রানা আব্বাস
ঢাকা: আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
প্রশ্ন: প্রায় দুই বছর হতে চলেছে, অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
মুমিনুল হক: অধিনায়কত্ব করা কঠিন। তবে যে কেউ এটা করতে পারে। আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়, ইজি জব। বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব পাওয়া কঠিন নয়। তবে কাজটা কঠিন, এটা মানি। আর অধিনায়কত্ব না পেলে মানুষের কথা যেমন শোনা লাগত না, তেমনি মানুষও আমাকে জানত–চিনত না।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রটা শেষ হলো। নিজেদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মুমিনুল: আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। রেটিং যদি করতে বলেন, নিজেদের ১০–এ ২ দেব। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। একটা ম্যাচ ড্র হয়েছে মাত্র। ৭–৮ দিতে পারলে ভালো হতো। নিজেকেও ২ দেব। দল ভালো না করলে অধিনায়কত্বের তেমন মূল্যায়ন
হয় না।
প্রশ্ন: আপনি তো ধারাবাহিক রান করেছেন, ৭ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৩৪ রান—এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবু ঘাটতি কোথায় ছিল?
মুমিনুল: যখন ইতিবাচক ফল আসবে না, সবদিক দিয়েই ঘাটতি মনে হবে। ধরুন, আমি সেঞ্চুরি করলাম। ওই পরিস্থিতিতে আমার কাছে পাওনা ছিল ১৫০ রান। বোলিংয়ে যেমন সঠিক সময়ে ২–৩ উইকেট দরকার ছিল পেসার বা স্পিনারদের কাছ থেকে। কিন্তু হয়নি। ফিটনেস অনেক বড় ইস্যু ছিল। ফিটনেস যদি ভালো না হয়, পাঁচ দিনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। সেঞ্চুরি দিয়ে ফিটনেস মূল্যায়ন করা যাবে না।
আর আমাদের প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। কোনো সফরেই প্রতিপক্ষের তুলনায় ভালো প্রস্তুতি ছিল না। যেমন—গোলাপি বলে জীবনেও খেলেননি, প্রস্তুতিও ছিল না সেভাবে। আর পুরো দলকেও একসঙ্গে পাইনি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ বেশির ভাগ টেস্ট উপমহাদেশের চেনা কন্ডিশনেই খেলেছে। তবু ভালো ফল হয়নি।
মুমিনুল: ব্যাটিংটা বড় সমস্যা। টপ–অর্ডারে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে ভালো কিছু হতো। বোলিংও ভালো করা দরকার ছিল। মনে হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণটা গড়ে উঠছে। তাসকিন–শরিফুল দলে আসায় মোটামুটি একটি অবস্থায় আসছে। রাহি তো আছেই। তবে পুরো বিষয়টা এক দিনে দাঁড়াবে না। নিয়মিত যদি খেলা যায়, তাহলেই দাঁড়াবে।
প্রশ্ন: বলছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ মানে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল। সামনেও যদি নিয়মিত তাঁদের না পান, তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
মুমিনুল: তাঁরা (সিনিয়র ক্রিকেটার) থাকলেও আশা করি, না থাকলেও করি। যখনই অধিনায়কত্ব পেয়েছি, তখন থেকেই আশা করছি বাংলাদেশ দল ভালো জায়গায় যাবে। অবশ্যই যাবে। হয়তো সময় লাগবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো আমার এই আশার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে! কিন্তু ক্রিকেটে সময় লাগে।
প্রশ্ন: ভালো জায়গায় বলতে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আগামী দুই–তিন বছরে পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা সম্ভব?
মুমিনুল: পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা অসম্ভব কিছু না। উন্নতি করতে হলে ফিটনেসে অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। মারিও (বাংলাদেশ দলের সাবেক ট্রেনার) আসার আগে আমরা একটা পর্যায়ে ছিলাম, তিনি আসার পর আরেকটি লেভেলে গেছি। আগে ছিলাম আমরা ১০ নম্বরে। ফিটনেস ভালো করায় আমরা এখন ওয়ানডেতে ৭ নম্বরে। এখন ৫–৬ নম্বরে যেতে চাইলে ফিটনেস লেভেলের আরও উন্নতি করতে হবে। ফিটনেস ভালো হলে ডাবল–ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরও ক্লান্তি আসবে না। ধরুন, প্রথম ইনিংসে আপনি সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ফিটনেসের কারণে। উদাহরণ দিই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রান করে আউট হয়েছি। ফিটনেস লেভেল যদি ভালো থাকত আরও বেশি রান করতে পারতাম।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্রে কী লক্ষ্য থাকবে?
মুমিনুল: পয়েন্ট তালিকার নিচে আর থাকতে চাই না। অন্তত আমার আশা দেশে যেসব টেস্ট সিরিজ হবে, সব জিততে চাই। জানি এটি কঠিন হবে। তবে সবাই চেষ্টা করলে সম্ভব।
প্রশ্ন: তার আগে জিম্বাবুয়ে সফর। জিম্বাবুয়ের মাঠে তাদের হারানো সহজ নয়। এই সিরিজে কী লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের?
মুমিনুল: জানি, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। ওদের দেশে ব্যাপারটা এত সহজ হবে না। টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশ আছে–সবাই নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। টেস্টে তাদের হারানো কঠিন। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা জেতার জন্যই খেলব। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে পেসারদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।
ঢাকা: আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
প্রশ্ন: প্রায় দুই বছর হতে চলেছে, অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
মুমিনুল হক: অধিনায়কত্ব করা কঠিন। তবে যে কেউ এটা করতে পারে। আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়, ইজি জব। বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব পাওয়া কঠিন নয়। তবে কাজটা কঠিন, এটা মানি। আর অধিনায়কত্ব না পেলে মানুষের কথা যেমন শোনা লাগত না, তেমনি মানুষও আমাকে জানত–চিনত না।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রটা শেষ হলো। নিজেদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মুমিনুল: আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। রেটিং যদি করতে বলেন, নিজেদের ১০–এ ২ দেব। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। একটা ম্যাচ ড্র হয়েছে মাত্র। ৭–৮ দিতে পারলে ভালো হতো। নিজেকেও ২ দেব। দল ভালো না করলে অধিনায়কত্বের তেমন মূল্যায়ন
হয় না।
প্রশ্ন: আপনি তো ধারাবাহিক রান করেছেন, ৭ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৩৪ রান—এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবু ঘাটতি কোথায় ছিল?
মুমিনুল: যখন ইতিবাচক ফল আসবে না, সবদিক দিয়েই ঘাটতি মনে হবে। ধরুন, আমি সেঞ্চুরি করলাম। ওই পরিস্থিতিতে আমার কাছে পাওনা ছিল ১৫০ রান। বোলিংয়ে যেমন সঠিক সময়ে ২–৩ উইকেট দরকার ছিল পেসার বা স্পিনারদের কাছ থেকে। কিন্তু হয়নি। ফিটনেস অনেক বড় ইস্যু ছিল। ফিটনেস যদি ভালো না হয়, পাঁচ দিনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। সেঞ্চুরি দিয়ে ফিটনেস মূল্যায়ন করা যাবে না।
আর আমাদের প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। কোনো সফরেই প্রতিপক্ষের তুলনায় ভালো প্রস্তুতি ছিল না। যেমন—গোলাপি বলে জীবনেও খেলেননি, প্রস্তুতিও ছিল না সেভাবে। আর পুরো দলকেও একসঙ্গে পাইনি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ বেশির ভাগ টেস্ট উপমহাদেশের চেনা কন্ডিশনেই খেলেছে। তবু ভালো ফল হয়নি।
মুমিনুল: ব্যাটিংটা বড় সমস্যা। টপ–অর্ডারে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে ভালো কিছু হতো। বোলিংও ভালো করা দরকার ছিল। মনে হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণটা গড়ে উঠছে। তাসকিন–শরিফুল দলে আসায় মোটামুটি একটি অবস্থায় আসছে। রাহি তো আছেই। তবে পুরো বিষয়টা এক দিনে দাঁড়াবে না। নিয়মিত যদি খেলা যায়, তাহলেই দাঁড়াবে।
প্রশ্ন: বলছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ মানে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল। সামনেও যদি নিয়মিত তাঁদের না পান, তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
মুমিনুল: তাঁরা (সিনিয়র ক্রিকেটার) থাকলেও আশা করি, না থাকলেও করি। যখনই অধিনায়কত্ব পেয়েছি, তখন থেকেই আশা করছি বাংলাদেশ দল ভালো জায়গায় যাবে। অবশ্যই যাবে। হয়তো সময় লাগবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো আমার এই আশার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে! কিন্তু ক্রিকেটে সময় লাগে।
প্রশ্ন: ভালো জায়গায় বলতে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আগামী দুই–তিন বছরে পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা সম্ভব?
মুমিনুল: পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা অসম্ভব কিছু না। উন্নতি করতে হলে ফিটনেসে অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। মারিও (বাংলাদেশ দলের সাবেক ট্রেনার) আসার আগে আমরা একটা পর্যায়ে ছিলাম, তিনি আসার পর আরেকটি লেভেলে গেছি। আগে ছিলাম আমরা ১০ নম্বরে। ফিটনেস ভালো করায় আমরা এখন ওয়ানডেতে ৭ নম্বরে। এখন ৫–৬ নম্বরে যেতে চাইলে ফিটনেস লেভেলের আরও উন্নতি করতে হবে। ফিটনেস ভালো হলে ডাবল–ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরও ক্লান্তি আসবে না। ধরুন, প্রথম ইনিংসে আপনি সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ফিটনেসের কারণে। উদাহরণ দিই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রান করে আউট হয়েছি। ফিটনেস লেভেল যদি ভালো থাকত আরও বেশি রান করতে পারতাম।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্রে কী লক্ষ্য থাকবে?
মুমিনুল: পয়েন্ট তালিকার নিচে আর থাকতে চাই না। অন্তত আমার আশা দেশে যেসব টেস্ট সিরিজ হবে, সব জিততে চাই। জানি এটি কঠিন হবে। তবে সবাই চেষ্টা করলে সম্ভব।
প্রশ্ন: তার আগে জিম্বাবুয়ে সফর। জিম্বাবুয়ের মাঠে তাদের হারানো সহজ নয়। এই সিরিজে কী লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের?
মুমিনুল: জানি, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। ওদের দেশে ব্যাপারটা এত সহজ হবে না। টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশ আছে–সবাই নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। টেস্টে তাদের হারানো কঠিন। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা জেতার জন্যই খেলব। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে পেসারদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৬ ঘণ্টা আগে