ক্রীড়া ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটা ছবি খুব ভাইরাল। ছবিটা আইসিসির সর্বশেষ তিনটি ইভেন্টের ফাইনালে অধিনায়কদের ফটোসেশন নিয়ে। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। এউইন মরগানের জায়গায় বিরাট কোহলি, কোহলির জায়গায় অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু একজন ধ্রুব থেকে গেছেন। তিনি কেন উইলিয়ামসন।
পুরো ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকতার মূর্ত প্রতীক হয়ে ছিলেন উইলিয়ামসন। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অবসরের পর মার্টিন গাপটিল-ট্রেন্ট বোল্টদের এই দলটাকে এক সুতোয় গেঁথেছেন তিনি। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়ে নিজের ধারাবাহিকতার সঙ্গে দলকেও দারুণভাবে এগিয়ে নিয়েছেন।
এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য সেরা ফর্মে ছিলেন না। সব মিলিয়ে ছয় ম্যাচে করেছিলেন ১৩১ রান। ৯৪.২৪ স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সদা শান্ত-সৌম্য উইলিয়ামসনের কানেও বোধ হয় সেই প্রশ্ন এসেছিল। তবে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টুর্নামেন্টে নিজের সেরা ইনিংসটা যেন জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্যই। তাইতো দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যখন তাঁকে সবচেয়ে বেশি দরকার, তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন। সেমিফাইনালের নায়ক ডেরিল মিচেল আউট হয়ে ফিরতেই ক্রিজে আসেন উইলিয়ামসন।
শুরুটা হয় নড়বড়ে। প্রথম ১২ বল থেকে করতে পারেন মাত্র ৬ রান। ২১ রানের সময় মিচেল স্টার্কের বলে জশ হ্যাজলউড ক্যাচ ছাড়লে ‘জীবন’ পান। এই ক্যাচ মিসই যেন উইলিয়ামসনকে জাগিয়ে তোলে। সেটিই বড় ধাক্কা হয়ে আসে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। প্রথম ২১ বলে ২১ রান করা উইলিয়ামসন পরের ২৭ বলে যে রৌদ্র মূর্তি ধারণ করেন, সেটা অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। এই ২৭ বলে স্টার্ক-অ্যাডাম জাম্পাদের কচুকাটা করে করেন ৬৪ রান। ক্যাচ মিস করা সেই হ্যাজলউডের বলে আউট হওয়ার আগে দলকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে করেন ৮৫ রান। ১০ চার আর তিন ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন উইলিয়ামসন। যে স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা উঠেছিল, সেখানেও জবাব দিয়েছেন, ১৭৭. ০৮!
বড় খেলোয়াড়েরা নাকি বড় মঞ্চের জন্য সেরাটা জমিয়ে রাখেন। সর্বশেষ তিনটি আইসিসি ইভেন্টের নকআউটে সেই উইলিয়ামসনের দেখা মিলেছে। শুরুতে যে তিনটি আইসিসি ইভেন্টের কথা বলা হয়েছে, আজ দুবাইয়ে ৮৫ রানের ইনিংসে একটা রেকর্ডে নাম লিখেছেন উইলিয়ামসন। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ৫০ এর ওপরে রান করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৭ রান। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সেই ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৭ রান।
আরেকবার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামসন দেখালেন, কেন তিনি বড় মঞ্চের খেলোয়াড়; কেন তাঁকে বলা হয় নম্র চেহারার নীরব ঘাতক! প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে উপলক্ষটা নিশ্চয়ই আরও রাঙাতে চাইবেন কিউই অধিনায়ক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটা ছবি খুব ভাইরাল। ছবিটা আইসিসির সর্বশেষ তিনটি ইভেন্টের ফাইনালে অধিনায়কদের ফটোসেশন নিয়ে। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। এউইন মরগানের জায়গায় বিরাট কোহলি, কোহলির জায়গায় অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু একজন ধ্রুব থেকে গেছেন। তিনি কেন উইলিয়ামসন।
পুরো ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকতার মূর্ত প্রতীক হয়ে ছিলেন উইলিয়ামসন। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অবসরের পর মার্টিন গাপটিল-ট্রেন্ট বোল্টদের এই দলটাকে এক সুতোয় গেঁথেছেন তিনি। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়ে নিজের ধারাবাহিকতার সঙ্গে দলকেও দারুণভাবে এগিয়ে নিয়েছেন।
এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য সেরা ফর্মে ছিলেন না। সব মিলিয়ে ছয় ম্যাচে করেছিলেন ১৩১ রান। ৯৪.২৪ স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সদা শান্ত-সৌম্য উইলিয়ামসনের কানেও বোধ হয় সেই প্রশ্ন এসেছিল। তবে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টুর্নামেন্টে নিজের সেরা ইনিংসটা যেন জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্যই। তাইতো দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যখন তাঁকে সবচেয়ে বেশি দরকার, তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন। সেমিফাইনালের নায়ক ডেরিল মিচেল আউট হয়ে ফিরতেই ক্রিজে আসেন উইলিয়ামসন।
শুরুটা হয় নড়বড়ে। প্রথম ১২ বল থেকে করতে পারেন মাত্র ৬ রান। ২১ রানের সময় মিচেল স্টার্কের বলে জশ হ্যাজলউড ক্যাচ ছাড়লে ‘জীবন’ পান। এই ক্যাচ মিসই যেন উইলিয়ামসনকে জাগিয়ে তোলে। সেটিই বড় ধাক্কা হয়ে আসে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। প্রথম ২১ বলে ২১ রান করা উইলিয়ামসন পরের ২৭ বলে যে রৌদ্র মূর্তি ধারণ করেন, সেটা অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। এই ২৭ বলে স্টার্ক-অ্যাডাম জাম্পাদের কচুকাটা করে করেন ৬৪ রান। ক্যাচ মিস করা সেই হ্যাজলউডের বলে আউট হওয়ার আগে দলকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে করেন ৮৫ রান। ১০ চার আর তিন ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন উইলিয়ামসন। যে স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা উঠেছিল, সেখানেও জবাব দিয়েছেন, ১৭৭. ০৮!
বড় খেলোয়াড়েরা নাকি বড় মঞ্চের জন্য সেরাটা জমিয়ে রাখেন। সর্বশেষ তিনটি আইসিসি ইভেন্টের নকআউটে সেই উইলিয়ামসনের দেখা মিলেছে। শুরুতে যে তিনটি আইসিসি ইভেন্টের কথা বলা হয়েছে, আজ দুবাইয়ে ৮৫ রানের ইনিংসে একটা রেকর্ডে নাম লিখেছেন উইলিয়ামসন। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ৫০ এর ওপরে রান করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৭ রান। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সেই ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৭ রান।
আরেকবার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামসন দেখালেন, কেন তিনি বড় মঞ্চের খেলোয়াড়; কেন তাঁকে বলা হয় নম্র চেহারার নীরব ঘাতক! প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে উপলক্ষটা নিশ্চয়ই আরও রাঙাতে চাইবেন কিউই অধিনায়ক।
দ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
১৬ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগে