নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ, মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) চেয়ারম্যান হয়েছেন। এখন সবচেয়ে কম বয়সী আইসিসি প্রধানও তিনি। জয় শাহর আইসিসির প্রধান হওয়ায় বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের দাপট কি আরও বাড়বে, সে প্রশ্ন আপনা–আপনি এসে যাচ্ছে।
বাবা অমিত শাহ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রভাবশালী নেতা ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছেলে জয় শাহ ২০ বছর বয়সেই ক্রিকেট প্রশাসনে এসেছেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আলাদা নেশা রয়েছে। বাবার পরিচয়, নিজের প্যাশন—ক্রিকেট সংগঠক, প্রশাসক হিসেবে তাঁর কাজ করাটা তাই কঠিন কোনো কাজ ছিল না। তবে দক্ষতাই যদি না থাকে, শুধু ক্ষমতা দিয়ে সফল হওয়া যায়, এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে। জয়ের নিশ্চয়ই এমন কিছু দক্ষতা ছিল, সেটির সঙ্গে অমিত-ক্ষমতার মিশ্রণ ঘটিয়ে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিংহাসনে বসেছেন।
ক্রিকেট প্রশাসনে জয় শাহের যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে, জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ড আহমেদাবাদে (সিবিসিএ) কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে উন্নীত হতে থাকে তাঁর অবস্থানও। এরপর গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (জিসিএ) কাজ শুরু করেন এবং ২০১৩ সালে সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক হন। এরপর জয় শাহ পৌঁছান জাতীয় পর্যায়ে। ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২১ সাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জয় শাহ। ২০২২ সালে জয় শাহ আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদ আর্থিক ও বাণিজ্যিক কমিটির প্রধান হন। আর এবার হলেন আইসিসির সভাপতি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তাঁর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব। তাঁর আগে ভারত থেকে জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার, এন শ্রিনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর আইসিসির সভাপতি হয়েছেন।
আইসিসির আয়ের সবচেয়ে উৎস ও বাজার হচ্ছে ১৫০ কোটি মানুষের ভারত। আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সব বড় রাজস্ব আসে ভারত থেকে। আর এভাবেই গত দুই দশকে আইসিসিতে সবচেয়ে বেশি দাপট প্রতিষ্ঠা করেছে ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড হওয়ায় ভারতই ‘তিন মোড়লে’র তত্ত্ব সামনে আনে। পরে সেটি বাতিল হলেও আইসিসির বর্তমান আর্থিক মডেলে ভারতের দাপটই বেশি। আইসিসির আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ উৎস ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আইসিসির বার্ষিক আয় বণ্টনেও ভারতের অগ্রাধিকার। আইসিসি আয়ের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ভাগ দেয় ভারতকে। সব ক্রিকেট বোর্ডের এখন বড় আশা নিয়ে থাকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে। ভারতের সঙ্গে খেললেই যে কোষাগার ফুলে ওঠার নিশ্চয়তা।
বিভিন্ন দেশের আয়ের ওপর রাজস্ব বণ্টননীতি চালু থেকেই ভারতের দাপট বেড়েছে আইসিসিতে। আর সে কারণেই ভারতের পছন্দ অনুযায়ী ভেন্যু ও সূচি অনুযায়ী খেলা হয় আইসিসি কিংবা এসিসির বড় টুর্নামেন্টে। গত বছর জটিল হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হয়েছে শুধুই ভারতের চাওয়া মেনে। পাকিস্তানে হতে যাওয়া ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। বড় টুর্নামেন্টের সূচিও এমনভাবে সাজানো হয়, যেখানে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ থাকবেই। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা যাবে, ভারতকে সবচেয়ে কম ভ্রমণ ধকল সইতে হয়েছে। আরব আমিরাতে হওয়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২২ এশিয়া কাপে ভারতকে দুবাইয়ের বাইরে খেলতেই হয়নি। ভারতীয় দলের প্রতি আয়োজক দেশগুলোর বাড়তি নজরও রাখতে হয়—হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্টে যেন পান থেকে চুন খসলেই সর্বনাশ!
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখন বেশির ভাগ টুর্নামেন্টেই গ্রুপ বা লিগ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচটি থাকে ভারতের, তাদের জটিল সমীকরণ মেলাতে কাজে দিতে পারে বলেই এমন ব্যবস্থা। ২০১৯ বিশ্বকাপের লিগ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০২৩ বিশ্বকাপের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস আর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল কানাডা। এগুলো সবই ছোট ছোট উদাহরণ মাত্র।
শুধুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভারতের দাপট প্রমাণ করতে শুধুই আইপিএল যথেষ্ট। বিসিসিআই সাধারণত ভারতীয় খেলোয়াড়দের বাইরের টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার অনুমতি দেয় না। তবে তাদের আইপিএল খেলতে বিশ্বের বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আর গ্ল্যামারে আইপিএল এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের সূচির সঙ্গে আইসিসিকেও মানিয়ে নিতে হয়। আইপিএলের সময় আইসিসির কোনো ইভেন্ট তো দূরে থাক, আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে সদস্য দেশগুলোর। কারণ, বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও এ সময়ে সিরিজ খেলতে তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই নামতে হয়। দিনে দিনে আইপিএলের দলের সংখ্যা বাড়ায় টুর্নামেন্টের সময়সীমাও বেড়েছে। আগে আইপিএল শেষ হয়েছে দেড় মাসের মধ্যে। আর এখন হয় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। মার্চ, এপ্রিল ও মে—এই তিন মাসের উইন্ডো এখন আইপিএলের জন্য ‘খালি’ রাখতে হয় বেশির ভাগ ক্রিকেট বোর্ডকে।
আইসিসিতে ‘ভারতের স্বার্থ আগে, তারপর বাকি সবকিছু’—এ অভিযোগ গত এক দশকে এত বেশি উঠেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইসিসিকে অনেকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলেও ব্যঙ্গ করে থাকেন! জয় শাহ আইসিসির প্রধান হওয়ার পর ভারতের দাপট কোনোভাবেই কমার কথা নয়, বরং সেটি কত বাড়বে, সেটিই কৌতূহলী চোখে দেখতে চাইছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ, মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) চেয়ারম্যান হয়েছেন। এখন সবচেয়ে কম বয়সী আইসিসি প্রধানও তিনি। জয় শাহর আইসিসির প্রধান হওয়ায় বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের দাপট কি আরও বাড়বে, সে প্রশ্ন আপনা–আপনি এসে যাচ্ছে।
বাবা অমিত শাহ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রভাবশালী নেতা ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছেলে জয় শাহ ২০ বছর বয়সেই ক্রিকেট প্রশাসনে এসেছেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আলাদা নেশা রয়েছে। বাবার পরিচয়, নিজের প্যাশন—ক্রিকেট সংগঠক, প্রশাসক হিসেবে তাঁর কাজ করাটা তাই কঠিন কোনো কাজ ছিল না। তবে দক্ষতাই যদি না থাকে, শুধু ক্ষমতা দিয়ে সফল হওয়া যায়, এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে। জয়ের নিশ্চয়ই এমন কিছু দক্ষতা ছিল, সেটির সঙ্গে অমিত-ক্ষমতার মিশ্রণ ঘটিয়ে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিংহাসনে বসেছেন।
ক্রিকেট প্রশাসনে জয় শাহের যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে, জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ড আহমেদাবাদে (সিবিসিএ) কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে উন্নীত হতে থাকে তাঁর অবস্থানও। এরপর গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (জিসিএ) কাজ শুরু করেন এবং ২০১৩ সালে সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক হন। এরপর জয় শাহ পৌঁছান জাতীয় পর্যায়ে। ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২১ সাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জয় শাহ। ২০২২ সালে জয় শাহ আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদ আর্থিক ও বাণিজ্যিক কমিটির প্রধান হন। আর এবার হলেন আইসিসির সভাপতি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তাঁর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব। তাঁর আগে ভারত থেকে জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার, এন শ্রিনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর আইসিসির সভাপতি হয়েছেন।
আইসিসির আয়ের সবচেয়ে উৎস ও বাজার হচ্ছে ১৫০ কোটি মানুষের ভারত। আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সব বড় রাজস্ব আসে ভারত থেকে। আর এভাবেই গত দুই দশকে আইসিসিতে সবচেয়ে বেশি দাপট প্রতিষ্ঠা করেছে ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড হওয়ায় ভারতই ‘তিন মোড়লে’র তত্ত্ব সামনে আনে। পরে সেটি বাতিল হলেও আইসিসির বর্তমান আর্থিক মডেলে ভারতের দাপটই বেশি। আইসিসির আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ উৎস ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আইসিসির বার্ষিক আয় বণ্টনেও ভারতের অগ্রাধিকার। আইসিসি আয়ের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ভাগ দেয় ভারতকে। সব ক্রিকেট বোর্ডের এখন বড় আশা নিয়ে থাকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে। ভারতের সঙ্গে খেললেই যে কোষাগার ফুলে ওঠার নিশ্চয়তা।
বিভিন্ন দেশের আয়ের ওপর রাজস্ব বণ্টননীতি চালু থেকেই ভারতের দাপট বেড়েছে আইসিসিতে। আর সে কারণেই ভারতের পছন্দ অনুযায়ী ভেন্যু ও সূচি অনুযায়ী খেলা হয় আইসিসি কিংবা এসিসির বড় টুর্নামেন্টে। গত বছর জটিল হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হয়েছে শুধুই ভারতের চাওয়া মেনে। পাকিস্তানে হতে যাওয়া ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। বড় টুর্নামেন্টের সূচিও এমনভাবে সাজানো হয়, যেখানে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ থাকবেই। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা যাবে, ভারতকে সবচেয়ে কম ভ্রমণ ধকল সইতে হয়েছে। আরব আমিরাতে হওয়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২২ এশিয়া কাপে ভারতকে দুবাইয়ের বাইরে খেলতেই হয়নি। ভারতীয় দলের প্রতি আয়োজক দেশগুলোর বাড়তি নজরও রাখতে হয়—হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্টে যেন পান থেকে চুন খসলেই সর্বনাশ!
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখন বেশির ভাগ টুর্নামেন্টেই গ্রুপ বা লিগ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচটি থাকে ভারতের, তাদের জটিল সমীকরণ মেলাতে কাজে দিতে পারে বলেই এমন ব্যবস্থা। ২০১৯ বিশ্বকাপের লিগ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০২৩ বিশ্বকাপের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস আর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল কানাডা। এগুলো সবই ছোট ছোট উদাহরণ মাত্র।
শুধুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভারতের দাপট প্রমাণ করতে শুধুই আইপিএল যথেষ্ট। বিসিসিআই সাধারণত ভারতীয় খেলোয়াড়দের বাইরের টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার অনুমতি দেয় না। তবে তাদের আইপিএল খেলতে বিশ্বের বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আর গ্ল্যামারে আইপিএল এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের সূচির সঙ্গে আইসিসিকেও মানিয়ে নিতে হয়। আইপিএলের সময় আইসিসির কোনো ইভেন্ট তো দূরে থাক, আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে সদস্য দেশগুলোর। কারণ, বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও এ সময়ে সিরিজ খেলতে তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই নামতে হয়। দিনে দিনে আইপিএলের দলের সংখ্যা বাড়ায় টুর্নামেন্টের সময়সীমাও বেড়েছে। আগে আইপিএল শেষ হয়েছে দেড় মাসের মধ্যে। আর এখন হয় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। মার্চ, এপ্রিল ও মে—এই তিন মাসের উইন্ডো এখন আইপিএলের জন্য ‘খালি’ রাখতে হয় বেশির ভাগ ক্রিকেট বোর্ডকে।
আইসিসিতে ‘ভারতের স্বার্থ আগে, তারপর বাকি সবকিছু’—এ অভিযোগ গত এক দশকে এত বেশি উঠেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইসিসিকে অনেকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলেও ব্যঙ্গ করে থাকেন! জয় শাহ আইসিসির প্রধান হওয়ার পর ভারতের দাপট কোনোভাবেই কমার কথা নয়, বরং সেটি কত বাড়বে, সেটিই কৌতূহলী চোখে দেখতে চাইছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
১১ মিনিট আগেখেলার মাঠে হট্টগোলের ঘটনা খুবই পরিচিত দৃশ্য এখন। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ইউরোর মতো মেজর ইভেন্টে দর্শকদের মধ্যে মারাত্মক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও লেগেছে তার ছোঁয়া। গত রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
৪২ মিনিট আগেতানজিম হাসান সাকিব প্রথমবারের মতো বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। ইমরান তাহিরের সুপারিশে তানজিম এবার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স দলে যুক্ত হচ্ছেন। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তানজিমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার তাহিরের নজর কাড়
১ ঘণ্টা আগেআইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো নেই। সময়মতো টুর্নামেন্ট হবে কি? হলে কোথায় হবে? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ টুর্নামেন্টের সূচিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক চাপে আইসিসি।
২ ঘণ্টা আগে