রানা আব্বাস, মুম্বাই থেকে
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ যেকোনো চোটে পড়া ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে ফিরতে হলে বেঙ্গালুরুতে তাঁদের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) ফিটনেসের সনদ নিতেই হবে। ক্রিকেটার যত বড় তারকাই হন, নিয়ম সবার জন্য এক।
একবার এই নিয়ম ভাঙায় জাসপ্রীত বুমরাকে নাকি বড় শাস্তি পেতে হয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) একটা একাডেমি আছে মিরপুরে। চোটে পড়লে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মতো দেশের বড় ক্রিকেট তারকাদের কথা বাদই দিন; মধ্যম সারির তারকা লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তরাও তো একাডেমি ভবনে থেকে এখন পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শেষ করবেন না। বিসিবির একাডেমিতে মূলত বয়সভিত্তিক দল, হাইপারফরম্যান্স (এইচপি), ‘এ’ দল আর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকেন, যাঁদের ঢাকায় ভালো আবাসনের ব্যবস্থা নেই।
ভারতের শক্ত ক্রিকেট কাঠামোর সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোর তুলনা করলে শুধু দীর্ঘশ্বাস বাড়বে। সেই ভঙ্গুর ক্রিকেট কাঠামো আর দুর্বল ক্রিকেট সংস্কৃতির সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয় বিশ্বকাপে এসে। বিশ্বকাপ শেষে দল ফিরেছে দেশে। টুর্নামেন্টের ব্যর্থতা নিয়ে খুব বেশি পড়ে থাকার সুযোগ নেই। সামনে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আর নিউজিল্যান্ড সফর। কিন্তু সামনে তাকাতে চাইলেও বিসিবি এখনো অনেক কিছু পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে না। কারণ, কোচিং স্টাফদের মধ্যে যাঁরা বিদায় নিলেন, তাঁদের জায়গায় নতুন কারা আসবেন, চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের কাজের পরিধি সামনে কেমন হবে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের ভবিষ্যৎ কী? দুজনের দূরত্ব বা সম্পর্কের শীতলতা প্রশ্নটা আরও জোরালো করেছে ৷
দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আঙুলের চোটে সাকিবের শুধু বিশ্বকাপই শেষ হয়নি, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের এক সদস্য কাল সাকিবের চোট নিয়ে বললেন, ‘সাকিবের যে চোট, চার সপ্তাহের আগে সেরে ওঠার সম্ভাবনা নেই। ওর ভাঙা আঙুল জোড়া লাগতে অন্তত চার সপ্তাহ লাগবে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তবে ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে কি না, এটা এখন বলা মুশকিল।’
বিশ্বকাপে আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছিলেন, তিনি আর অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহী নন। বিসিবি তাই সাকিবের সঙ্গে বসতে চায়। জানতে চায় তাঁর ভবিষ্যৎ ভাবনা। সাকিবের অবর্তমানে নিউজিল্যান্ড সিরিজে নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস কিংবা মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে একজনকে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড তুলে দিতে হবে বিসিবিকে। যেহেতু সাকিবের অবর্তমানে বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে শান্ত অধিনায়কত্ব করেছেন এবং তিনি সামনেও নেতৃত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কিউইদের বিপক্ষে তাঁকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আট মাস পরই আরেকটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। এবার ২০ ওভারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। নতুন কোনো নাটকীয় ঘটনা না ঘটলে সাকিবের নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপও খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। আর এটি দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করার পরিকল্পনা তাঁর।
আগামী সাত-আট মাসে সাকিবের ক্রিকেটীয় গতিপথ সম্পর্কে তবু কিছু ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু তামিম কবে ফিরছেন, নাকি তুমুল হইচই করে ক্যারিয়ারের অনানুষ্ঠানিক বিদায় দিয়ে দিলেন? ‘এ তো লাখ টাকার প্রশ্ন। সে নাকি আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে’—বলছিলেন নির্বাচক প্যানেলের ওই সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজেই চোটমুক্ত হয়ে তামিম ফিরবেন কি না, সেটিও এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বিসিবি। তবে বিসিবির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক প্যানেল ও বিসিবির নীতিনির্ধারকদের অনেকেই অসন্তুষ্ট তামিমের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, তামিমের ঘটনাগুলো তাঁদের বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
যেহেতু বিসিসিআইয়ের মতো বিসিবির এখনো তাদের চুক্তিবদ্ধ বড় তারকাদের ওপর সেভাবে ‘নিয়ন্ত্রণ’ নেই, আপাতত মাঠে ফেরা, অধিনায়কত্ব করা না করা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানতে বোর্ড সাকিব বা তামিমের দিকেই তাকিয়ে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ যেকোনো চোটে পড়া ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে ফিরতে হলে বেঙ্গালুরুতে তাঁদের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) ফিটনেসের সনদ নিতেই হবে। ক্রিকেটার যত বড় তারকাই হন, নিয়ম সবার জন্য এক।
একবার এই নিয়ম ভাঙায় জাসপ্রীত বুমরাকে নাকি বড় শাস্তি পেতে হয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) একটা একাডেমি আছে মিরপুরে। চোটে পড়লে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মতো দেশের বড় ক্রিকেট তারকাদের কথা বাদই দিন; মধ্যম সারির তারকা লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তরাও তো একাডেমি ভবনে থেকে এখন পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শেষ করবেন না। বিসিবির একাডেমিতে মূলত বয়সভিত্তিক দল, হাইপারফরম্যান্স (এইচপি), ‘এ’ দল আর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকেন, যাঁদের ঢাকায় ভালো আবাসনের ব্যবস্থা নেই।
ভারতের শক্ত ক্রিকেট কাঠামোর সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোর তুলনা করলে শুধু দীর্ঘশ্বাস বাড়বে। সেই ভঙ্গুর ক্রিকেট কাঠামো আর দুর্বল ক্রিকেট সংস্কৃতির সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয় বিশ্বকাপে এসে। বিশ্বকাপ শেষে দল ফিরেছে দেশে। টুর্নামেন্টের ব্যর্থতা নিয়ে খুব বেশি পড়ে থাকার সুযোগ নেই। সামনে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আর নিউজিল্যান্ড সফর। কিন্তু সামনে তাকাতে চাইলেও বিসিবি এখনো অনেক কিছু পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে না। কারণ, কোচিং স্টাফদের মধ্যে যাঁরা বিদায় নিলেন, তাঁদের জায়গায় নতুন কারা আসবেন, চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের কাজের পরিধি সামনে কেমন হবে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের ভবিষ্যৎ কী? দুজনের দূরত্ব বা সম্পর্কের শীতলতা প্রশ্নটা আরও জোরালো করেছে ৷
দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আঙুলের চোটে সাকিবের শুধু বিশ্বকাপই শেষ হয়নি, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের এক সদস্য কাল সাকিবের চোট নিয়ে বললেন, ‘সাকিবের যে চোট, চার সপ্তাহের আগে সেরে ওঠার সম্ভাবনা নেই। ওর ভাঙা আঙুল জোড়া লাগতে অন্তত চার সপ্তাহ লাগবে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তবে ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে কি না, এটা এখন বলা মুশকিল।’
বিশ্বকাপে আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছিলেন, তিনি আর অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহী নন। বিসিবি তাই সাকিবের সঙ্গে বসতে চায়। জানতে চায় তাঁর ভবিষ্যৎ ভাবনা। সাকিবের অবর্তমানে নিউজিল্যান্ড সিরিজে নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস কিংবা মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে একজনকে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড তুলে দিতে হবে বিসিবিকে। যেহেতু সাকিবের অবর্তমানে বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে শান্ত অধিনায়কত্ব করেছেন এবং তিনি সামনেও নেতৃত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কিউইদের বিপক্ষে তাঁকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আট মাস পরই আরেকটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। এবার ২০ ওভারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। নতুন কোনো নাটকীয় ঘটনা না ঘটলে সাকিবের নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপও খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। আর এটি দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করার পরিকল্পনা তাঁর।
আগামী সাত-আট মাসে সাকিবের ক্রিকেটীয় গতিপথ সম্পর্কে তবু কিছু ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু তামিম কবে ফিরছেন, নাকি তুমুল হইচই করে ক্যারিয়ারের অনানুষ্ঠানিক বিদায় দিয়ে দিলেন? ‘এ তো লাখ টাকার প্রশ্ন। সে নাকি আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে’—বলছিলেন নির্বাচক প্যানেলের ওই সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজেই চোটমুক্ত হয়ে তামিম ফিরবেন কি না, সেটিও এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বিসিবি। তবে বিসিবির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক প্যানেল ও বিসিবির নীতিনির্ধারকদের অনেকেই অসন্তুষ্ট তামিমের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, তামিমের ঘটনাগুলো তাঁদের বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
যেহেতু বিসিসিআইয়ের মতো বিসিবির এখনো তাদের চুক্তিবদ্ধ বড় তারকাদের ওপর সেভাবে ‘নিয়ন্ত্রণ’ নেই, আপাতত মাঠে ফেরা, অধিনায়কত্ব করা না করা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানতে বোর্ড সাকিব বা তামিমের দিকেই তাকিয়ে।
দ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
১৯ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগে