ক্রীড়া ডেস্ক
ইনিংসের ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এলেন আবু হায়দার রনি। নিজের প্রথম ওভারেই নিলেন ৩ উইকেট! প্রথম বলে ফেরালেন মুশফিকুর রহিমকে (৫)। ফরচুন বরিশাল উইকেটরক্ষকের ক্যাচ নিলেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর বোল্ড সৌম্য সরকার (০)। নিজের পঞ্চম বলে ভয়ংকর হয়ে ওঠা কাইল মায়ার্সকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন রনিই।
নিজের প্রথম ওভারেই ১ রান দিয়ে তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে আউট—রনির তোপের সামনে হঠাৎ খেই হারানো বরিশাল ধাক্কাটা আর সামলাতে পারেনি। সেই ধাক্কার আগে তামিম ইকবালের দলের রান ছিল ২ উইকেটে ১১০। সেখান থেকে বরিশালের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬। শেষ পর্যন্ত তারকাবহুল দলটির সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৯ উইকেটে ১৫১ রান।
রনি অবশ্য এই তিন উইকেট নিয়েই থামেননি। করেছেন আরও দুই শিকার। পরের দুই উইকেট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯) ও মেহেদি হাসান মিরাজকেও (৩) ফেরান রংপুর রাইডার্সের এই পেসার। এরপর আরেক পেসার হাসান মাহমুদ এসে ফেরান পরের দুই উইকেট মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (১০) ও কেশব মহারাজকে (১)।
বরিশালকে প্রথম ধাক্কাটা অবশ্য দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামে আজ বিপিএলে দ্বিতীয় দিনে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্তই করেছিল বরিশাল। ৪ ওভারেই করে করে ফেলে ৩৮ রান। তবে বরিশালের ওপেনিং জুটিটা আর এগোতে দেননি সাকিব। নিজের প্রথম স্পেলের প্রথম বলেই অধিনায়ক তামিমকে ফেরান রংপুর অলরাউন্ডার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ‘বিভ্রান্তিকর শট’ খেলে মুমিনুল হকের হাতে বন্দী হোন বরিশাল ওপেনার। এককালের বন্ধু আর বর্তমান সময়ের ‘শত্রু’কে ফিরিয়ে মুমিনুলের সঙ্গে বেশ উচ্ছ্বসিত উদ্যাপন করেন সাকিব। ২০ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৩ রানে থামে তামিমের ইনিংস।
এরপর অবশ্য দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বরিশালকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মায়ার্স ও ওপেনার টম ব্যান্টন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৪৫ বলে ৭২ রানের জুটি। ২৪ বলে ২৬ রান করা ব্যান্টনকে ফিরিয়ে রংপুরকে স্বস্তি এনে দেন জিমি নিশাম। এরপরই শুরু রনির জাদু। মায়ার্সের ২৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ৪৬ রানের ইনিংসটিই বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ। মুমিনুল ক্যাচ মিস না করলে তার আগেই থেমে যেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডারের ইনিংস। শেষদিকে বরিশালের ওবেদ ম্যাককয় ১২ ও কামরুল ইসলাম ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রনি ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এবারের বিপিএলে এটি কোনো বোলারের দ্বিতীয় ৫ উইকেট। আর সব মিলিয়ে এটিই চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার। বাংলাদেশিদের মধ্যে বিপিএল ইতিহাসে সেরা বোলিং রনিরই।
বিপিএলের সেরা ছয় বোলিং:
বোলিং দল প্রতিপক্ষ সাল
মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান) ৬/১৭ খুলনা রাজশাহী ২০২০
মোহাম্মদ শামি (পাকিস্তান) ৫/৬ রাজশাহী ঢাকা ২০১২
ওয়াহাব রিয়াজ (পাকিস্তান) ৫/৮ ঢাকা রাজশাহী ২০১৯
আবু হায়দার রনি (বাংলাদেশ) ৫/১২ রংপুর বরিশাল ২০২৪
কেভন কুপার (উইন্ডিজ) ৫/১৫ বরিশাল রংপুর ২০১৫
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) ৫/১৬ ঢাকা রংপুর ২০১৭
ইনিংসের ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এলেন আবু হায়দার রনি। নিজের প্রথম ওভারেই নিলেন ৩ উইকেট! প্রথম বলে ফেরালেন মুশফিকুর রহিমকে (৫)। ফরচুন বরিশাল উইকেটরক্ষকের ক্যাচ নিলেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর বোল্ড সৌম্য সরকার (০)। নিজের পঞ্চম বলে ভয়ংকর হয়ে ওঠা কাইল মায়ার্সকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন রনিই।
নিজের প্রথম ওভারেই ১ রান দিয়ে তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে আউট—রনির তোপের সামনে হঠাৎ খেই হারানো বরিশাল ধাক্কাটা আর সামলাতে পারেনি। সেই ধাক্কার আগে তামিম ইকবালের দলের রান ছিল ২ উইকেটে ১১০। সেখান থেকে বরিশালের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬। শেষ পর্যন্ত তারকাবহুল দলটির সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৯ উইকেটে ১৫১ রান।
রনি অবশ্য এই তিন উইকেট নিয়েই থামেননি। করেছেন আরও দুই শিকার। পরের দুই উইকেট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯) ও মেহেদি হাসান মিরাজকেও (৩) ফেরান রংপুর রাইডার্সের এই পেসার। এরপর আরেক পেসার হাসান মাহমুদ এসে ফেরান পরের দুই উইকেট মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (১০) ও কেশব মহারাজকে (১)।
বরিশালকে প্রথম ধাক্কাটা অবশ্য দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামে আজ বিপিএলে দ্বিতীয় দিনে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্তই করেছিল বরিশাল। ৪ ওভারেই করে করে ফেলে ৩৮ রান। তবে বরিশালের ওপেনিং জুটিটা আর এগোতে দেননি সাকিব। নিজের প্রথম স্পেলের প্রথম বলেই অধিনায়ক তামিমকে ফেরান রংপুর অলরাউন্ডার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ‘বিভ্রান্তিকর শট’ খেলে মুমিনুল হকের হাতে বন্দী হোন বরিশাল ওপেনার। এককালের বন্ধু আর বর্তমান সময়ের ‘শত্রু’কে ফিরিয়ে মুমিনুলের সঙ্গে বেশ উচ্ছ্বসিত উদ্যাপন করেন সাকিব। ২০ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৩ রানে থামে তামিমের ইনিংস।
এরপর অবশ্য দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বরিশালকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মায়ার্স ও ওপেনার টম ব্যান্টন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৪৫ বলে ৭২ রানের জুটি। ২৪ বলে ২৬ রান করা ব্যান্টনকে ফিরিয়ে রংপুরকে স্বস্তি এনে দেন জিমি নিশাম। এরপরই শুরু রনির জাদু। মায়ার্সের ২৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ৪৬ রানের ইনিংসটিই বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ। মুমিনুল ক্যাচ মিস না করলে তার আগেই থেমে যেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডারের ইনিংস। শেষদিকে বরিশালের ওবেদ ম্যাককয় ১২ ও কামরুল ইসলাম ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রনি ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এবারের বিপিএলে এটি কোনো বোলারের দ্বিতীয় ৫ উইকেট। আর সব মিলিয়ে এটিই চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার। বাংলাদেশিদের মধ্যে বিপিএল ইতিহাসে সেরা বোলিং রনিরই।
বিপিএলের সেরা ছয় বোলিং:
বোলিং দল প্রতিপক্ষ সাল
মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান) ৬/১৭ খুলনা রাজশাহী ২০২০
মোহাম্মদ শামি (পাকিস্তান) ৫/৬ রাজশাহী ঢাকা ২০১২
ওয়াহাব রিয়াজ (পাকিস্তান) ৫/৮ ঢাকা রাজশাহী ২০১৯
আবু হায়দার রনি (বাংলাদেশ) ৫/১২ রংপুর বরিশাল ২০২৪
কেভন কুপার (উইন্ডিজ) ৫/১৫ বরিশাল রংপুর ২০১৫
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) ৫/১৬ ঢাকা রংপুর ২০১৭
দ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৩৭ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগে