ক্রীড়া ডেস্ক
শ্রীলঙ্কান বোলাররা যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট নিচ্ছিলেন, তাতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। গলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে রানের চাপায় পিষ্ট কিউইরা হেরে গেল চার দিনেই। ইনিংস ও ১৫৪ রানে জিতে শ্রীলঙ্কা ২-০ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করল।
নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে শ্রীলঙ্কা গড়েছে আরও এক রেকর্ড। ২০০০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গলে ২৬ টেস্ট জিতেছে লঙ্কানরা। যা গত ২৪ বছরের হিসাবে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়। শ্রীলঙ্কা এই সময়ে (গত ২৪ বছরে) গলে খেলেছে ৪৪ টেস্ট। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ড সবশেষ ২৪ বছরে লর্ডসে জিতেছে ২৫ টেস্ট। এই ভেন্যুতে এই সময়ে ইংলিশরা খেলেছে ৪৩ টেস্ট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ইনিংস পরাজয় এড়াতে তখনো ৩১৫ রান দূরে কিউইরা। রানের পাহাড়ে পিষ্ট নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর অল্প সময় পরই হারায় ষষ্ঠ উইকেট। ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে টম ব্লান্ডেলকে এলবিডব্লিউ করেন নিশান পেইরিস। যেখানে পেইরিস এই টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন।
৬৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রান করে ব্লান্ডেল যখন আউট হয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়েছে ৪৪.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৬ রান। যেখানে ষষ্ঠ উইকেটে ব্লান্ডেল ও গ্লেন ফিলিপস গড়েন ৯৫ রানের জুটি। এই জুটিতে তাঁরা খেলেছেন ১০৫ বল। ব্লান্ডেল আউট হলেও ফিলিপস খেলতে থাকেন ওয়ানডে মেজাজে। ৬৬ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন পেইরিস।
ফিলিপস ৯৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের পর টিম সাউদিও দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ৬৫তম ওভারের তৃতীয় বলে কিউই অধিনায়ক সাউদিকে বোল্ড করেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ফিলিপস, সাউদি দুই ব্যাটারকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৬৪.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান।
শ্রীলঙ্কার জয় যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন সেটাকে আরও বেশি দীর্ঘায়িত করেন মিচেল স্যান্টনার। ৯৭ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়েই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন পেইরিস। ৮১.৪ ওভারে কিউইরা অলআউট হয়েছে ৩৬০ রানে। ১১৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করেন স্যান্টনার। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন ফিলিপস।
ম্যাচসেরা হয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসে ২৫০ বলে ১৮২ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কামিন্দু। ১৬ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন লঙ্কান এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সিরিজসেরা হয়েছেন জয়াসুরিয়া। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান এই বাঁহাতি স্পিনার।
ইনিংস ও ১৫৪ রানে হেরে টেস্টে ৬ বছর ইনিংস ব্যবধানে হারল নিউজিল্যান্ড। সবশেষ তাদের সঙ্গে এমনটা হয়েছিল ২০১৮ সালে। দুবাইয়ে সেবার পাকিস্তানের কাছে কিউইরা হেরেছিল ইনিংস ও ১৬ রানে।
গলে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৫ উইকেটে ৬০২ রানে প্রথম ইনিংসের খেলা ঘোষণা করে লঙ্কানরা। কামিন্দু মেন্ডিসের পাশাপাশি কুশল মেন্ডিসও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৮৮ রানে। তখন জয়াসুরিয়া ও পেইরিস নেন ৬ ও ৩ উইকেট।
নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুতে গত ২৪ বছরে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ের সেরা চার রেকর্ড
ভেন্যু জয়ী দল জয় ম্যাচ
গল শ্রীলঙ্কা ২৬ ৪৪
লর্ডস ইংল্যান্ড ২৫ ৪৮
সেঞ্চুরিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ২৫
কেপটাউন দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯ ২৯
*২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪-এর ২৯ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট পর্যন্ত।
শ্রীলঙ্কান বোলাররা যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট নিচ্ছিলেন, তাতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। গলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে রানের চাপায় পিষ্ট কিউইরা হেরে গেল চার দিনেই। ইনিংস ও ১৫৪ রানে জিতে শ্রীলঙ্কা ২-০ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করল।
নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে শ্রীলঙ্কা গড়েছে আরও এক রেকর্ড। ২০০০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গলে ২৬ টেস্ট জিতেছে লঙ্কানরা। যা গত ২৪ বছরের হিসাবে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়। শ্রীলঙ্কা এই সময়ে (গত ২৪ বছরে) গলে খেলেছে ৪৪ টেস্ট। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ড সবশেষ ২৪ বছরে লর্ডসে জিতেছে ২৫ টেস্ট। এই ভেন্যুতে এই সময়ে ইংলিশরা খেলেছে ৪৩ টেস্ট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ইনিংস পরাজয় এড়াতে তখনো ৩১৫ রান দূরে কিউইরা। রানের পাহাড়ে পিষ্ট নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর অল্প সময় পরই হারায় ষষ্ঠ উইকেট। ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে টম ব্লান্ডেলকে এলবিডব্লিউ করেন নিশান পেইরিস। যেখানে পেইরিস এই টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন।
৬৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রান করে ব্লান্ডেল যখন আউট হয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়েছে ৪৪.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৬ রান। যেখানে ষষ্ঠ উইকেটে ব্লান্ডেল ও গ্লেন ফিলিপস গড়েন ৯৫ রানের জুটি। এই জুটিতে তাঁরা খেলেছেন ১০৫ বল। ব্লান্ডেল আউট হলেও ফিলিপস খেলতে থাকেন ওয়ানডে মেজাজে। ৬৬ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন পেইরিস।
ফিলিপস ৯৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের পর টিম সাউদিও দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ৬৫তম ওভারের তৃতীয় বলে কিউই অধিনায়ক সাউদিকে বোল্ড করেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ফিলিপস, সাউদি দুই ব্যাটারকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৬৪.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান।
শ্রীলঙ্কার জয় যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন সেটাকে আরও বেশি দীর্ঘায়িত করেন মিচেল স্যান্টনার। ৯৭ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়েই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন পেইরিস। ৮১.৪ ওভারে কিউইরা অলআউট হয়েছে ৩৬০ রানে। ১১৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করেন স্যান্টনার। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন ফিলিপস।
ম্যাচসেরা হয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসে ২৫০ বলে ১৮২ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কামিন্দু। ১৬ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন লঙ্কান এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সিরিজসেরা হয়েছেন জয়াসুরিয়া। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান এই বাঁহাতি স্পিনার।
ইনিংস ও ১৫৪ রানে হেরে টেস্টে ৬ বছর ইনিংস ব্যবধানে হারল নিউজিল্যান্ড। সবশেষ তাদের সঙ্গে এমনটা হয়েছিল ২০১৮ সালে। দুবাইয়ে সেবার পাকিস্তানের কাছে কিউইরা হেরেছিল ইনিংস ও ১৬ রানে।
গলে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৫ উইকেটে ৬০২ রানে প্রথম ইনিংসের খেলা ঘোষণা করে লঙ্কানরা। কামিন্দু মেন্ডিসের পাশাপাশি কুশল মেন্ডিসও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৮৮ রানে। তখন জয়াসুরিয়া ও পেইরিস নেন ৬ ও ৩ উইকেট।
নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুতে গত ২৪ বছরে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ের সেরা চার রেকর্ড
ভেন্যু জয়ী দল জয় ম্যাচ
গল শ্রীলঙ্কা ২৬ ৪৪
লর্ডস ইংল্যান্ড ২৫ ৪৮
সেঞ্চুরিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ২৫
কেপটাউন দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯ ২৯
*২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪-এর ২৯ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট পর্যন্ত।
এই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
১২ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার পড়েছে বিপাকে। সংকটময় এই মুহূর্তে জিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
১৫ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেছিলেন ১৬ রান। দুইবার মেরেছিলেন ডাক। সেই ব্যর্থতার ঝাল ঝাড়লেন অন্য সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ওপর চালালেন তাণ্ডব। ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফ
১৫ ঘণ্টা আগে