নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাটিং বিপর্যয় হলেই সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বাংলাদেশের কম। ব্যাটিং ব্যর্থতায় টেস্ট হারের রেকর্ড তো আর কম নয়! তবে এবার হারারে টেস্টে অন্য এক বাংলাদেশ দলকেই দেখা গেল। খাদের কিনারা থেকে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ টেস্টটা জিতল, এই দৃঢ়তা বা ক্যারেক্টারই বেশি প্রশংসিত হয়েছে।
হারারের আগে বাংলাদেশ টেস্টে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল দেশের মাঠে, সেটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই টেস্টে ব্রেন্ডন টেলররা চতুর্থ দিনেই হার মেনেছিলেন। বাংলাদেশ টেস্টটা জিতেছিল ইনিংস ও ১০৬ রানে। জিম্বাবুয়ের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবশ্য সব সময় কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এবার সফরের একমাত্র টেস্টের শুরুটাও বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল স্বাগতিকেরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর ১৩২ রান তুলতেই ৬ উইকেট নেই মুমিনুলদের। সেখান থেকেই কী দারুণ প্রত্যাবর্তন! শেষের পাঁচ ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করেন ৩৩৬ রান। প্রথমে লিটন–মাহমুদউল্লাহ মিলে ১৩৮ রানের জুটি। এরপর তাসকিনকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহর ১৯১ রানের রেকর্ড জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসে তো জিম্বাবুয়েকে কোনো সুযোগই দেননি সাদমান–নাজমুলরা। তিন তরুণ ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করেছেন ২৮৪ রান। অতঃপর ২২০ রানের দারুণ জয়।
সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য বড় বিজ্ঞাপন হয়ে থাকবে এই টেস্ট, ‘হারারে টেস্টে বাংলাদেশের এই প্রত্যাবর্তনটাই টেস্ট ক্রিকেটের আসল চরিত্র। টেস্ট ক্রিকেট সব সময়ই চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে। সব সময় কঠিন পরীক্ষা আসবে। সেটি থেকে বেরিয়ে চালকের আসনে যাওয়ার মানসিকতাই আসল। সেদিক দিয়ে বলব, হারারে টেস্টটা বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’ যদিও একটা টেস্ট দেখে উপসংহারে আসতে চান না হাবিবুল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘সব সময় এই দৃঢ়তা দেখাতে হবে।’
ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিমও এই টেস্ট থেকে খুঁজে পেয়েছেন অনেক ইতিবাচক দিক। সাকিব–মুশফিকদের গুরু বললেন, ‘গত কিছুদিনে আমরা টেস্টে ভালো করছিলাম না। এতে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। সেটার মধ্যেই এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে দেখলাম। এটা খুব ভালো ব্যাপার ছিল।’
এই মানসিক দৃঢ়তা নিয়মিত দেখতে হলে টিম ম্যানেজমেন্টকেই এগিয়ে আসার পরামর্শ নাজমুল আবেদিনের, ‘খেলোয়াড়েরা নির্ভার মনে নিজের মতো করে খেলতে পারবে, খেলাটা উপভোগ করতে পারবে—এমন পরিবেশ যদি ম্যানেজমেন্ট তৈরি করতে পারে, নিয়মিত এই ক্যারেক্টার দেখা যাবে। আমাদের যথেষ্ট প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে।’
হারারে টেস্টটা ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ গল্প হলেও একটা আফসোস থেকে যাচ্ছে। মুমিনুল হক আর পাচ্ছেন না তাঁর ‘ক্রাইসিস ম্যান’ মাহমুদউল্লাহকে। হারারে টেস্ট দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন দেশের এই তারকা ব্যাটসম্যান।
ব্যাটিং বিপর্যয় হলেই সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বাংলাদেশের কম। ব্যাটিং ব্যর্থতায় টেস্ট হারের রেকর্ড তো আর কম নয়! তবে এবার হারারে টেস্টে অন্য এক বাংলাদেশ দলকেই দেখা গেল। খাদের কিনারা থেকে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ টেস্টটা জিতল, এই দৃঢ়তা বা ক্যারেক্টারই বেশি প্রশংসিত হয়েছে।
হারারের আগে বাংলাদেশ টেস্টে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল দেশের মাঠে, সেটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই টেস্টে ব্রেন্ডন টেলররা চতুর্থ দিনেই হার মেনেছিলেন। বাংলাদেশ টেস্টটা জিতেছিল ইনিংস ও ১০৬ রানে। জিম্বাবুয়ের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবশ্য সব সময় কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এবার সফরের একমাত্র টেস্টের শুরুটাও বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল স্বাগতিকেরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর ১৩২ রান তুলতেই ৬ উইকেট নেই মুমিনুলদের। সেখান থেকেই কী দারুণ প্রত্যাবর্তন! শেষের পাঁচ ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করেন ৩৩৬ রান। প্রথমে লিটন–মাহমুদউল্লাহ মিলে ১৩৮ রানের জুটি। এরপর তাসকিনকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহর ১৯১ রানের রেকর্ড জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসে তো জিম্বাবুয়েকে কোনো সুযোগই দেননি সাদমান–নাজমুলরা। তিন তরুণ ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করেছেন ২৮৪ রান। অতঃপর ২২০ রানের দারুণ জয়।
সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য বড় বিজ্ঞাপন হয়ে থাকবে এই টেস্ট, ‘হারারে টেস্টে বাংলাদেশের এই প্রত্যাবর্তনটাই টেস্ট ক্রিকেটের আসল চরিত্র। টেস্ট ক্রিকেট সব সময়ই চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে। সব সময় কঠিন পরীক্ষা আসবে। সেটি থেকে বেরিয়ে চালকের আসনে যাওয়ার মানসিকতাই আসল। সেদিক দিয়ে বলব, হারারে টেস্টটা বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’ যদিও একটা টেস্ট দেখে উপসংহারে আসতে চান না হাবিবুল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘সব সময় এই দৃঢ়তা দেখাতে হবে।’
ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিমও এই টেস্ট থেকে খুঁজে পেয়েছেন অনেক ইতিবাচক দিক। সাকিব–মুশফিকদের গুরু বললেন, ‘গত কিছুদিনে আমরা টেস্টে ভালো করছিলাম না। এতে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। সেটার মধ্যেই এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে দেখলাম। এটা খুব ভালো ব্যাপার ছিল।’
এই মানসিক দৃঢ়তা নিয়মিত দেখতে হলে টিম ম্যানেজমেন্টকেই এগিয়ে আসার পরামর্শ নাজমুল আবেদিনের, ‘খেলোয়াড়েরা নির্ভার মনে নিজের মতো করে খেলতে পারবে, খেলাটা উপভোগ করতে পারবে—এমন পরিবেশ যদি ম্যানেজমেন্ট তৈরি করতে পারে, নিয়মিত এই ক্যারেক্টার দেখা যাবে। আমাদের যথেষ্ট প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে।’
হারারে টেস্টটা ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ গল্প হলেও একটা আফসোস থেকে যাচ্ছে। মুমিনুল হক আর পাচ্ছেন না তাঁর ‘ক্রাইসিস ম্যান’ মাহমুদউল্লাহকে। হারারে টেস্ট দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন দেশের এই তারকা ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৬ ঘণ্টা আগে