নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সালাউদ্দিন শাকিলের গল্পটা রূপকথার মতোই। ১২ বছর আগেও ছিলেন নির্মাণশ্রমিক। পরিবারের ভাগ্য ফেরাতে আরব আমিরাতে স্টিলের কাজ করতেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০১০ সালে দেশে ফিরে শুরু করেন ক্রিকেট। তিন বছর আগে হয়ে যায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকও। বাঁহাতি পেসারের এই গল্পটা অবশ্য পুরোনো হলেও নতুন করে আবার সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন দুর্দান্ত বোলিং করে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আজ বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আগুন ঝরিয়েছেন শাকিল। ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তাসামুল হকের দলকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডির ৩১ বছর বয়সী এই পেসার। শাকিলের এমন বোলিংয়ে আগে ব্যাটিং করে ১০৪ রানে শেষ হয়ে যাওয়া পারটেক্স হেরেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানেই।
ষষ্ঠ ওভারে শাকিলকে বোলিংয়ে আনেন শেখ জামাল ধানমন্ডির অধিনায়ক নুরুল হাসান। প্রথম বলেই ডিপিএলে ব্যাটে–বলে দারুণ খেলা পারটেক্স অধিনায়ক তাসামুল হককে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন বাঁহাতি পেসার। ওই ওভারে দেন মাত্র ১ রান। অষ্টম ওভারে এসে ফেরান আব্বাস মুসাকে। তৃতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসেন ১৫ তম ওভারে। ওই ওভারেও উইকেটের দেখা পান এই বাঁহাতি পেসার। তাঁর বলে ধীমান ঘোষ ক্যাচ তুলে দেন এনামুল হকের হাতে। পারটেক্সের ইনিংসের শেষে ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ফেরান জুবায়ের হোসেন ও শাহাদাতকে। শাকিলের সব উইকেটেই এসেছে ক্যাচে। এর মধ্যে জুবায়েরেরটা ছিল ফিরতি ক্যাচ।
পারটেক্স অলআউট হয়ে যাওয়ায় পুরো ৪ ওভারের কোটা শেষ করতে পারেননি শাকিল। ৩.৩ ওভারে ১৬ রানে নিয়েছেন ৫। শুধু নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংটাই করেননি, এই ডিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় দুই নম্বরেও উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর সামনে শুধু ১৩ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজুর রহমান।
১০৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই সৈকত আলীকে (৪) হারালেও জয় তুলে নিতে কষ্ট হয়নি ধানমন্ডির। ডিপিএলে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দারুণ করা ইলিয়াস সানি (২৪ বলে ২৭ রান) দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। তাঁর আগে অধিনায়ক নুরুল করেছেন ৩২ বলে ৩০ রানের ইনিংস।
যে শাকিল দ্যুতি ছড়ালেন, তাঁর তো ক্রিকেটার হওয়ারই কথা ছিল না! ২০০৬ সালে ছিলেন এএসসি পরীক্ষার্থী মুন্সিগঞ্জে বেড়ে ওঠা শাকিলের। পরীক্ষাটা আর দেওয়া হয়নি। ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্নে পাড়ি দেন আরব আমিরাতে। মরুর দেশে আর দশজন প্রবাসী শ্রমিকের মতোই ছিল তাঁর কষ্টের জীবন। শাকিল প্রতারণারও শিকার হয়েছিলেন দুবাইয়ে কাজ করতে গিয়ে। সেই কষ্টের জীবনটা মনে করে একবার বলছিলেন, ‘ওই জীবন থেকে মুক্তি পেতে সব সময় আল্লাহকে ডাকতাম।’
শাকিলের সেই জীবন থেকে মুক্তি মিলেছে ২০১০ সালে। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। ২০১২ সালে পা রাখেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৮ সালে অভিষেক লিস্ট ‘এ’, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। আর টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। দুই বছরের মধ্যে টি–টোয়েন্টির সেরা বোলিংটাও আজ করে ফেললেন। কোনো একদিন শাকিলের জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটাও যদি পূরণ হয়ে যায়, নিশ্চয়ই ভাববেন, ভাগ্যিস ভিসার মেয়াদটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। না হলে মরুভূমিতেই হারিয়ে যেতে তাঁর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা!
ঢাকা: সালাউদ্দিন শাকিলের গল্পটা রূপকথার মতোই। ১২ বছর আগেও ছিলেন নির্মাণশ্রমিক। পরিবারের ভাগ্য ফেরাতে আরব আমিরাতে স্টিলের কাজ করতেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০১০ সালে দেশে ফিরে শুরু করেন ক্রিকেট। তিন বছর আগে হয়ে যায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকও। বাঁহাতি পেসারের এই গল্পটা অবশ্য পুরোনো হলেও নতুন করে আবার সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন দুর্দান্ত বোলিং করে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আজ বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আগুন ঝরিয়েছেন শাকিল। ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তাসামুল হকের দলকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডির ৩১ বছর বয়সী এই পেসার। শাকিলের এমন বোলিংয়ে আগে ব্যাটিং করে ১০৪ রানে শেষ হয়ে যাওয়া পারটেক্স হেরেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানেই।
ষষ্ঠ ওভারে শাকিলকে বোলিংয়ে আনেন শেখ জামাল ধানমন্ডির অধিনায়ক নুরুল হাসান। প্রথম বলেই ডিপিএলে ব্যাটে–বলে দারুণ খেলা পারটেক্স অধিনায়ক তাসামুল হককে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন বাঁহাতি পেসার। ওই ওভারে দেন মাত্র ১ রান। অষ্টম ওভারে এসে ফেরান আব্বাস মুসাকে। তৃতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসেন ১৫ তম ওভারে। ওই ওভারেও উইকেটের দেখা পান এই বাঁহাতি পেসার। তাঁর বলে ধীমান ঘোষ ক্যাচ তুলে দেন এনামুল হকের হাতে। পারটেক্সের ইনিংসের শেষে ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ফেরান জুবায়ের হোসেন ও শাহাদাতকে। শাকিলের সব উইকেটেই এসেছে ক্যাচে। এর মধ্যে জুবায়েরেরটা ছিল ফিরতি ক্যাচ।
পারটেক্স অলআউট হয়ে যাওয়ায় পুরো ৪ ওভারের কোটা শেষ করতে পারেননি শাকিল। ৩.৩ ওভারে ১৬ রানে নিয়েছেন ৫। শুধু নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংটাই করেননি, এই ডিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় দুই নম্বরেও উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর সামনে শুধু ১৩ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজুর রহমান।
১০৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই সৈকত আলীকে (৪) হারালেও জয় তুলে নিতে কষ্ট হয়নি ধানমন্ডির। ডিপিএলে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দারুণ করা ইলিয়াস সানি (২৪ বলে ২৭ রান) দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। তাঁর আগে অধিনায়ক নুরুল করেছেন ৩২ বলে ৩০ রানের ইনিংস।
যে শাকিল দ্যুতি ছড়ালেন, তাঁর তো ক্রিকেটার হওয়ারই কথা ছিল না! ২০০৬ সালে ছিলেন এএসসি পরীক্ষার্থী মুন্সিগঞ্জে বেড়ে ওঠা শাকিলের। পরীক্ষাটা আর দেওয়া হয়নি। ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্নে পাড়ি দেন আরব আমিরাতে। মরুর দেশে আর দশজন প্রবাসী শ্রমিকের মতোই ছিল তাঁর কষ্টের জীবন। শাকিল প্রতারণারও শিকার হয়েছিলেন দুবাইয়ে কাজ করতে গিয়ে। সেই কষ্টের জীবনটা মনে করে একবার বলছিলেন, ‘ওই জীবন থেকে মুক্তি পেতে সব সময় আল্লাহকে ডাকতাম।’
শাকিলের সেই জীবন থেকে মুক্তি মিলেছে ২০১০ সালে। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। ২০১২ সালে পা রাখেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৮ সালে অভিষেক লিস্ট ‘এ’, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। আর টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। দুই বছরের মধ্যে টি–টোয়েন্টির সেরা বোলিংটাও আজ করে ফেললেন। কোনো একদিন শাকিলের জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটাও যদি পূরণ হয়ে যায়, নিশ্চয়ই ভাববেন, ভাগ্যিস ভিসার মেয়াদটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। না হলে মরুভূমিতেই হারিয়ে যেতে তাঁর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৫ ঘণ্টা আগে