ক্রীড়া ডেস্ক
দেশের মাঠে সাকিব আল হাসানের বিদায় নেওয়া হচ্ছে না। টেস্ট দলে তাঁকে রেখে যদিও দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি ৷ পরে ক্রীড়া উপদেষ্টার পরামর্শে তাঁকে দেশে ফিরতে মানা করা হয়। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকার সঙ্গে যা হলো, মানতে পারছেন না সাকিবের গুরু মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
মিরপুর শেরেবাংলায় ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছার কথা সাকিব আগেই জানিয়েছেন। সেই হোম অব ক্রিকেটের দেয়ালে সাকিবের বিরুদ্ধে দেয়াললিখন চলছে কদিন ধরে। পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়া এবং পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নীরব থাকায় সাকিবের ওপর তাঁর বিরোধীরা রাগ-ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সাকিবকে মিরপুর টেস্টের দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে। গত কদিনে সাকিবকে নিয়ে যা হলো, তাতে হতাশ দেশের অন্যতম সেরা কোচ সালাহ উদ্দিন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি আজ লিখেছেন, ‘দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি কখনোই এত রাগ বা কষ্ট লাগে নাই। আজ কেন যেন লাগছে। আমরা মানুষ কি কখনো নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত ৷ কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে। দয়া-মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্য থেকে উঠে গেছে!’
এরপর জাতির প্রতি সালাহ উদ্দিনের প্রশ্ন, ‘আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য? তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না। এই কান্না তো সবাই দেখবে না। রাজনীতি করেছে বলে এরা খুনি? এদের সঙ্গে মিশেছেন, এরা কত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করিয়েছে, সেটা কি জানেন? তারা স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু!’
সালাহ উদ্দিন আরও লিখেছেন, ‘দেশকে সবাই কম-বেশি ভালোবাসে ৷ এদের ভালোবাসাটা হয়তো দেখা যায়ও না। এদের কাছ থেকে দেখেছি। এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারও ক্ষতি করেনি। এরা খুনি না। খুব কষ্ট পাচ্ছি, এদের মাঠ থেকে বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে মাফ করুন। আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন। আমরা সবাই কমবেশি অপরাধী। সম্মান কাউকে দিলে আপনিও সম্মানিত হবেন।’
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে সাকিব ছিলেন নীরব ৷ রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তাঁকে নীরব থাকতে হয়েছে বলে জানা গেছে। তখন কানাডায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি ভক্তের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন। এমনকি টরন্টোতে সাকিবের ঘোরাঘুরির ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল তখন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সাকিব নীরবতা ভেঙেছেন ৯ অক্টোবর। আবেগঘন এক পোস্টে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ৷ দেশের মাঠে সতীর্থদের সঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানার আকুল আরজি জানিয়েছেন সেই পোস্টে। অতঃপর তাঁর এ চাওয়াটা পূরণ হতে হতেও হলো না।
সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্কটা গুরু-শিষ্যের মতো। স্কিলে কোনো সমস্যা থাকলে সাকিব প্রায়ই শরণ নেন গুরু সালাহ উদ্দিনের। শিষ্যকে নিয়ে এমন ঘটনা তাই মেনে নিতে পারছেন না সালাহ উদ্দিন, ‘একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে। আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য। তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না।’
আরও পড়ুন:
দেশের মাঠে সাকিব আল হাসানের বিদায় নেওয়া হচ্ছে না। টেস্ট দলে তাঁকে রেখে যদিও দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি ৷ পরে ক্রীড়া উপদেষ্টার পরামর্শে তাঁকে দেশে ফিরতে মানা করা হয়। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকার সঙ্গে যা হলো, মানতে পারছেন না সাকিবের গুরু মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
মিরপুর শেরেবাংলায় ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছার কথা সাকিব আগেই জানিয়েছেন। সেই হোম অব ক্রিকেটের দেয়ালে সাকিবের বিরুদ্ধে দেয়াললিখন চলছে কদিন ধরে। পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়া এবং পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নীরব থাকায় সাকিবের ওপর তাঁর বিরোধীরা রাগ-ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সাকিবকে মিরপুর টেস্টের দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে। গত কদিনে সাকিবকে নিয়ে যা হলো, তাতে হতাশ দেশের অন্যতম সেরা কোচ সালাহ উদ্দিন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি আজ লিখেছেন, ‘দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি কখনোই এত রাগ বা কষ্ট লাগে নাই। আজ কেন যেন লাগছে। আমরা মানুষ কি কখনো নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত ৷ কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে। দয়া-মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্য থেকে উঠে গেছে!’
এরপর জাতির প্রতি সালাহ উদ্দিনের প্রশ্ন, ‘আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য? তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না। এই কান্না তো সবাই দেখবে না। রাজনীতি করেছে বলে এরা খুনি? এদের সঙ্গে মিশেছেন, এরা কত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করিয়েছে, সেটা কি জানেন? তারা স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু!’
সালাহ উদ্দিন আরও লিখেছেন, ‘দেশকে সবাই কম-বেশি ভালোবাসে ৷ এদের ভালোবাসাটা হয়তো দেখা যায়ও না। এদের কাছ থেকে দেখেছি। এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারও ক্ষতি করেনি। এরা খুনি না। খুব কষ্ট পাচ্ছি, এদের মাঠ থেকে বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে মাফ করুন। আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন। আমরা সবাই কমবেশি অপরাধী। সম্মান কাউকে দিলে আপনিও সম্মানিত হবেন।’
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে সাকিব ছিলেন নীরব ৷ রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তাঁকে নীরব থাকতে হয়েছে বলে জানা গেছে। তখন কানাডায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি ভক্তের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন। এমনকি টরন্টোতে সাকিবের ঘোরাঘুরির ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল তখন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সাকিব নীরবতা ভেঙেছেন ৯ অক্টোবর। আবেগঘন এক পোস্টে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ৷ দেশের মাঠে সতীর্থদের সঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানার আকুল আরজি জানিয়েছেন সেই পোস্টে। অতঃপর তাঁর এ চাওয়াটা পূরণ হতে হতেও হলো না।
সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্কটা গুরু-শিষ্যের মতো। স্কিলে কোনো সমস্যা থাকলে সাকিব প্রায়ই শরণ নেন গুরু সালাহ উদ্দিনের। শিষ্যকে নিয়ে এমন ঘটনা তাই মেনে নিতে পারছেন না সালাহ উদ্দিন, ‘একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে। আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য। তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না।’
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন সাকিব আল হাসান। বিদেশ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তৌহিদ হৃদয়দেরও। এবার এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন উদীয়মান পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
১৩ মিনিট আগেআইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো নেই। সময়মতো টুর্নামেন্ট হবে কি? হলে কোথায় হবে? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ টুর্নামেন্টের সূচিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক চাপে আইসিসি।
৩৫ মিনিট আগেসিনেমা, নাটক-কোনো কিছুরই তো কমতি ছিল না আজ আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। দেল চাকো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের রেফারি অ্যান্ডারসন দারাঙ্কোর একের পর এক কাণ্ডে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। রেফারির সঙ্গে এক চোট হয়েই গেছে মেসির। এমনকি আঙুল উঁচিয়ে কথাও বলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার।
১ ঘণ্টা আগেভুলে যাওয়ার মতো একটি দিনই কাটিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাও বাজে দিনটা এল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের সময়ই। তাঁর সুযোগ মিসের মহড়ার দিনে ব্রাজিল পারল না জিততে। হতাশা ঝরেছে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের কণ্ঠে।
২ ঘণ্টা আগে