দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে জিতে সিরিজে সমতায় ফিরেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে এসে দ্বিতীয় ম্যাচের দাপট দেখাতে পারল না দলটি। উল্টো সূর্য কুমার যাদবের তাণ্ডবে উড়ে গেছে তারা। শ্রীলঙ্কান বোলারদের তুলোধুনো করে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। তাঁর সেঞ্চুরিতে ৯১ রানে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ২-১-এ সিরিজ জিতেছে ভারত। 

সূর্য কুমারের সেঞ্চুরির সুবাদে রানের পাহাড়ে চড়ে ভারত। ৫ উইকেটে করে ২২৯ রান। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। ১৬.৪ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ের পাশাপাশি ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল ভারত। টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ২৯ ম্যাচে ১৯ জয় পেল ভারত, যা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যেকোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। 

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। স্কোরবোর্ডে ৩ রান জমা পড়তেই বিদায় নেন ওপেনার ঈশান কিষান (১)। এরপর ৪৯ রানের জুটি গড়েন শুভমান গিল (৪৬) ও রাহুল ত্রিপাঠি (৩৫)। 

এই জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ছক্কাবৃষ্টি শুরু করেন সূর্য কুমার। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৫১ বলে ৭ চার ও ৯ ছয়ে ১১২ রান করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন দিলশান মাধুশঙ্ক। 

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা (১৫) ও কুশল মেন্ডিস (২৩)। তাঁরা বিচ্ছিন্ন হন দলীয় ৪৪ রানে। স্কোরবোর্ডে এরপর কোনো রান জমা হওয়ার আগে বিদায় নেন আভিশকা ফার্নান্দো। সেই ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (২২) ও চারিথ আসালাঙ্কা (১৯)। দলীয় ১০৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। 

বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান বাড়তে থাকায় পাল্লা দিয়ে লঙ্কানরা আর পেরে ওঠেনি। অধিনায়ক দাসুন শানাকার (২৩) বিদায়ের পর তাদের হারটা সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায় তখন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আর্শদ্বীপ সিং। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, উমরান মালিক ও যুজুবেন্দ্র চাহাল।