ক্রীড়া ডেস্ক
‘দামে নয়, পারফরম্যান্সেই আসল পরিচয়’—এবারের আইপিএলে রিংকু সিং যেন ছিলেন এমনই। আইপিএলে যেখানে কোটি কোটি টাকা দিয়ে খেলোয়াড় কেনা হয়, লাখ টাকা তো সেখানে নস্যি। ৫৫ লাখ ভারতীয় রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স রিংকুকে নিলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তিনি নজর কেড়েছেন অনেকেরই।
২০১৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল অভিষেক হয় রিংকুর। ৮০ লাখ রূপিতে তাঁকে কিনেছিল। কিন্তু একাদশে সুযোগ পাওয়া ছিল তাঁর কাছে ‘অমাবস্যার চাঁদের’ মতো। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএলে খেলেছেন ১৭ ম্যাচ, যার মধ্যে ২০২১ সালে একাদশে সুযোগই পাননি। এরপর ২০২২ সালে তাঁর ভিত্তিমূল্য কমিয়ে আনা হয় ৫৫ লাখ রুপিতে। গত বছরের মতো একই দামে তাকে ২০২৩ আইপিএলে নেয় কলকাতা। ‘আগামীর তারকা’ হওয়ার গল্প লিখতে যেন এবারের আইপিএলকেই মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন।
রিংকুর ‘সুপারস্টার’ হয়ে ওঠার গল্পের শুরু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম থেকে। ৯ এপ্রিল কলকাতার প্রতিপক্ষ ছিল গুজরাট টাইটান্স। শেষ ওভারে বোলিং করতে আসেন গুজরাটের বাঁহাতি পেসার যশ দয়াল। শেষ পাঁচ বলে তখন কলকাতার সমীকরণ ২৮ রান। দয়ালকে টানা ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে নীতিশ রানার কলকাতাকে এনে দেন রূপকথার এক জয়। ২১ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন। তখনই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় ‘রিংকু বন্দনা’। সুপারস্টার তকমা পেতে শুরু করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আহমেদাবাদ থেকে কলকাতা—ভেন্যু বদলের সঙ্গে বদলে গেছে কলকাতার প্রতিপক্ষও। এবারের উপলক্ষ্যও ছিল ‘বিশেষ’। ১৪ এপ্রিল ‘বাংলা নববর্ষের’ দিন রিংকু খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। হ্যারি ব্রুকের সেঞ্চুরিতে ২২৮ রানের পাহাড়সম স্কোর করে হায়দরাবাদ। রিংকু ব্যাটিংয়ে আসার পর পাহাড় টপকানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন কলকাতার সমর্থকেরা। শেষ অব্দি ব্যাটিং করেও কলকাতার ‘বাংলা নববর্ষের’ উৎসব রাঙাতে পারেননি তিনি। ৩১ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইডেনে এরপর চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ঝোড়ো ফিফটি করেও কলকাতাকে জেতাতে পারেননি।
এবারের আইপিএলে রিংকু খেলেছেন মিডল অর্ডারে নেমে। ব্যাটিং অর্ডারের এই পজিশনে তিনি যেন ছিলেন ‘নিঃসঙ্গ শেরপা’। ১৪ ম্যাচে ৫৯.২৫ গড় ও ১৪২.১৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪৭৪ রান। চার ও ছক্কা মেরেছেন সমান তালে। টুর্নামেন্টে ৩১ চারের সঙ্গে ছিল ২৯ ছক্কা। কখনো দ্রুত রান তোলায়, কখনো বা কলকাতাকে ‘ঝোড়ো ফিনিশিং’ দিয়েছেন তিনি। ইডেনে চলতি সপ্তাহের শনিবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ইনিংসটার কথাই ধরা যাক। প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর কলকাতার কাছে তা ছিল ‘সান্ত্বনার ম্যাচ।’ শেষ ওভারে ২১ রানের সমীকরণ মিলিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা ১ রানে হেরে যায়। ৩৩ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
রিংকুর জীবনের গল্পটাও এবারের অইপিএলে তাঁর খেলা বেশ কিছু থ্রিলিং ইনিংসের মতো। অভাবের সংসারে ক্রিকেট খেলাটাই একসময় তাঁর কাছে ছিল ‘ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা’র মতো। তবে রিংকু যে হার মানার পাত্র নন, তার প্রমাণই এবার দিলেন। তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে যেন অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠার গল্প ২০২৩ আইপিএলে লিখলেন তিনি।
‘দামে নয়, পারফরম্যান্সেই আসল পরিচয়’—এবারের আইপিএলে রিংকু সিং যেন ছিলেন এমনই। আইপিএলে যেখানে কোটি কোটি টাকা দিয়ে খেলোয়াড় কেনা হয়, লাখ টাকা তো সেখানে নস্যি। ৫৫ লাখ ভারতীয় রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স রিংকুকে নিলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তিনি নজর কেড়েছেন অনেকেরই।
২০১৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল অভিষেক হয় রিংকুর। ৮০ লাখ রূপিতে তাঁকে কিনেছিল। কিন্তু একাদশে সুযোগ পাওয়া ছিল তাঁর কাছে ‘অমাবস্যার চাঁদের’ মতো। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএলে খেলেছেন ১৭ ম্যাচ, যার মধ্যে ২০২১ সালে একাদশে সুযোগই পাননি। এরপর ২০২২ সালে তাঁর ভিত্তিমূল্য কমিয়ে আনা হয় ৫৫ লাখ রুপিতে। গত বছরের মতো একই দামে তাকে ২০২৩ আইপিএলে নেয় কলকাতা। ‘আগামীর তারকা’ হওয়ার গল্প লিখতে যেন এবারের আইপিএলকেই মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন।
রিংকুর ‘সুপারস্টার’ হয়ে ওঠার গল্পের শুরু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম থেকে। ৯ এপ্রিল কলকাতার প্রতিপক্ষ ছিল গুজরাট টাইটান্স। শেষ ওভারে বোলিং করতে আসেন গুজরাটের বাঁহাতি পেসার যশ দয়াল। শেষ পাঁচ বলে তখন কলকাতার সমীকরণ ২৮ রান। দয়ালকে টানা ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে নীতিশ রানার কলকাতাকে এনে দেন রূপকথার এক জয়। ২১ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন। তখনই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় ‘রিংকু বন্দনা’। সুপারস্টার তকমা পেতে শুরু করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আহমেদাবাদ থেকে কলকাতা—ভেন্যু বদলের সঙ্গে বদলে গেছে কলকাতার প্রতিপক্ষও। এবারের উপলক্ষ্যও ছিল ‘বিশেষ’। ১৪ এপ্রিল ‘বাংলা নববর্ষের’ দিন রিংকু খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। হ্যারি ব্রুকের সেঞ্চুরিতে ২২৮ রানের পাহাড়সম স্কোর করে হায়দরাবাদ। রিংকু ব্যাটিংয়ে আসার পর পাহাড় টপকানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন কলকাতার সমর্থকেরা। শেষ অব্দি ব্যাটিং করেও কলকাতার ‘বাংলা নববর্ষের’ উৎসব রাঙাতে পারেননি তিনি। ৩১ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইডেনে এরপর চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ঝোড়ো ফিফটি করেও কলকাতাকে জেতাতে পারেননি।
এবারের আইপিএলে রিংকু খেলেছেন মিডল অর্ডারে নেমে। ব্যাটিং অর্ডারের এই পজিশনে তিনি যেন ছিলেন ‘নিঃসঙ্গ শেরপা’। ১৪ ম্যাচে ৫৯.২৫ গড় ও ১৪২.১৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪৭৪ রান। চার ও ছক্কা মেরেছেন সমান তালে। টুর্নামেন্টে ৩১ চারের সঙ্গে ছিল ২৯ ছক্কা। কখনো দ্রুত রান তোলায়, কখনো বা কলকাতাকে ‘ঝোড়ো ফিনিশিং’ দিয়েছেন তিনি। ইডেনে চলতি সপ্তাহের শনিবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ইনিংসটার কথাই ধরা যাক। প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর কলকাতার কাছে তা ছিল ‘সান্ত্বনার ম্যাচ।’ শেষ ওভারে ২১ রানের সমীকরণ মিলিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা ১ রানে হেরে যায়। ৩৩ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
রিংকুর জীবনের গল্পটাও এবারের অইপিএলে তাঁর খেলা বেশ কিছু থ্রিলিং ইনিংসের মতো। অভাবের সংসারে ক্রিকেট খেলাটাই একসময় তাঁর কাছে ছিল ‘ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা’র মতো। তবে রিংকু যে হার মানার পাত্র নন, তার প্রমাণই এবার দিলেন। তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে যেন অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠার গল্প ২০২৩ আইপিএলে লিখলেন তিনি।
খেলার মাঠে হট্টগোলের ঘটনা খুবই পরিচিত দৃশ্য এখন। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ইউরোর মতো মেজর ইভেন্টে দর্শকদের মধ্যে মারাত্মক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও লেগেছে তার ছোঁয়া। গত রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
২২ মিনিট আগেতানজিম হাসান সাকিব প্রথমবারের মতো বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। ইমরান তাহিরের সুপারিশে তানজিম এবার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স দলে যুক্ত হচ্ছেন। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তানজিমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার তাহিরের নজর কাড়
১ ঘণ্টা আগেআইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো নেই। সময়মতো টুর্নামেন্ট হবে কি? হলে কোথায় হবে? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ টুর্নামেন্টের সূচিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক চাপে আইসিসি।
১ ঘণ্টা আগেসিনেমা, নাটক-কোনো কিছুরই তো কমতি ছিল না আজ আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। দেল চাকো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের রেফারি অ্যান্ডারসন দারাঙ্কোর একের পর এক কাণ্ডে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। রেফারির সঙ্গে এক চোট হয়েই গেছে মেসির। এমনকি আঙুল উঁচিয়ে কথাও বলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার।
২ ঘণ্টা আগে