ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা পেস বোলারদেরই বলতে হচ্ছে। আগুনে বোলিংয়ে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ধসিয়ে দেয় জশ হ্যাজলউড-মিচেল স্টার্কদের নিয়ে গড়া অজিদের পেস বোলিং লাইনআপ। এরপর শেষ ভাগে কিউই বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন। ব্যাটারদের আশা-যাওয়ার মধ্যে দিনের সর্বোচ্চ স্কোর করেন মারনাস লাবুশেন।
কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি নিউজিল্যান্ডের দুই ক্রিকেটারই আজ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তাতে করে রস টেলর, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, স্টিভেন ফ্লেমিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালামসহ ছয় কিউই ক্রিকেটার নাম লেখালেন শততম টেস্ট খেলার রেকর্ডে। তবে সাউদি-উইলিয়ামসনের শততম টেস্টের দিন নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ১৬২ রানে। অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ১২৪ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে। অজিদের ৩৮ রানে পিছিয়ে থাকার দিন দলটির ব্যাটার লাবুশেনের ৪৫ রানই সর্বোচ্চ স্কোর।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। দুই ওপেনার টম লাথাম ও উইল ইয়ং টেস্টের মেজাজেই ব্যাটিং করেন। ১১৪ বলে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রাখেন লাথাম ও ইয়ং। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ইয়ংকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। স্টার্ককে লেগসাইডে ঘোরাতে যান ইয়ং। আউটসাইড এজ হওয়া বল তৃতীয় স্লিপে দুর্দান্তভাবে ধরেন মিচেল মার্শ। ৫৭ বলে ১ চারে ইয়ং করেন ১৪ রান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শততম টেস্টের মাইলফলক স্পর্শ করেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন এসে ধীরেসুস্থে খেললেও লাথাম আগের চেয়ে তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তাতেই নিজের উইকেট খুইয়েছেন লাথাম। ২২তম ওভারের তৃতীয় বলে হ্যাজলউডকে শট খেলতে যান লাথাম। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন অস্ট্রেলিয়া উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। ৬৯ বলে ৬ চারে ৩৮ রান করেন লাথাম। এই উইকেট নিয়েই নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ভাঙন ধরানোর কাজ শুরু করেন হ্যাজলউড। এরপর একে একে হ্যাজলউড ফেরান রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, কেইন উইলিয়ামসন—নিউজিল্যান্ডের এই তিন ব্যাটারকে। ১ উইকেটে ৬১ রান থেকে মুহূর্তেই কিউইদের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৮৪ রান। যার মধ্যে নিজের শততম টেস্টে উইলিয়ামসন করেন ৩৭ বলে ২ চারে ১৭ রান।
৩১.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৪ রান হওয়ার পর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন গ্লেন ফিলিপস। ষষ্ঠ উইকেটে টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ফিলিপস। তবে জুটিটি ছিল ৩০ বলে ২৩ রানের। এরপর আরও এক ধস নামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে স্টার্ক নেন ফিলিপস ও স্কট কুগলেইন—এই দুই ব্যাটারের উইকেট। এরপর ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্রিন ফেরান টম ব্লান্ডেলের উইকেট।
৪ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৩৭.২ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৭ রান। এরপর নবম উইকেটে টিম সাউদি ও ম্যাট হেনরি জুটি বেঁধে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেন। তাঁদের (সাউদি-হেনরি) ৪৬ বলে ৫৫ রানের জুটিটা যেন কিউই সমর্থকদের হতাশার মধ্যে বিনোদনই দিয়েছে। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে সাউদিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্স। এরপর ৪৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হেনরির উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন হ্যাজলউড। তাতে টেস্টে ১২ বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন হ্যাজলউড। ১৩.২ ওভার বোলিং করে ৩১ রানে নেন ৫ উইকেট। নিউজিল্যান্ড ৪৫.২ ওভারে ১৬২ রানে অলআউট হয়েছে। স্বাগতিকদের ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন লাথাম।
অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামলে ১৮ রানেই হারায় প্রথম উইকেট। নবম ওভারের তৃতীয় বলে স্টিভ স্মিথকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন বেন সিয়ার্স। এই ম্যাচ দিয়েই টেস্টে অভিষেক হয়েছে সিয়ার্সের। স্মিথ আউট হয়েছেন ১১ রান করে। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন লাবুশেন। তবে ওপেনার উসমান খাজার সঙ্গে লাবুশেনের জুটিটা জমেনি। ১৪তম ওভারের শেষ বলে উসমান খাজাকে বোল্ড করেন হেনরি। খাজা ১৬ রানে আউট হলে কিউইদের স্কোর হয়ে যায় ১৩.৬ ওভারে ২ উইকেটে ৩২ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে লাবুশেন-গ্রিন ৭৮ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। গ্রিনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হেনরি। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ট্রাভিস হেড। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২১ রান। হেনরি দ্রুত ২ উইকেট নেওয়ায় অজিদের স্কোর হয়ে যায় ৩২.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৭ রান। এরপর অজিরা যখন ৪ উইকেটে ১২৪ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে, তখন তাদের নামের পাশে ৩৬ ওভার। লাবুশেন ৪৫ রানে অপরাজিত আছেন। ১ রানে ব্যাটিং করছেন নাথান লায়ন।
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা পেস বোলারদেরই বলতে হচ্ছে। আগুনে বোলিংয়ে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ধসিয়ে দেয় জশ হ্যাজলউড-মিচেল স্টার্কদের নিয়ে গড়া অজিদের পেস বোলিং লাইনআপ। এরপর শেষ ভাগে কিউই বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন। ব্যাটারদের আশা-যাওয়ার মধ্যে দিনের সর্বোচ্চ স্কোর করেন মারনাস লাবুশেন।
কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি নিউজিল্যান্ডের দুই ক্রিকেটারই আজ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তাতে করে রস টেলর, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, স্টিভেন ফ্লেমিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালামসহ ছয় কিউই ক্রিকেটার নাম লেখালেন শততম টেস্ট খেলার রেকর্ডে। তবে সাউদি-উইলিয়ামসনের শততম টেস্টের দিন নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ১৬২ রানে। অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ১২৪ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে। অজিদের ৩৮ রানে পিছিয়ে থাকার দিন দলটির ব্যাটার লাবুশেনের ৪৫ রানই সর্বোচ্চ স্কোর।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। দুই ওপেনার টম লাথাম ও উইল ইয়ং টেস্টের মেজাজেই ব্যাটিং করেন। ১১৪ বলে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রাখেন লাথাম ও ইয়ং। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ইয়ংকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। স্টার্ককে লেগসাইডে ঘোরাতে যান ইয়ং। আউটসাইড এজ হওয়া বল তৃতীয় স্লিপে দুর্দান্তভাবে ধরেন মিচেল মার্শ। ৫৭ বলে ১ চারে ইয়ং করেন ১৪ রান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শততম টেস্টের মাইলফলক স্পর্শ করেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন এসে ধীরেসুস্থে খেললেও লাথাম আগের চেয়ে তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তাতেই নিজের উইকেট খুইয়েছেন লাথাম। ২২তম ওভারের তৃতীয় বলে হ্যাজলউডকে শট খেলতে যান লাথাম। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন অস্ট্রেলিয়া উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। ৬৯ বলে ৬ চারে ৩৮ রান করেন লাথাম। এই উইকেট নিয়েই নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ভাঙন ধরানোর কাজ শুরু করেন হ্যাজলউড। এরপর একে একে হ্যাজলউড ফেরান রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, কেইন উইলিয়ামসন—নিউজিল্যান্ডের এই তিন ব্যাটারকে। ১ উইকেটে ৬১ রান থেকে মুহূর্তেই কিউইদের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৮৪ রান। যার মধ্যে নিজের শততম টেস্টে উইলিয়ামসন করেন ৩৭ বলে ২ চারে ১৭ রান।
৩১.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৪ রান হওয়ার পর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন গ্লেন ফিলিপস। ষষ্ঠ উইকেটে টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ফিলিপস। তবে জুটিটি ছিল ৩০ বলে ২৩ রানের। এরপর আরও এক ধস নামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে স্টার্ক নেন ফিলিপস ও স্কট কুগলেইন—এই দুই ব্যাটারের উইকেট। এরপর ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্রিন ফেরান টম ব্লান্ডেলের উইকেট।
৪ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৩৭.২ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৭ রান। এরপর নবম উইকেটে টিম সাউদি ও ম্যাট হেনরি জুটি বেঁধে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেন। তাঁদের (সাউদি-হেনরি) ৪৬ বলে ৫৫ রানের জুটিটা যেন কিউই সমর্থকদের হতাশার মধ্যে বিনোদনই দিয়েছে। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে সাউদিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্স। এরপর ৪৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হেনরির উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন হ্যাজলউড। তাতে টেস্টে ১২ বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন হ্যাজলউড। ১৩.২ ওভার বোলিং করে ৩১ রানে নেন ৫ উইকেট। নিউজিল্যান্ড ৪৫.২ ওভারে ১৬২ রানে অলআউট হয়েছে। স্বাগতিকদের ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন লাথাম।
অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামলে ১৮ রানেই হারায় প্রথম উইকেট। নবম ওভারের তৃতীয় বলে স্টিভ স্মিথকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন বেন সিয়ার্স। এই ম্যাচ দিয়েই টেস্টে অভিষেক হয়েছে সিয়ার্সের। স্মিথ আউট হয়েছেন ১১ রান করে। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন লাবুশেন। তবে ওপেনার উসমান খাজার সঙ্গে লাবুশেনের জুটিটা জমেনি। ১৪তম ওভারের শেষ বলে উসমান খাজাকে বোল্ড করেন হেনরি। খাজা ১৬ রানে আউট হলে কিউইদের স্কোর হয়ে যায় ১৩.৬ ওভারে ২ উইকেটে ৩২ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে লাবুশেন-গ্রিন ৭৮ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। গ্রিনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হেনরি। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ট্রাভিস হেড। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২১ রান। হেনরি দ্রুত ২ উইকেট নেওয়ায় অজিদের স্কোর হয়ে যায় ৩২.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৭ রান। এরপর অজিরা যখন ৪ উইকেটে ১২৪ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে, তখন তাদের নামের পাশে ৩৬ ওভার। লাবুশেন ৪৫ রানে অপরাজিত আছেন। ১ রানে ব্যাটিং করছেন নাথান লায়ন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
২ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৪ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
৫ ঘণ্টা আগে