালেন জাদু। গোল করলেন মেসি, আলভারেজকে দিয়ে করালেন গোল, ভাঙলেন রেকর্ড। মেসির এক ও হুলিয়ান আলভারেজের দুই গোলে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আট বছরের ব্যবধানে আরেকবার ফাইনালের স্বাদ পেলেন মেসি। এই লুসাইল স্টেডিয়ামেই নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। রোববারের ফাইনালে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ফ্রান্স কিংবা মরক্কো।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে পা ফেলতেই ছুঁয়ে ফেললেন লোথার ম্যাথাউসকে। ছুঁয়ে ফেললেন জার্মান কিংবদন্তির বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। রেকর্ডটা ভাঙতে লিওনেল মেসির দরকার ছিল একটি মাত্র ম্যাচ। আর টপকাতে হতো ক্রোয়েশিয়ার লৌহ কঠিন রক্ষণ। সেই রক্ষণ তো ভেঙেছেনই। নিজের করে নিয়েছেন রাতটা।
মাঠে নেমে যেমন লোথার ম্যাথিউসকে ছুঁয়েছেন মেসি তেমনি নিজের করে নিয়েছেন অনন্য এক রেকর্ড। কাতার বিশ্বকাপে নিজের পঞ্চম গোলে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার ১০ গোলকে ছাপিয়ে বিশ্বকাপে ১১ গোলের কীর্তি নিজের দখলে নেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। আগের চার আসরের নকআউটে গোল করতে না পারা মেসি এবারের আসরে গোল করলেন নক আউটের তিন ম্যাচেই।
লেফট ব্যাক মার্কোস আকুনিয়া না থাকায় নেদারল্যান্ডস ম্যাচের ৫-৩-২ ফরমেশনটা ভাঙতেই হতো আর্জেন্টিনা কোচ লিওলেন স্কালোনি। প্রত্যাশিতভাবেই আকুনিয়ার জায়গায় নিকোলাস তালিয়াফিকোকে রক্ষণের বাঁ প্রান্তে রেখে দল সাজান স্কালোনি। পরিবর্তন আসে ফরমেশনেও। ৫-৩-২ ভেঙে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ফরমেশন ছিল ৪-৪-২। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের মতোই একাদশের বাইরে রাখা হয় দুই ফরোয়ার্ড আনহেল দি মারিয়া ও লাওতারো মার্তিনেজকে। ৪-১-২-৩ ফরমেশনে সাজানো ক্রোয়েশিয়া খেলেছে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে।
বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রেখে আক্রমণে ওঠা আর্জেন্টিনার দর্শন। কিন্তু শুরুটা ছিল ক্রোয়েশিয়ার দখলে। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে আর্জেন্টাইনদের এক প্রকার বোতলবন্দীই করে রেখেছিলেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। বলের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়ার জালে প্রথম শট নেয় ২৫ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এনজো ফার্নান্দেজের শট ঠেকান ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচ।
তবে ৩২ মিনিটে এই লিভাকোভিচই ডেকে আনেন বিপদ। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ক্রোয়াট গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান হুলিয়ান আলভারেজ। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার মুহূর্তে তাঁকে ফাউল করে বসেন লিভাকোভিচ। আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও হলুদ কার্ড দেখেছেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি।
যেই আলভারেজের কল্যাণে রেকর্ডে নাম লেখালেন মেসি সেই আলভারেজ ৩৯ মিনিটে দেখালেন জাদু। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়েছিলেন মেসি। নিজে বল পায়ে না রাখতে পারলেও বাড়িয়ে দেন আলভারেজের দিকে। বল পাওয়া মাত্রই আর পেছনেই তাকাননি ২৩ বছর বয়সী ম্যানসিটি তারকা। নিজেদের অর্ধ থেকে একাই বল টেনে নেন ক্রোয়াট বক্স অব্দি। বক্সে ছিলেন দুই ডিফেন্ডার। কেউই আটকাতে পারেননি আলভারেজকে। লিভাকোভিচ এগিয়ে এলেও থামাতে পারেননি তাঁকে। আলতো ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন দ্বিতীয়বারের মতো।
৬৯ মিনিটে লুসাইল স্টেডিয়ামে আসা ৮০ হাজারেরও বেশি দর্শক সাক্ষী হয়ে রইলেন অনিন্দ্য সুন্দর এক গোলের। সেই গোলে হুলিয়ান আলভারেজের নাম লেখা থাকলেও গোলের কারিগর সেই লিওনেল মেসি। বয়স ৩৫ হলেও মেসি যেন ফিরে গেলেন ১০ বছর আগে সেই বার্সা যুগে। বাক্স খুলে দেখালেন জাদু। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বলের দখল নিজের পায়ে রেখে একা ঢুকে পড়লেন ক্রোয়াটদের ডি-বক্সে। সারাটা সময় গায়ে লেগেছিলেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইওস্কো গাভারদিওল। কিন্তু একবারের জন্যও বল হারাননি মেসি। অপেক্ষায় রইলেন কখন ফাঁকা হবেন আলভারেজ। সেকেন্ডের ভগ্নাংশে ভুল করল ক্রোয়েশিয়া রক্ষণভাগ আর সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আলভারেজের দিকে বল বাড়ালেন মেসি। এরপর আলভারেজের গোল যেন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। বাকি সময়টা হেলেদুলে শেষ করে আবারও স্বপ্নের ফাইনালের ছোঁয়া পেলেন মেসি ও তাঁর দল। প্রশ্ন, এবার কী সেই আরাধ্য বিশ্বকাপ কী ছুঁতে পারবেন তিনি?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৬ ঘণ্টা আগে