নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও চেমসফোর্ডে ঠিক সময়েই মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আইরিশ বোলারদের ওপর অবশ্য ইচ্ছেমতো ছড়ি ঘোরাতে পারেনি বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে সফরকারীরা ২৪৬ রান তোলে।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেটে ১৬.৩ ওভার শেষে ৬৫ রান তুলেছে। জিততে হলে স্বাগতিকদের করতে হতো আরও ১৮২ রান। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা এগিয়ে ছিল বাংলাদেশই। পরে তো বৃষ্টির বাধায় আর মাঠে খেলাই গড়ায়নি ৷
২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন শরীফুল ইসলাম। দারুণ খেলতে থাকা পল স্টার্লিংকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। আউট হওয়ার আগে ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান করেন আইরিশ ওপেনার। ১ ওভার পর স্বাগতিক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালর্বিনির স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ৫ রানে আউট হয়েছেন বালর্বিনি। এরপর ৩৮ রানের জুটি গড়েন হ্যারি ট্যাক্টর ও স্টিফেন ডোহানি। ওপেনার ডোহানিকে তুলে নিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ২১ রান করে আয়ারল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ট্যাক্টর।
বৃষ্টিতে চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডের উইকেট গত কদিনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা ছিল। তবে খেলা শুরু হওয়ার আগে এটা বোঝার উপায় ছিল না। ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ উইকেট, বাড়তি পাওয়া চেমসফোর্ডের দ্রুতগতির আউটফিল্ড। আয়ারল্যান্ড এই ম্যাচ বের করে নিলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
তবে উইকেটের এই আচরণ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুটা লিটন দাসকে দিয়ে। জস লিটলের ইয়র্কারে ব্যাট নামিয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার আগেই বল আঘাত হানে তাঁর বুটে। আইরিশদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আলোচনা করেও রিভিউ নেননি লিটন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি লিটনের দশম গোল্ডেন ডাক। এগোয়নি আরেক ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিও। ব্যক্তিগত ১৪ রানে মার্ক এডেয়ারের বলে উইকেটকিপার লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে তাঁর শুরুটা ছিল ভালোই। দারুণ দুটি বাউন্ডারিও আসে ব্যাট থেকে। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
দলীয় ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারানোর পর শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান। ৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাসও মেলে। সাকিব উইকেটে নেমেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন। তবে সেটা লম্বা হয়নি। ব্যক্তিগত ২০ রানে গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। সাকিবের বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। দুজনের জুটিতে আসে ৫০ রান। দলীয় ১০২ রানে কার্টিস ক্যাম্পারের বলে আউট হন শান্ত। ফিফটির সম্ভাবনা জাগানো ইনিংসটি থামে ৪৪ রানে। হৃদয়ও ফিরেছেন সেট হয়ে (২৭)।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দলকে আরও একবার পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। দলীয় ১৮৭ রানে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৪ বলে ২৭ রান করে জর্জ ডকরেলের বলে আউট হন মিরাজ। এক প্রান্ত আগলে রেখে মুশফিক অবশ্য ইনিংসের একমাত্র ফিফটি তুলে নেন। ৩৬তম জন্মদিনে তিনি খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। ৬ চারে সাজানো মুশির ইনিংসই লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে দলকে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মুশফিক আউট হয়েছেন লিটলের বলে আপারকাট করতে গিয়ে ডোহেনির হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শেষ দিকে বাংলাদেশের ইনিংস ২৫০ ছুঁই ছুঁই হয়েছে তাইজুল আর শরীফুলের কল্যাণে। দুজনের অষ্টম উইকেট জুটি গড়ে ২০ বলে ১৯ রানের। লড়াইয়ের স্কোর নিয়ে ম্যাচটা দারুণ জমিয়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু তখনই আগমন বেরসিক বৃষ্টির। পরে কোনো দলেরই নয়, জয় হলো বৃষ্টিরই ৷
বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও চেমসফোর্ডে ঠিক সময়েই মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আইরিশ বোলারদের ওপর অবশ্য ইচ্ছেমতো ছড়ি ঘোরাতে পারেনি বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে সফরকারীরা ২৪৬ রান তোলে।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেটে ১৬.৩ ওভার শেষে ৬৫ রান তুলেছে। জিততে হলে স্বাগতিকদের করতে হতো আরও ১৮২ রান। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা এগিয়ে ছিল বাংলাদেশই। পরে তো বৃষ্টির বাধায় আর মাঠে খেলাই গড়ায়নি ৷
২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন শরীফুল ইসলাম। দারুণ খেলতে থাকা পল স্টার্লিংকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। আউট হওয়ার আগে ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান করেন আইরিশ ওপেনার। ১ ওভার পর স্বাগতিক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালর্বিনির স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ৫ রানে আউট হয়েছেন বালর্বিনি। এরপর ৩৮ রানের জুটি গড়েন হ্যারি ট্যাক্টর ও স্টিফেন ডোহানি। ওপেনার ডোহানিকে তুলে নিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ২১ রান করে আয়ারল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ট্যাক্টর।
বৃষ্টিতে চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডের উইকেট গত কদিনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা ছিল। তবে খেলা শুরু হওয়ার আগে এটা বোঝার উপায় ছিল না। ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ উইকেট, বাড়তি পাওয়া চেমসফোর্ডের দ্রুতগতির আউটফিল্ড। আয়ারল্যান্ড এই ম্যাচ বের করে নিলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
তবে উইকেটের এই আচরণ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুটা লিটন দাসকে দিয়ে। জস লিটলের ইয়র্কারে ব্যাট নামিয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার আগেই বল আঘাত হানে তাঁর বুটে। আইরিশদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আলোচনা করেও রিভিউ নেননি লিটন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি লিটনের দশম গোল্ডেন ডাক। এগোয়নি আরেক ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিও। ব্যক্তিগত ১৪ রানে মার্ক এডেয়ারের বলে উইকেটকিপার লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে তাঁর শুরুটা ছিল ভালোই। দারুণ দুটি বাউন্ডারিও আসে ব্যাট থেকে। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
দলীয় ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারানোর পর শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান। ৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাসও মেলে। সাকিব উইকেটে নেমেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন। তবে সেটা লম্বা হয়নি। ব্যক্তিগত ২০ রানে গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। সাকিবের বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। দুজনের জুটিতে আসে ৫০ রান। দলীয় ১০২ রানে কার্টিস ক্যাম্পারের বলে আউট হন শান্ত। ফিফটির সম্ভাবনা জাগানো ইনিংসটি থামে ৪৪ রানে। হৃদয়ও ফিরেছেন সেট হয়ে (২৭)।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দলকে আরও একবার পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। দলীয় ১৮৭ রানে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৪ বলে ২৭ রান করে জর্জ ডকরেলের বলে আউট হন মিরাজ। এক প্রান্ত আগলে রেখে মুশফিক অবশ্য ইনিংসের একমাত্র ফিফটি তুলে নেন। ৩৬তম জন্মদিনে তিনি খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। ৬ চারে সাজানো মুশির ইনিংসই লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে দলকে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মুশফিক আউট হয়েছেন লিটলের বলে আপারকাট করতে গিয়ে ডোহেনির হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শেষ দিকে বাংলাদেশের ইনিংস ২৫০ ছুঁই ছুঁই হয়েছে তাইজুল আর শরীফুলের কল্যাণে। দুজনের অষ্টম উইকেট জুটি গড়ে ২০ বলে ১৯ রানের। লড়াইয়ের স্কোর নিয়ে ম্যাচটা দারুণ জমিয়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু তখনই আগমন বেরসিক বৃষ্টির। পরে কোনো দলেরই নয়, জয় হলো বৃষ্টিরই ৷
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৪ ঘণ্টা আগে