আফতাব আহমেদ
বড় কিছুর স্বপ্ন নিয়ে টিভির সামনে বসেছিলাম। কিন্তু না। বাংলাদেশ হতাশই করল আমাকে। আশা করছিলাম বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। সেটি আর হলো কোথায়?
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা দেখার পর আমার মনে ঘুরছে একটা বিষয়। আমার মনে হলো, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এভাবে হেরে যাওয়ার ধাক্কাটা এখনো সামলে উঠতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটারদের বিমানযাত্রার একটা ভিডিও দেখছিলাম। সেই ভিডিওতে ক্রিকেটারদের মলিন চেহারায় যেন ভেসে উঠছিল ভেতরে-ভেতরে ওরা কত চাপে। গতকাল ম্যাচে সেটির ছাপই যেন দেখলাম। এখন ইংল্যান্ডের কাছে সহজ আত্মসমর্পণ চাপটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেল।
আসলে আমরা ম্যাচটা হেরে গিয়েছি শুরুতেই। পাওয়ার প্লেতে ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতেই যদি তিন উইকেট পড়ে যায় এরপর ফিরে আসা আসলেই কঠিন। এমন শুরুর পর ব্যাটাররা কি মেরে খেলবে, না ধরে খেলবে—তা নিয়ে দোটানায় ছিল। কিন্তু ২০ ওভারের ম্যাচে এত দেখেশুনে খেলার সুযোগও কোথায়? প্রথম দিকেই আসলে আমরা ম্যাচটা হেরে গিয়েছি। বাকিটা আনুষ্ঠানিকতা!
বোলারদের আমি দোষ দিতে চাই না। ১২৪ রান তাড়া করা আসলে সহজ। ইংল্যান্ডের মতো একটা দলকে এর আগে বেঁধে ফেলা কঠিনই। উইকেট খারাপ ছিল তা না। আমরাই শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে পা হড়কেছি। সেই ভুল কি আর ইংল্যান্ড করবে? ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই আসলে আমরা ডুবেছি।
বাংলাদেশ পুরো ইনিংসে মাত্র ১০টা চার আর দুটি ছয় মেরেছে। ব্যাটাররা ইংল্যান্ডের বোলারদের ৫২ বলে কোনো রানই করতে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে এত ডট বল দেওয়ার পর ম্যাচ জয়ের আশা করা আসলে বোকামি। এই ৫২ ডট বলে যদি ৪০ রানও আসত তাহলে আমাদের স্কোরটা ১৬০–১৬৫ হয়ে যেত। তখন দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা যেত।
বড় শট খেলতে অবশ্য সাহসেরও দরকার। আমার মনে হয় দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধাক্কাটা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরের ব্যাটাররা। তাদের মনে এই ভয় ঢুকেই গিয়েছিল—আমরা আউট হলে তো ১০০ রানও হবে না।
বাংলাদেশ যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছে, এভাবে আসলে ম্যাচ জেতা কঠিন। এখানে মনে হচ্ছে ১ থেকে ১১–সবাই একই রকম দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে। এটা কিন্তু হয় না। যার যে রকম দায়িত্ব সেটি সেভাবে ভাগ করে দেওয়া উচিত। টপ অর্ডারদের নিশ্চিন্তভাবে খেলতে দেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে। যাতে প্রথম ছয় ওভারটা ঠিকঠাক ব্যবহার করা যায়। আউট হোক সমস্যা নেই, কিন্তু রান উঠতে হবে। মিডল অর্ডারে যারা আছে তাদের মনোযোগ দিতে হবে পরের নয় ওভারে বলে বলে রান বের করার দিকে। এভাবে শেষ পাঁচ ওভারের জন্যও আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের একাদশে ৮ জন ব্যাটার। এরপরও কেন ব্যাটিং নিয়ে এত দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে। আমি যদি ঠিকঠাক ব্যবহারই করতে না পারি তাহলে এত ব্যাটার খেলানোর কি দরকার?
বলা যায়, সেমিফাইনালের যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে গিয়েছিল, সেই স্বপ্ন এখন প্রায় শেষ। এখন ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙা করাটাই হবে আসল চ্যালেঞ্জ।
বড় কিছুর স্বপ্ন নিয়ে টিভির সামনে বসেছিলাম। কিন্তু না। বাংলাদেশ হতাশই করল আমাকে। আশা করছিলাম বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। সেটি আর হলো কোথায়?
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা দেখার পর আমার মনে ঘুরছে একটা বিষয়। আমার মনে হলো, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এভাবে হেরে যাওয়ার ধাক্কাটা এখনো সামলে উঠতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটারদের বিমানযাত্রার একটা ভিডিও দেখছিলাম। সেই ভিডিওতে ক্রিকেটারদের মলিন চেহারায় যেন ভেসে উঠছিল ভেতরে-ভেতরে ওরা কত চাপে। গতকাল ম্যাচে সেটির ছাপই যেন দেখলাম। এখন ইংল্যান্ডের কাছে সহজ আত্মসমর্পণ চাপটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেল।
আসলে আমরা ম্যাচটা হেরে গিয়েছি শুরুতেই। পাওয়ার প্লেতে ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতেই যদি তিন উইকেট পড়ে যায় এরপর ফিরে আসা আসলেই কঠিন। এমন শুরুর পর ব্যাটাররা কি মেরে খেলবে, না ধরে খেলবে—তা নিয়ে দোটানায় ছিল। কিন্তু ২০ ওভারের ম্যাচে এত দেখেশুনে খেলার সুযোগও কোথায়? প্রথম দিকেই আসলে আমরা ম্যাচটা হেরে গিয়েছি। বাকিটা আনুষ্ঠানিকতা!
বোলারদের আমি দোষ দিতে চাই না। ১২৪ রান তাড়া করা আসলে সহজ। ইংল্যান্ডের মতো একটা দলকে এর আগে বেঁধে ফেলা কঠিনই। উইকেট খারাপ ছিল তা না। আমরাই শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে পা হড়কেছি। সেই ভুল কি আর ইংল্যান্ড করবে? ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই আসলে আমরা ডুবেছি।
বাংলাদেশ পুরো ইনিংসে মাত্র ১০টা চার আর দুটি ছয় মেরেছে। ব্যাটাররা ইংল্যান্ডের বোলারদের ৫২ বলে কোনো রানই করতে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে এত ডট বল দেওয়ার পর ম্যাচ জয়ের আশা করা আসলে বোকামি। এই ৫২ ডট বলে যদি ৪০ রানও আসত তাহলে আমাদের স্কোরটা ১৬০–১৬৫ হয়ে যেত। তখন দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা যেত।
বড় শট খেলতে অবশ্য সাহসেরও দরকার। আমার মনে হয় দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধাক্কাটা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরের ব্যাটাররা। তাদের মনে এই ভয় ঢুকেই গিয়েছিল—আমরা আউট হলে তো ১০০ রানও হবে না।
বাংলাদেশ যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছে, এভাবে আসলে ম্যাচ জেতা কঠিন। এখানে মনে হচ্ছে ১ থেকে ১১–সবাই একই রকম দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে। এটা কিন্তু হয় না। যার যে রকম দায়িত্ব সেটি সেভাবে ভাগ করে দেওয়া উচিত। টপ অর্ডারদের নিশ্চিন্তভাবে খেলতে দেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে। যাতে প্রথম ছয় ওভারটা ঠিকঠাক ব্যবহার করা যায়। আউট হোক সমস্যা নেই, কিন্তু রান উঠতে হবে। মিডল অর্ডারে যারা আছে তাদের মনোযোগ দিতে হবে পরের নয় ওভারে বলে বলে রান বের করার দিকে। এভাবে শেষ পাঁচ ওভারের জন্যও আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের একাদশে ৮ জন ব্যাটার। এরপরও কেন ব্যাটিং নিয়ে এত দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে। আমি যদি ঠিকঠাক ব্যবহারই করতে না পারি তাহলে এত ব্যাটার খেলানোর কি দরকার?
বলা যায়, সেমিফাইনালের যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে গিয়েছিল, সেই স্বপ্ন এখন প্রায় শেষ। এখন ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙা করাটাই হবে আসল চ্যালেঞ্জ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে আর বাকি মাত্র কয়েক মাস। অথচ ‘মিনি বিশ্বকাপের’ এই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কাকে থাকতে হবে দর্শক। কারণটা নিশ্চয়ই সবার জানা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের সেরা আটে না থাকতে পারায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকিট কাটতে ব্যর্থ লঙ্কানরা।
২৯ মিনিট আগেচলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু। তাঁর (পিন্টু) মৃত্যুর খবর আজ নিশ্চিত করেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের আরেক ফুটবলার প্রতাপ শঙ্কর হাজরা।
১ ঘণ্টা আগে১০০ দিন পার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সময়ে দেশের অন্য খাতের সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনও ছিল বেশ আলোচিত। গত ১০০ দিনে কী কী পরিবর্তন এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে, সেগুলো দেখতেই এই আয়োজন।
১ ঘণ্টা আগেম্যানচেস্টার সিটির ফর্মটাই এবার নরওয়ের জার্সিতেও টেনে নিয়ে এলেন আর্লিং হালান্ড। নিয়মিত গোল করছেন এবারের উয়েফা নেশনস লিগে। নরওয়ের এই স্ট্রাইকার গত রাতে করলেন হ্যাটট্রিক।
২ ঘণ্টা আগে