নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
সিলেট টেস্টে শেষ বিকেলে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দুই সেশনে ৪ উইকেটে তারা স্কোরে জমা করেছিল ১৮৫ রান। তৃতীয় সেশনে ১২৫ রান তুলতে হারিয়ে আরও ৫ উইকেট। প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১০ রান। শেষ দুই ব্যাটার তাইজুল ইসলাম ৮ ও শরীফুল ইসলাম ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
শুরুতে ৪০০ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেই পথে বড় বাধা হয়েছেন কিউই স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। খণ্ডকালীন বোলার হিসেবেই তাঁকে দেখা যায়। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে বল হাতে নিয়েছেন প্রথমবার। পঞ্চম বোলার হিসেবে ইনিংসের ২৩ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ফিলিপস। ১৬ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট।
অথচ দিনের সকালটা কী দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে নিজের প্রত্যাশামতো টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, এই টেস্টে টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্পিন-সহায়ক উইকেটের আভাস মিলেছে গতকালই। তাই উইকেট ভালো থাকা অবস্থায় প্রথম দিনের কয়েকটা সেশন কাজে লাগাতে চেয়েছেন শান্তরা। তবে সেটি আরেকটু ভালো হলেই দিনটা তাঁদের হতো।
দুই ওপেনার জয় ও জাকির হাসান দারুণ শুরু করেছিলেন। নতুন বলে টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনকে সাবলীলভাবেই খেলছিলেন তাঁরা। ৬ ওভার পর্যন্ত পেস বোলাররা যখন কোনো উইকেট এনে দিতে পারেননি,৭ম ওভারেই বোলিং আক্রমণে স্পিনার নিয়ে এলেন সাউদি (এজাজ প্যাটেলকে)। প্যাটেলকে উপমহাদেশে কিউইদের স্পিন স্পেশালিস্টও বলা যায়। ক্যারিয়ারের ১৪ টেস্টের ১২টি খেলেছেন এখানে।
একটু সময় লাগলেও নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন প্যাটেলই। ১৩ তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান জাকিরকে (১২)। ব্যাকফুটে মারতে গিয়ে স্লটের বল বড় এক টার্ন নিয়ে জাকিরের ব্যাট-প্যাডের মাঝ দিয়ে স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দেয়। ৩৯ রানে ভাঙে বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটি।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এজাজ প্যাটেলকে ছক্কা মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৭ রানের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ২টি চারের বাউন্ডারি। সবগুলো বাউন্ডারি পরপর এই স্পিনারের তিন ওভারে মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শান্তর ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছেন!
কিন্তু পাঁচ দিনের ম্যাচ, সময়-সুযোগ সবই ছিল। আগ্রাসী হওয়ার মাঝেও একটু সাবধানী ব্যাটিং করার কথা যেন ভুলেই গেলেন অধিনায়ক শান্ত। কালো ব্লেজার পরে টস করে বাংলাদেশের ১৩ তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখালেন। সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছু কারারও। তবে শান্ত যেভাবে নিজের উইকেট দিয়েছেন, প্রথম সেশনে সেটি ছিল বাংলাদেশের বড় ‘দুঃখ’।
২৫ তম ওভারে ফিলিপসের ফুলটস বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দেন। ৩৫ বলে ৩৭ রানে ফেরেন শান্ত। ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে জয়ের সঙ্গে তাঁর ৫৩ রানের জুটি।
ডারবানে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আজ দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জাগিয়েছিলেন প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। টেস্টের মোহে অবলীলায় খেলছিলেন সফরকারী বোলারদের।
কিন্তু দ্বিতীয় সেশন বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে বিপর্যয়। আউট হয়ে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন জয়। ১৬৬ বলে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। ইনিংসে ছিল ১১টি চারের বাউন্ডারি। দিনের ৫৫ তম ওভারে শেষ হয় দ্বিতীয় সেশন (১৮৫ /৪)। প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও জয় ৫২ তম ওভার পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন।
যখন উইকেট ছাড়া দারুণ একটি সেশনের আশা দেখছিল দল, তখনই ঘটল বিপর্যয়। ৫৩ তম ওভারে ফিলিপসের বলে মুমিনুল (৩৭) ফেরেন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দিয়ে। ভাঙে মুমিনুল-জয়ের ৮৮ রানের জুটি। পরের ওভারে ইশ সোধির বলে স্লিপে ড্যারিল মিচেলকে ক্যাচ দেন জয়।
তৃতীয় সেশনে ব্যাটাররা কেউ আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মুশফিকুর রহিম ১২, মেহেদী হাসান মিরাজ ২০, নুরুল হাসান সোহান ২৯, শাহাদাত হোসেন দিপু ২৪ ও নাইম হাসান ফিরেছেন ১৬ রানে। সকালের মতো বিকেলটা নিজেদের করতে পারলেন না ব্যাটাররা।
সিলেট টেস্টে শেষ বিকেলে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দুই সেশনে ৪ উইকেটে তারা স্কোরে জমা করেছিল ১৮৫ রান। তৃতীয় সেশনে ১২৫ রান তুলতে হারিয়ে আরও ৫ উইকেট। প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১০ রান। শেষ দুই ব্যাটার তাইজুল ইসলাম ৮ ও শরীফুল ইসলাম ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
শুরুতে ৪০০ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেই পথে বড় বাধা হয়েছেন কিউই স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। খণ্ডকালীন বোলার হিসেবেই তাঁকে দেখা যায়। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে বল হাতে নিয়েছেন প্রথমবার। পঞ্চম বোলার হিসেবে ইনিংসের ২৩ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ফিলিপস। ১৬ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট।
অথচ দিনের সকালটা কী দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে নিজের প্রত্যাশামতো টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, এই টেস্টে টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্পিন-সহায়ক উইকেটের আভাস মিলেছে গতকালই। তাই উইকেট ভালো থাকা অবস্থায় প্রথম দিনের কয়েকটা সেশন কাজে লাগাতে চেয়েছেন শান্তরা। তবে সেটি আরেকটু ভালো হলেই দিনটা তাঁদের হতো।
দুই ওপেনার জয় ও জাকির হাসান দারুণ শুরু করেছিলেন। নতুন বলে টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনকে সাবলীলভাবেই খেলছিলেন তাঁরা। ৬ ওভার পর্যন্ত পেস বোলাররা যখন কোনো উইকেট এনে দিতে পারেননি,৭ম ওভারেই বোলিং আক্রমণে স্পিনার নিয়ে এলেন সাউদি (এজাজ প্যাটেলকে)। প্যাটেলকে উপমহাদেশে কিউইদের স্পিন স্পেশালিস্টও বলা যায়। ক্যারিয়ারের ১৪ টেস্টের ১২টি খেলেছেন এখানে।
একটু সময় লাগলেও নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন প্যাটেলই। ১৩ তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান জাকিরকে (১২)। ব্যাকফুটে মারতে গিয়ে স্লটের বল বড় এক টার্ন নিয়ে জাকিরের ব্যাট-প্যাডের মাঝ দিয়ে স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দেয়। ৩৯ রানে ভাঙে বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটি।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এজাজ প্যাটেলকে ছক্কা মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৭ রানের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ২টি চারের বাউন্ডারি। সবগুলো বাউন্ডারি পরপর এই স্পিনারের তিন ওভারে মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শান্তর ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছেন!
কিন্তু পাঁচ দিনের ম্যাচ, সময়-সুযোগ সবই ছিল। আগ্রাসী হওয়ার মাঝেও একটু সাবধানী ব্যাটিং করার কথা যেন ভুলেই গেলেন অধিনায়ক শান্ত। কালো ব্লেজার পরে টস করে বাংলাদেশের ১৩ তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখালেন। সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছু কারারও। তবে শান্ত যেভাবে নিজের উইকেট দিয়েছেন, প্রথম সেশনে সেটি ছিল বাংলাদেশের বড় ‘দুঃখ’।
২৫ তম ওভারে ফিলিপসের ফুলটস বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দেন। ৩৫ বলে ৩৭ রানে ফেরেন শান্ত। ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে জয়ের সঙ্গে তাঁর ৫৩ রানের জুটি।
ডারবানে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আজ দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জাগিয়েছিলেন প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। টেস্টের মোহে অবলীলায় খেলছিলেন সফরকারী বোলারদের।
কিন্তু দ্বিতীয় সেশন বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে বিপর্যয়। আউট হয়ে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন জয়। ১৬৬ বলে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। ইনিংসে ছিল ১১টি চারের বাউন্ডারি। দিনের ৫৫ তম ওভারে শেষ হয় দ্বিতীয় সেশন (১৮৫ /৪)। প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও জয় ৫২ তম ওভার পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন।
যখন উইকেট ছাড়া দারুণ একটি সেশনের আশা দেখছিল দল, তখনই ঘটল বিপর্যয়। ৫৩ তম ওভারে ফিলিপসের বলে মুমিনুল (৩৭) ফেরেন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দিয়ে। ভাঙে মুমিনুল-জয়ের ৮৮ রানের জুটি। পরের ওভারে ইশ সোধির বলে স্লিপে ড্যারিল মিচেলকে ক্যাচ দেন জয়।
তৃতীয় সেশনে ব্যাটাররা কেউ আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মুশফিকুর রহিম ১২, মেহেদী হাসান মিরাজ ২০, নুরুল হাসান সোহান ২৯, শাহাদাত হোসেন দিপু ২৪ ও নাইম হাসান ফিরেছেন ১৬ রানে। সকালের মতো বিকেলটা নিজেদের করতে পারলেন না ব্যাটাররা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৩২ মিনিট আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
১ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৩ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
৪ ঘণ্টা আগে