ক্রীড়া ডেস্ক
ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ ধরলেন বেন ডাকেট। গাস অ্যাটকিনসন অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট পেলেন। ইংল্যান্ডও সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতল ইনিংস ও ১১৪ রানে। সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরার লেনস ঘুরে যায় জেমস অ্যান্ডারসনের দিকে। বিদায়ী টেস্ট খেলা অ্যান্ডারসনের সঙ্গে সতীর্থরা একে একে আলিঙ্গন করছেন। লর্ডসের গ্যালারি থেকেও আসতে থাকে মুহুর্মুহু করতালি।
উইকেট দিয়েই ক্যারিয়ারের বিদায়ী টেস্ট শেষ করতে পারতেন জেমস অ্যান্ডারসন। গুড়াকেশ মোতির কট অ্যান্ড বোল্ড সুযোগটা প্রায় লুফেই নিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। অল্পের জন্য সেটা হাত ফস্কে বেরিয়ে যায়। অ্যান্ডারসনও নিজের কপালে দিয়েছিলেন হাত। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে সেটা হয়নি ঠিকই। তবে ১৮৮ টেস্টের ক্যারিয়ারের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজেকে যে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট নয়, লর্ডস টেস্টটা যে পরিচিতি পেয়েছিল ‘অ্যান্ডারসনের টেস্ট’ নামে। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে পেয়েছেন প্রথাগত ‘গার্ড অব অনার।’ একেকটা উইকেট তিনি যখন নিয়েছেন, গ্যালারি থেকে করতালি আসতে থাকে। তিন দিনেই টেস্টের ফল হয়ে যাওয়ার পর আজ অ্যান্ডারসন যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন তাঁর ছবি তুলতে ফটোগ্রাফাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ আর যে ইংলিশ পেসারকে দেখা যাবে না সুইং ও গতি দিয়ে ব্যাটারদের কাবু করতে। ২০০৩ সালে লর্ডসে টেস্ট অভিষেকের পর এই ভেন্যুতেই ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণকে বিদায় জানালেন অ্যান্ডারসন।
৩৪.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৯ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা উইন্ডিজ তখনো পিছিয়ে ১৭১ রানে। ম্যাচ জয় তো অনেক দূরের ব্যাপার, ইনিংস পরাজয় এড়ানোই যে উইন্ডিজের জন্য পাহাড় টপকানোর মতো ব্যাপার ছিল। দিনের খেলা শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ধাক্কা দেন অ্যান্ডারসন। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে জোশুয়া ডা সিলভা শট করতে যান অ্যান্ডারসনকে। উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথ সেটা তালুবন্দী করেন। ২৬ বলে ১ চারে ৯ রান করেন জোশুয়া।
জোশুয়ার বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়েছে ৩৭.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৮৮ রান। অ্যাটকিনসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্টেই নিয়ে ফেলেন ১০ উইকেট। এক ওভার বিরতিতে এসে এবার আরেক জোসেফকে ফেরান অ্যাটকিনসন। ৪৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামার জোসেফ বোল্ড হয়ে যান অ্যাটকিনসনকে স্লগ করতে গিয়ে। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের সমাপ্তি হতে পারত ৪৪তম ওভারেই। তবে ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডারসন কট অ্যান্ড বোল্ড মিস করায় সেটা সম্ভব হয়নি। জীবন পেয়ে মোতি একের পর এক বাউন্ডারি মেরেছেন। মোতির মতো জেইডেন সিলসও একটি চার মেরেছেন। দশম উইকেটে সিলস-মোতির ২৯ বলে ৩৩ রানের জুটিটা শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে উইন্ডিজ। ৪৭তম ওভারের শেষ বলে সিলসকে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন অ্যাটকিনসন। মোতির ৩৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসটাই উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। পাঁচটি চার মেরেছেন তিনি। অভিষেক টেস্টে ১০৬ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যাটকিনসন।
অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৪১.৪ ১২১ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের অভিষেক ইনিংসে ৪৫ রানে ৭ উইকেট নেন অ্যাটকিনসন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯০ ওভারে ৩৭১ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ—পাঁচ ব্যাটার ফিফটি করেন। তবে কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন ক্রলি। ৮৯ বলের ইনিংসে ১৫ চার মেরেছেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। ৭৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজের সেরা বোলার জেইডেন সিলস।
ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ ধরলেন বেন ডাকেট। গাস অ্যাটকিনসন অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট পেলেন। ইংল্যান্ডও সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতল ইনিংস ও ১১৪ রানে। সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরার লেনস ঘুরে যায় জেমস অ্যান্ডারসনের দিকে। বিদায়ী টেস্ট খেলা অ্যান্ডারসনের সঙ্গে সতীর্থরা একে একে আলিঙ্গন করছেন। লর্ডসের গ্যালারি থেকেও আসতে থাকে মুহুর্মুহু করতালি।
উইকেট দিয়েই ক্যারিয়ারের বিদায়ী টেস্ট শেষ করতে পারতেন জেমস অ্যান্ডারসন। গুড়াকেশ মোতির কট অ্যান্ড বোল্ড সুযোগটা প্রায় লুফেই নিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। অল্পের জন্য সেটা হাত ফস্কে বেরিয়ে যায়। অ্যান্ডারসনও নিজের কপালে দিয়েছিলেন হাত। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে সেটা হয়নি ঠিকই। তবে ১৮৮ টেস্টের ক্যারিয়ারের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজেকে যে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট নয়, লর্ডস টেস্টটা যে পরিচিতি পেয়েছিল ‘অ্যান্ডারসনের টেস্ট’ নামে। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে পেয়েছেন প্রথাগত ‘গার্ড অব অনার।’ একেকটা উইকেট তিনি যখন নিয়েছেন, গ্যালারি থেকে করতালি আসতে থাকে। তিন দিনেই টেস্টের ফল হয়ে যাওয়ার পর আজ অ্যান্ডারসন যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন তাঁর ছবি তুলতে ফটোগ্রাফাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ আর যে ইংলিশ পেসারকে দেখা যাবে না সুইং ও গতি দিয়ে ব্যাটারদের কাবু করতে। ২০০৩ সালে লর্ডসে টেস্ট অভিষেকের পর এই ভেন্যুতেই ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণকে বিদায় জানালেন অ্যান্ডারসন।
৩৪.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৯ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা উইন্ডিজ তখনো পিছিয়ে ১৭১ রানে। ম্যাচ জয় তো অনেক দূরের ব্যাপার, ইনিংস পরাজয় এড়ানোই যে উইন্ডিজের জন্য পাহাড় টপকানোর মতো ব্যাপার ছিল। দিনের খেলা শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ধাক্কা দেন অ্যান্ডারসন। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে জোশুয়া ডা সিলভা শট করতে যান অ্যান্ডারসনকে। উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথ সেটা তালুবন্দী করেন। ২৬ বলে ১ চারে ৯ রান করেন জোশুয়া।
জোশুয়ার বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়েছে ৩৭.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৮৮ রান। অ্যাটকিনসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্টেই নিয়ে ফেলেন ১০ উইকেট। এক ওভার বিরতিতে এসে এবার আরেক জোসেফকে ফেরান অ্যাটকিনসন। ৪৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামার জোসেফ বোল্ড হয়ে যান অ্যাটকিনসনকে স্লগ করতে গিয়ে। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের সমাপ্তি হতে পারত ৪৪তম ওভারেই। তবে ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডারসন কট অ্যান্ড বোল্ড মিস করায় সেটা সম্ভব হয়নি। জীবন পেয়ে মোতি একের পর এক বাউন্ডারি মেরেছেন। মোতির মতো জেইডেন সিলসও একটি চার মেরেছেন। দশম উইকেটে সিলস-মোতির ২৯ বলে ৩৩ রানের জুটিটা শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে উইন্ডিজ। ৪৭তম ওভারের শেষ বলে সিলসকে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন অ্যাটকিনসন। মোতির ৩৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসটাই উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। পাঁচটি চার মেরেছেন তিনি। অভিষেক টেস্টে ১০৬ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যাটকিনসন।
অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৪১.৪ ১২১ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের অভিষেক ইনিংসে ৪৫ রানে ৭ উইকেট নেন অ্যাটকিনসন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯০ ওভারে ৩৭১ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ—পাঁচ ব্যাটার ফিফটি করেন। তবে কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন ক্রলি। ৮৯ বলের ইনিংসে ১৫ চার মেরেছেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। ৭৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজের সেরা বোলার জেইডেন সিলস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
২ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৪ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
৫ ঘণ্টা আগে