ক্রীড়া ডেস্ক
ভারতে যাওয়ার আগে ইংল্যান্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। টনটনে সারের হয়ে অভিষেকে কী দুর্দান্তই না ছিলেন বল হাতে। সমারসেটের বিপক্ষে প্রথম দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯ উইকেট নিয়ে প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১ সপ্তাহ পর চেন্নাইয়ে এসে যেন বোলিংটায় ভুলে গেলেন!
ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১টি উইকেটও পাননি সাকিব। প্রথম দিন তাঁকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিংয়ে আনেন তৃতীয় সেশনে। ততক্ষণে শুরুর ধাক্কা সামলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা উইকেটে থিতু হয়েছেন। ইনিংসের ৫৩ তম ওভারে নিজের প্রথম স্পেল করতে এসে সেই জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিবও।
প্রথম দিন ৮ ওভার বল করে দিয়েছেন ৫০ রান। ইকোনমি—৬.২০। দ্বিতীয় দিন অবশ্য তাঁকে বল হাতে নিতে হয়নি। ভারতের দ্বিতীয় সেশনেও সাকিব ছিলেন ছায়া হয়ে। ১৩ ওভারে দিয়েছেন ৭৯ রান। ইকোনমি—৬.১০। প্রথম ইনিংসে দলের প্রয়োজনের সময়ও ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব। উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করেও ফেরেন ৩২ রানে। ব্যাটিংয়ে অবশ্য অনেক দিন ধরে ফর্মে নেই তিনি।
কিন্তু বোলিংয়ে তো রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টে বেশ ভালো করেছিলেন। দুই টেস্ট মিলিয়ে ৫ উইকেট নিলেও ইকোনমি ছিল বেশ ভালো। সেখান থেকে কাউন্টিতে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েও দুর্দান্ত বল করেছিলেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ৩৩.৫ ওভারে ৯৭ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ইকোনমি ছিল ২.৮৬। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯.৩ ওভারে ৯৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট। ইকোনমি—৩.২৫।
তবে সেই ধারাবাহিকতা চেন্নাইয়ে দেখাতে পারেননি সাকিব। অথচ কাউন্টিতে যেভাবে বোলিং করেছেন, সেটি দেখে ‘শত্রু’র মুখেও ছিল তাঁর প্রশংসা। প্রথম দিন সাকিবকে নিয়ে চেন্নাই টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়া প্রাক্তন বন্ধু তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে তার খেলার ভিডিও এবং হাইলাইটস দেখেছি। আমার মনে হয়, সে তার বলের গতি কিছুটা বাড়িয়েছে, যেটাকে আমি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখছি।’
চেন্নাইয়ে স্পিনে সাকিবের সেই ‘গতি’ দেখা গেল কই! উল্টো মনে হলে সাদামাটা এক স্পিনার। অবশ্য চিপকের এই স্টেডিয়াম গতির ঝড় তুলেছেন পেসাররা। দ্বিতীয় দিন যে ১৭ উইকেটে পড়ার রেকর্ড হলো এই মাঠে, তার ১৫টি পেয়েছেন দুই দলের পেসাররা। কিন্তু দুই দলের মূল স্পিনাররা কমবেশি সফল হলেও সাকিব হয়েছেন ব্যর্থ।
বোলিংয়েও কেন সাকিব কম এসেছেন—এ নিয়ে আজ তৃতীয় দিন শুরুর আগে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে এমন প্রশ্ন করেছিলেন মুরালি কার্তিক। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার হিসেবে আছেন। সাকিব বোলিংয়ে কম আসা নিয়ে জানান, আঙুলে সমস্যার কারণে বল করছেন। এ নিয়ে পরে মুরালি ধারাভাষ্যে বলেন, ‘আমি তাকে (সাকিব) অনেক দিন ধরে চিনি। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কী কারণে সে কম বোলিং করছে? সে আমাকে যেটা বলেছে, (একজন স্পিনার হিসেবে), আমি সেটা পুরোপুরি বুঝতে পারছি। তার বাম হাতের তর্জনীতে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেটি এখন ফুলে শক্ত হয়ে আছে। সেই আঙুলে ভালো বোধ করছে না। স্পিনার হিসেবে আপনার এই অনুভূতিটা প্রয়োজন। এ ছাড়া তার কাঁধেরও অস্বস্তি আছে। তো এটি (বোলিং না করা) দুটি জিনিসেরই সম্মিলন। স্পিনার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে এভাবে বোলিং করা কঠিন, যেখানে আপনার এই অনুভূতিগুলো জরুরি।’
পরে ধারাভাষ্যে এসে কার্তিকের কথার সূত্র ধরে তামিম ইকবাল আনেন সাকিবের আঙুলের প্রসঙ্গটি। তাঁর প্রশ্ন, ‘মুরালি কার্তিক বলেছে, আঙুলের সমস্যার কারণে সাকিব বল গ্রিপ করতে পারছে না। যদি তা-ই হয়, টিম ম্যানেজমেন্টের অবশ্যই জানানো উচিত। তারা এই চোটের কথা আগে থেকেই জানত কি না?’
তবে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আজ দুপুরে জানিয়েছেন সাকিবের আঙুলে কোনো সমস্যা নেই। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘সাকিবের আঙুলের অস্ত্রোপচার হয়েছিল অনেক আগে, সেই ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের পর। সাম্প্রতিক সময়ে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। তবে সাকিবের আঙুলের একটা চিড় ধরা পড়েছিল গত বিশ্বকাপের (২০২৩) সময়ে। এরপর তো ওর আঙুলে কোনো সমস্যা হয়নি।’
ভারতে যাওয়ার আগে ইংল্যান্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। টনটনে সারের হয়ে অভিষেকে কী দুর্দান্তই না ছিলেন বল হাতে। সমারসেটের বিপক্ষে প্রথম দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯ উইকেট নিয়ে প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১ সপ্তাহ পর চেন্নাইয়ে এসে যেন বোলিংটায় ভুলে গেলেন!
ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১টি উইকেটও পাননি সাকিব। প্রথম দিন তাঁকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিংয়ে আনেন তৃতীয় সেশনে। ততক্ষণে শুরুর ধাক্কা সামলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা উইকেটে থিতু হয়েছেন। ইনিংসের ৫৩ তম ওভারে নিজের প্রথম স্পেল করতে এসে সেই জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিবও।
প্রথম দিন ৮ ওভার বল করে দিয়েছেন ৫০ রান। ইকোনমি—৬.২০। দ্বিতীয় দিন অবশ্য তাঁকে বল হাতে নিতে হয়নি। ভারতের দ্বিতীয় সেশনেও সাকিব ছিলেন ছায়া হয়ে। ১৩ ওভারে দিয়েছেন ৭৯ রান। ইকোনমি—৬.১০। প্রথম ইনিংসে দলের প্রয়োজনের সময়ও ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব। উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করেও ফেরেন ৩২ রানে। ব্যাটিংয়ে অবশ্য অনেক দিন ধরে ফর্মে নেই তিনি।
কিন্তু বোলিংয়ে তো রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টে বেশ ভালো করেছিলেন। দুই টেস্ট মিলিয়ে ৫ উইকেট নিলেও ইকোনমি ছিল বেশ ভালো। সেখান থেকে কাউন্টিতে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েও দুর্দান্ত বল করেছিলেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ৩৩.৫ ওভারে ৯৭ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ইকোনমি ছিল ২.৮৬। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯.৩ ওভারে ৯৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট। ইকোনমি—৩.২৫।
তবে সেই ধারাবাহিকতা চেন্নাইয়ে দেখাতে পারেননি সাকিব। অথচ কাউন্টিতে যেভাবে বোলিং করেছেন, সেটি দেখে ‘শত্রু’র মুখেও ছিল তাঁর প্রশংসা। প্রথম দিন সাকিবকে নিয়ে চেন্নাই টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়া প্রাক্তন বন্ধু তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে তার খেলার ভিডিও এবং হাইলাইটস দেখেছি। আমার মনে হয়, সে তার বলের গতি কিছুটা বাড়িয়েছে, যেটাকে আমি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখছি।’
চেন্নাইয়ে স্পিনে সাকিবের সেই ‘গতি’ দেখা গেল কই! উল্টো মনে হলে সাদামাটা এক স্পিনার। অবশ্য চিপকের এই স্টেডিয়াম গতির ঝড় তুলেছেন পেসাররা। দ্বিতীয় দিন যে ১৭ উইকেটে পড়ার রেকর্ড হলো এই মাঠে, তার ১৫টি পেয়েছেন দুই দলের পেসাররা। কিন্তু দুই দলের মূল স্পিনাররা কমবেশি সফল হলেও সাকিব হয়েছেন ব্যর্থ।
বোলিংয়েও কেন সাকিব কম এসেছেন—এ নিয়ে আজ তৃতীয় দিন শুরুর আগে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে এমন প্রশ্ন করেছিলেন মুরালি কার্তিক। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার হিসেবে আছেন। সাকিব বোলিংয়ে কম আসা নিয়ে জানান, আঙুলে সমস্যার কারণে বল করছেন। এ নিয়ে পরে মুরালি ধারাভাষ্যে বলেন, ‘আমি তাকে (সাকিব) অনেক দিন ধরে চিনি। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কী কারণে সে কম বোলিং করছে? সে আমাকে যেটা বলেছে, (একজন স্পিনার হিসেবে), আমি সেটা পুরোপুরি বুঝতে পারছি। তার বাম হাতের তর্জনীতে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেটি এখন ফুলে শক্ত হয়ে আছে। সেই আঙুলে ভালো বোধ করছে না। স্পিনার হিসেবে আপনার এই অনুভূতিটা প্রয়োজন। এ ছাড়া তার কাঁধেরও অস্বস্তি আছে। তো এটি (বোলিং না করা) দুটি জিনিসেরই সম্মিলন। স্পিনার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে এভাবে বোলিং করা কঠিন, যেখানে আপনার এই অনুভূতিগুলো জরুরি।’
পরে ধারাভাষ্যে এসে কার্তিকের কথার সূত্র ধরে তামিম ইকবাল আনেন সাকিবের আঙুলের প্রসঙ্গটি। তাঁর প্রশ্ন, ‘মুরালি কার্তিক বলেছে, আঙুলের সমস্যার কারণে সাকিব বল গ্রিপ করতে পারছে না। যদি তা-ই হয়, টিম ম্যানেজমেন্টের অবশ্যই জানানো উচিত। তারা এই চোটের কথা আগে থেকেই জানত কি না?’
তবে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আজ দুপুরে জানিয়েছেন সাকিবের আঙুলে কোনো সমস্যা নেই। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘সাকিবের আঙুলের অস্ত্রোপচার হয়েছিল অনেক আগে, সেই ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের পর। সাম্প্রতিক সময়ে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। তবে সাকিবের আঙুলের একটা চিড় ধরা পড়েছিল গত বিশ্বকাপের (২০২৩) সময়ে। এরপর তো ওর আঙুলে কোনো সমস্যা হয়নি।’
দ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৪০ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৬ ঘণ্টা আগে