ক্রীড়া ডেস্ক
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে হারানোর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান। একই ম্যাচ দিয়ে সমাপ্তি ঘটেছে একটি যুগেরও। বিরাট কোহলি–রবি শাস্ত্রী পার্টনারশিপও আর দেখা যাবে না ভারতীয় ক্রিকেটে। ভারতীয় ক্রিকেটের সাজঘরে আরও অনেক দিন থাকলেও টি–টোয়েন্টিতে আর অধিনায়কত্ব করবেন না কোহলি। শাস্ত্রী তো প্রধান কোচের পদ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন।
অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে অনিল কুম্বলে কোচিং পদ থেকে পদত্যাগ করলে ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই শাস্ত্রীকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। কোহলি-শাস্ত্রী জুটি এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় এবং এই বছরের ইংল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত প্রদর্শনীসহ ভারতকে বেশ কিছু সাফল্য এনে দিয়েছে। দেশ এবং বিদেশে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেললেও এই জুটি কিন্তু আইসিসি ইভেন্টে সাফল্যের মুখ দেখেনি। দুজনের ‘শাসনকালে’ ভারতীয় ক্রিকেট বেশ বড় ধাক্কাও খেয়েছে কয়েকটি। তারই পাঁচটি দেখে নেওয়া যাক।
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হার
কোহলি-শাস্ত্রী জুটির জন্য প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত যথারীতি এই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে প্রভাব বিস্তার করে খেলে উঠে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের বিদায় ঘটে সেই সেমিফাইনাল থেকে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড ভারতে ২৪০ রানের লক্ষ্যে দিয়েছিল। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় হারের হতাশায় ডুবতে হয় ভারতকে। ৫ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা চেষ্টা করলেও ১৮ রানে কোহলির ভারত।
৩৬ রানে অলআউটের ‘লজ্জা’
কোহলি–শাস্ত্রী যুগের সবচেয়ে বড় ‘কেলেঙ্কারি’ হয়ে থাকবে অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে অলআউটের বিপর্যয়টা। পেসারদের স্বর্গভূমিতে প্রথম ইনিংসে মোটামুটি ভালো ব্যাটিংই করেছিল ভারত। ২৪৪ রানে থেমেছিলেন কোহলিরা। পরে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯১ রানে বেঁধে ফেলে যখন টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখনই ওই ধাক্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে প্যাট কামিন্স ও হ্যাজলউডের তোপে ৩৬ রানেই অলআউট ভারত। পরে সেই টেস্টটা সহজেই জিতে নেন টিম পেইনরা। এরপর প্রথম সন্তানের জন্ম উপলক্ষে ছুটি নিয়ে দেশে ফেরেন কোহলি। পরে অবশ্য অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে দুর্দান্তভাবে সিরিজে ফিরে এসেছিল ভারত। তবুও ৩৬ রানে অলআউটের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির নাম লেখাই থাকবে, আর কোচ কে ছিল—সেই প্রশ্নের উত্তরে বারবার আসবে রবি শাস্ত্রীর কথা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল
গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে ভারত প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছিল। বিশ্বমঞ্চে কোহলিদের ‘চিরশত্রু’ হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ড এখানেও ভারতের প্রতিপক্ষ। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে আবারও ভারতকে হারিয়ে উইলিয়ামসনরা বুঝিয়ে দেন বড় ইভেন্টে কিউইদের হারানোর দম নেই ভারতের। লর্ডসের ফাইনালে ভারতীয় ব্যাটাররা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হন। প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন আরও কম–১৭০। ভারতীয় বোলাররা প্রথম ইনিংসে চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। কোহলি-শাস্ত্রী যুগে দ্বিতীয়বার নকআউট ম্যাচে ভারতকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানেই হারায় উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে প্রথম হার অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়েছিল ভারত। ভারতের জন্য শুরুটা দুর্দান্ত করার সুযোগ চলে আসে, প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে পাওয়ায়। কেননা বিশ্বকাপের মঞ্চে কখনো ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সেই ভারত কিনা কোহলি–শাস্ত্রী যুগে এসে পাকিস্তানের কাছে বড় ‘অপমানের’ শিকার হলো। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে বলতে গেলে ১০ উইকেটে হারিয়ে দুরমুশ করেন বাবর আজমরা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে পাওয়া সেই ধাক্কা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি কোহলিরা। কিউইদের কাছে আবারও ধাক্কাপাকিস্তানের বিপক্ষে হারার পর ভারত বিশ্বকাপে ফিরে আসার জন্য জোর চেষ্টায় ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় কোহলিদের বিশ্বকাপের ভাগ্য লেখা হয়ে যায় সেদিনই। ট্রেন্ট বোল্ট ও ইশ সোধীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত মাত্র ১১০/৭ এ আটকে যায়।। ড্যারিল মিচেলের ৪৯ এবং অধিনায়ক উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৩৩ রানে ভর করে ৮ উইকেটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত এশিয়ান জায়ান্টরা বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়ে। আইসিসি ইভেন্টে প্রধান কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর মেয়াদকালে ভারতের কফিনে এটি যেন চূড়ান্ত পেরেক ছিল।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে হারানোর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান। একই ম্যাচ দিয়ে সমাপ্তি ঘটেছে একটি যুগেরও। বিরাট কোহলি–রবি শাস্ত্রী পার্টনারশিপও আর দেখা যাবে না ভারতীয় ক্রিকেটে। ভারতীয় ক্রিকেটের সাজঘরে আরও অনেক দিন থাকলেও টি–টোয়েন্টিতে আর অধিনায়কত্ব করবেন না কোহলি। শাস্ত্রী তো প্রধান কোচের পদ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন।
অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে অনিল কুম্বলে কোচিং পদ থেকে পদত্যাগ করলে ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই শাস্ত্রীকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। কোহলি-শাস্ত্রী জুটি এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় এবং এই বছরের ইংল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত প্রদর্শনীসহ ভারতকে বেশ কিছু সাফল্য এনে দিয়েছে। দেশ এবং বিদেশে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেললেও এই জুটি কিন্তু আইসিসি ইভেন্টে সাফল্যের মুখ দেখেনি। দুজনের ‘শাসনকালে’ ভারতীয় ক্রিকেট বেশ বড় ধাক্কাও খেয়েছে কয়েকটি। তারই পাঁচটি দেখে নেওয়া যাক।
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হার
কোহলি-শাস্ত্রী জুটির জন্য প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত যথারীতি এই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে প্রভাব বিস্তার করে খেলে উঠে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের বিদায় ঘটে সেই সেমিফাইনাল থেকে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড ভারতে ২৪০ রানের লক্ষ্যে দিয়েছিল। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় হারের হতাশায় ডুবতে হয় ভারতকে। ৫ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা চেষ্টা করলেও ১৮ রানে কোহলির ভারত।
৩৬ রানে অলআউটের ‘লজ্জা’
কোহলি–শাস্ত্রী যুগের সবচেয়ে বড় ‘কেলেঙ্কারি’ হয়ে থাকবে অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে অলআউটের বিপর্যয়টা। পেসারদের স্বর্গভূমিতে প্রথম ইনিংসে মোটামুটি ভালো ব্যাটিংই করেছিল ভারত। ২৪৪ রানে থেমেছিলেন কোহলিরা। পরে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯১ রানে বেঁধে ফেলে যখন টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখনই ওই ধাক্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে প্যাট কামিন্স ও হ্যাজলউডের তোপে ৩৬ রানেই অলআউট ভারত। পরে সেই টেস্টটা সহজেই জিতে নেন টিম পেইনরা। এরপর প্রথম সন্তানের জন্ম উপলক্ষে ছুটি নিয়ে দেশে ফেরেন কোহলি। পরে অবশ্য অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে দুর্দান্তভাবে সিরিজে ফিরে এসেছিল ভারত। তবুও ৩৬ রানে অলআউটের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির নাম লেখাই থাকবে, আর কোচ কে ছিল—সেই প্রশ্নের উত্তরে বারবার আসবে রবি শাস্ত্রীর কথা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল
গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে ভারত প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছিল। বিশ্বমঞ্চে কোহলিদের ‘চিরশত্রু’ হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ড এখানেও ভারতের প্রতিপক্ষ। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে আবারও ভারতকে হারিয়ে উইলিয়ামসনরা বুঝিয়ে দেন বড় ইভেন্টে কিউইদের হারানোর দম নেই ভারতের। লর্ডসের ফাইনালে ভারতীয় ব্যাটাররা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হন। প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন আরও কম–১৭০। ভারতীয় বোলাররা প্রথম ইনিংসে চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। কোহলি-শাস্ত্রী যুগে দ্বিতীয়বার নকআউট ম্যাচে ভারতকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানেই হারায় উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে প্রথম হার অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়েছিল ভারত। ভারতের জন্য শুরুটা দুর্দান্ত করার সুযোগ চলে আসে, প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে পাওয়ায়। কেননা বিশ্বকাপের মঞ্চে কখনো ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সেই ভারত কিনা কোহলি–শাস্ত্রী যুগে এসে পাকিস্তানের কাছে বড় ‘অপমানের’ শিকার হলো। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে বলতে গেলে ১০ উইকেটে হারিয়ে দুরমুশ করেন বাবর আজমরা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে পাওয়া সেই ধাক্কা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি কোহলিরা। কিউইদের কাছে আবারও ধাক্কাপাকিস্তানের বিপক্ষে হারার পর ভারত বিশ্বকাপে ফিরে আসার জন্য জোর চেষ্টায় ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় কোহলিদের বিশ্বকাপের ভাগ্য লেখা হয়ে যায় সেদিনই। ট্রেন্ট বোল্ট ও ইশ সোধীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত মাত্র ১১০/৭ এ আটকে যায়।। ড্যারিল মিচেলের ৪৯ এবং অধিনায়ক উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৩৩ রানে ভর করে ৮ উইকেটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত এশিয়ান জায়ান্টরা বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়ে। আইসিসি ইভেন্টে প্রধান কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর মেয়াদকালে ভারতের কফিনে এটি যেন চূড়ান্ত পেরেক ছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৫ ঘণ্টা আগে