ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগে ফেবারিটের তকমা দেওয়া হয়েছিল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে। কিন্তু ঢাকা পর্ব শেষে মিনিস্টার ঢাকায় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে শুরু করবে চট্টগ্রাম পর্ব। অন্যদিকে ঢাকা পর্বে দুর্দান্ত খেলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পয়েন্ট তালিকার ১ ও ২ নম্বরে থেকে তারা চট্টগ্রামে গেছে।
এবারের বিপিএলে তারুণ্যনির্ভর দল চট্টগ্রাম। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ঢাকা পর্বে চমক দেখিয়েছে দলটি। তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে আছে চট্টগ্রাম। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরাজ। তরুণদের মধ্যে নাসুম, শরীফুল ইসলামরাও উজ্জ্বল। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার ২ ও ৩ আছেন মিরাজ আর শরীফুল। দলে বিদেশি তারকা বেনি হাওয়েলও আলো ছড়াচ্ছেন। ঢাকা পর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার ২-এ আছেন হাওয়েল।
চট্টগ্রাম দলের দেশি-বিদেশি সবাই যখন ভালো করছেন, ঠিক এর উল্টো ছবি ঢাকার। অভিজ্ঞ আর তারকায় ঠাসা এই দল সবচেয়ে হতাশ করেছে ঢাকা পর্বে। প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে একমাত্র জেতা ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ৪৭ রানের ইনিংসটি ম্যাচ জয়ে অবদান রাখলে বাকি ম্যাচে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য কাজে আসেনি। প্রথম দুই ম্যাচে তামিম ইকবালের টানা দুটি হাফ সেঞ্চুরি তাই দিন শেষে শুধুই ব্যক্তিগত অর্জন।
ঢাকার আরেক বড় তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটের কারণে খেলতে পারেননি প্রথম তিন ম্যাচে। চতুর্থ ম্যাচে মাশরাফি ফিরে দুর্দান্ত বোলিং করেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে তাঁরা গুটিয়ে গেছেন ১০০ রানে। শুধু ব্যাটিং ব্যর্থতা নয়, ফিল্ডিং বিভাগেও ভালো করতে পারছে না দলটি। তামিম নিজেই ছেড়েছেন দুটি ক্যাচ। এদিকে বিদেশিদের মধ্যে ঢাকার অন্যতম ভরসা আন্দ্রে রাসেল। দীর্ঘদেহী এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি।
দল | ম্যাচ | জয় | হার | পয়েন্ট |
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস | ২ | ২ | ০ | ৪ |
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স | ৩ | ২ | ১ | ৪ |
ফরচুন বরিশাল | ৩ | ১ | ২ | ২ |
খুলনা টাইগার্স | ২ | ১ | ১ | ২ |
সিলেট সানরাইজার্স | ২ | ১ | ১ | ২ |
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা | ৪ | ১ | ৩ | ২ |
তারকাসমৃদ্ধ ঢাকা একটা দল হয়ে খেলতে পারছে না। কোয়ালিফাই করতে বাকি ম্যাচগুলোর বেশির ভাগের ফল নিজেদের দিকে আনতে হবে ঢাকাকে। কাজটা কঠিন হলেও তামিম শোনালেন আশার কথা, ‘আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চার ম্যাচে এক জয়। বাকি ছয় ম্যাচে বেশির ভাগই জিততে হবে, কোয়ালিফাই করতে হয়তো চারটি জিততে হবে। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। দল হিসেবে আমরা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। দলে দারুণ কিছু খেলোয়াড়ও আছে। কিন্তু দল হিসেবে আমরা খেলতে পারছি না।’
ঢাকা পর্বে সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস । দুটি ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে ইমরুল কায়েসের দল। প্রথম ম্যাচে বোলাররাই জিতিয়েছিলেন কুমিল্লাকে। অভিজ্ঞ মোস্তাফিজকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন শহীদুল-নাহিদুলরা। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও নাহিদুল নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া নাহিদুল এখন পর্যন্ত কুমিল্লার দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে এরই মধ্যে নজর কেড়েছেন।
নাহিদুলের বোলিংয়ে মুগ্ধ সাকিব আল হাসানও। কুমিল্লার কাছে গতকাল হেরে পয়েন্ট তালিকার তিনে আছে ফরচুন বরিশাল। ম্যাচ শেষে বরিশালের অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘তিন ম্যাচ খেলেছি, একটিতেও পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রান করতে পারিনি। আজও (গতকাল) এই রান তাড়া করা যেত। নাহিদুলকে কৃতিত্ব দিতে হয়। সে ভালো জায়গায় বল করেছে। ব্যাটাররা যখনই বড় শট খেলতে গেছে, তখনই ধরা পড়েছে।’ এই ম্যাচে ভালো করেছেন কুমিল্লার আরেক তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়ও। নিজের প্রথম ম্যাচেই জয় খেলেছেন ৩৫ বলে ৪৮ রানের এক ইনিংস।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগে ফেবারিটের তকমা দেওয়া হয়েছিল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে। কিন্তু ঢাকা পর্ব শেষে মিনিস্টার ঢাকায় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে শুরু করবে চট্টগ্রাম পর্ব। অন্যদিকে ঢাকা পর্বে দুর্দান্ত খেলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পয়েন্ট তালিকার ১ ও ২ নম্বরে থেকে তারা চট্টগ্রামে গেছে।
এবারের বিপিএলে তারুণ্যনির্ভর দল চট্টগ্রাম। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ঢাকা পর্বে চমক দেখিয়েছে দলটি। তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে আছে চট্টগ্রাম। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরাজ। তরুণদের মধ্যে নাসুম, শরীফুল ইসলামরাও উজ্জ্বল। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার ২ ও ৩ আছেন মিরাজ আর শরীফুল। দলে বিদেশি তারকা বেনি হাওয়েলও আলো ছড়াচ্ছেন। ঢাকা পর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার ২-এ আছেন হাওয়েল।
চট্টগ্রাম দলের দেশি-বিদেশি সবাই যখন ভালো করছেন, ঠিক এর উল্টো ছবি ঢাকার। অভিজ্ঞ আর তারকায় ঠাসা এই দল সবচেয়ে হতাশ করেছে ঢাকা পর্বে। প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে একমাত্র জেতা ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ৪৭ রানের ইনিংসটি ম্যাচ জয়ে অবদান রাখলে বাকি ম্যাচে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য কাজে আসেনি। প্রথম দুই ম্যাচে তামিম ইকবালের টানা দুটি হাফ সেঞ্চুরি তাই দিন শেষে শুধুই ব্যক্তিগত অর্জন।
ঢাকার আরেক বড় তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটের কারণে খেলতে পারেননি প্রথম তিন ম্যাচে। চতুর্থ ম্যাচে মাশরাফি ফিরে দুর্দান্ত বোলিং করেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে তাঁরা গুটিয়ে গেছেন ১০০ রানে। শুধু ব্যাটিং ব্যর্থতা নয়, ফিল্ডিং বিভাগেও ভালো করতে পারছে না দলটি। তামিম নিজেই ছেড়েছেন দুটি ক্যাচ। এদিকে বিদেশিদের মধ্যে ঢাকার অন্যতম ভরসা আন্দ্রে রাসেল। দীর্ঘদেহী এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি।
দল | ম্যাচ | জয় | হার | পয়েন্ট |
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস | ২ | ২ | ০ | ৪ |
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স | ৩ | ২ | ১ | ৪ |
ফরচুন বরিশাল | ৩ | ১ | ২ | ২ |
খুলনা টাইগার্স | ২ | ১ | ১ | ২ |
সিলেট সানরাইজার্স | ২ | ১ | ১ | ২ |
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা | ৪ | ১ | ৩ | ২ |
তারকাসমৃদ্ধ ঢাকা একটা দল হয়ে খেলতে পারছে না। কোয়ালিফাই করতে বাকি ম্যাচগুলোর বেশির ভাগের ফল নিজেদের দিকে আনতে হবে ঢাকাকে। কাজটা কঠিন হলেও তামিম শোনালেন আশার কথা, ‘আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চার ম্যাচে এক জয়। বাকি ছয় ম্যাচে বেশির ভাগই জিততে হবে, কোয়ালিফাই করতে হয়তো চারটি জিততে হবে। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। দল হিসেবে আমরা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। দলে দারুণ কিছু খেলোয়াড়ও আছে। কিন্তু দল হিসেবে আমরা খেলতে পারছি না।’
ঢাকা পর্বে সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস । দুটি ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে ইমরুল কায়েসের দল। প্রথম ম্যাচে বোলাররাই জিতিয়েছিলেন কুমিল্লাকে। অভিজ্ঞ মোস্তাফিজকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন শহীদুল-নাহিদুলরা। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও নাহিদুল নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া নাহিদুল এখন পর্যন্ত কুমিল্লার দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে এরই মধ্যে নজর কেড়েছেন।
নাহিদুলের বোলিংয়ে মুগ্ধ সাকিব আল হাসানও। কুমিল্লার কাছে গতকাল হেরে পয়েন্ট তালিকার তিনে আছে ফরচুন বরিশাল। ম্যাচ শেষে বরিশালের অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘তিন ম্যাচ খেলেছি, একটিতেও পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রান করতে পারিনি। আজও (গতকাল) এই রান তাড়া করা যেত। নাহিদুলকে কৃতিত্ব দিতে হয়। সে ভালো জায়গায় বল করেছে। ব্যাটাররা যখনই বড় শট খেলতে গেছে, তখনই ধরা পড়েছে।’ এই ম্যাচে ভালো করেছেন কুমিল্লার আরেক তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়ও। নিজের প্রথম ম্যাচেই জয় খেলেছেন ৩৫ বলে ৪৮ রানের এক ইনিংস।
দ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
২০ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগে