ক্রীড়া ডেস্ক
দুই দলের স্কোর সমান হওয়ার পর সুপার ওভারের মাধ্যমে জয়-পরাজয় সম্পন্ন হওয়ার ম্যাচ অনেক রয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু গতকাল বেঙ্গালুরুতে যা হয়েছে তা ইতিহাস হয়ে থাকছে। ইতিহাস বললেও যেন কম বলা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা এটিই প্রথমবার! প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুইবার সুপার ওভার দেখেছে। মূল ম্যাচ ৪২৪ রানে টাই হওয়ার পর দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারত ১০ রানে জয় পেয়েছে। তবে অবিশ্বাস্য ম্যাচটি নিয়ে যতটা না কথা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হচ্ছে দ্বিতীয় সুপার ওভারে রোহিত শর্মার ব্যাটিং নিয়ে।
ঘটনাটি প্রথম সুপার ওভারের সময়। ১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিতের দুই ছক্কায় ৫ বলে ১৫ রান তোলে ভারত। তখন ভারতের জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রান। ঠিক এ সময়ই নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা রোহিত মাঠ ছেড়ে চলে যান। তাঁর বদলি হিসেবে নামেন রিংকু সিং। যেন সুযোগ এলে দৌড়ে ২ রান নিতে পারেন যশস্বী জয়সোয়াল ও রিংকু। কেননা এর আগে ২০ ওভার ব্যাটিং করে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো ভারতীয় অধিনায়ক কিছুটা ক্লান্ত ছিলেন।
এ জন্যই মাথা খাটিয়ে স্বেচ্ছা অবসর নেন রোহিত। যার অর্থ তিনি ‘রিটায়ার আউট’। কিন্তু শেষ বলে ১ রান হলে আবারও ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। এতে করে আবারও মাঠে নামেন রোহিত। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম তিন বলে দলকে ১১ রানও এনে দেন। সেই রানকে পুঁজি করেই পরে ১০ রানে ম্যাচে জয় পায় ভারত।
রোহিতের দ্বিতীয়বার সুপার ওভারে ব্যাটিং করা নিয়েই এখন আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কারণ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়া ব্যাটার পরে আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন না। একই নিয়ম বোলারদের ক্ষেত্রেও। এই নিয়ম অনুসরণ করেই প্রথম সুপার ওভারে বোলিং করা আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ভারতের মুকেশ কুমার পরে বোলিং করতে পারেননি।
তাহলে রোহিত কীভাবে পারলেন? এটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অবশ্য আইসিসি বা ম্যাচ অফিশিয়ালদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রটের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি পরিষ্কার নয় তাঁরও। আফগান কোচ বলেছেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই। এর আগে কখনো কি দুইবার সুপার ওভার হয়েছে? এটা একেবারেই নতুন। বলার চেষ্টা করছি, আমরা প্রতিনিয়ত নিয়মগুলোকে পরীক্ষা করছি সঙ্গে নীতিমালাকেও।’
তবে রোহিত যদি ‘রিটায়ার হার্ট’ হতেন তাহলে তাঁর ব্যাটিং করা নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। কারণ রিটায়ার হার্টের বিষয়ে আইসিসির ২৫.৪. ২ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যাটার চোট বা অসুস্থ হয়ে পড়লে বা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রিটায়ার হার্ট হন তাহলে পরে ব্যাটিং শুরু করতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ রিটায়ার নিলে ব্যাটিংয়ে ফিরতে হলে প্রতিপক্ষের অধিনায়কের অনুমতি নিতে হবে।
তবে রোহিতের ঘটনায় এমন কিছুই হয়নি। আর ম্যাচ শেষে তাঁর চলে যাওয়াকে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় রিটায়ার আউট বলেই জানিয়েছেন। ভারতীয় কোচের কথা অনুযায়ী তাই বলা যায়, রোহিতের ব্যাটিং বৈধ ছিল না। এমন ঘটনার আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫ সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত।
দুই দলের স্কোর সমান হওয়ার পর সুপার ওভারের মাধ্যমে জয়-পরাজয় সম্পন্ন হওয়ার ম্যাচ অনেক রয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু গতকাল বেঙ্গালুরুতে যা হয়েছে তা ইতিহাস হয়ে থাকছে। ইতিহাস বললেও যেন কম বলা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা এটিই প্রথমবার! প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুইবার সুপার ওভার দেখেছে। মূল ম্যাচ ৪২৪ রানে টাই হওয়ার পর দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারত ১০ রানে জয় পেয়েছে। তবে অবিশ্বাস্য ম্যাচটি নিয়ে যতটা না কথা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হচ্ছে দ্বিতীয় সুপার ওভারে রোহিত শর্মার ব্যাটিং নিয়ে।
ঘটনাটি প্রথম সুপার ওভারের সময়। ১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিতের দুই ছক্কায় ৫ বলে ১৫ রান তোলে ভারত। তখন ভারতের জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রান। ঠিক এ সময়ই নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা রোহিত মাঠ ছেড়ে চলে যান। তাঁর বদলি হিসেবে নামেন রিংকু সিং। যেন সুযোগ এলে দৌড়ে ২ রান নিতে পারেন যশস্বী জয়সোয়াল ও রিংকু। কেননা এর আগে ২০ ওভার ব্যাটিং করে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো ভারতীয় অধিনায়ক কিছুটা ক্লান্ত ছিলেন।
এ জন্যই মাথা খাটিয়ে স্বেচ্ছা অবসর নেন রোহিত। যার অর্থ তিনি ‘রিটায়ার আউট’। কিন্তু শেষ বলে ১ রান হলে আবারও ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। এতে করে আবারও মাঠে নামেন রোহিত। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম তিন বলে দলকে ১১ রানও এনে দেন। সেই রানকে পুঁজি করেই পরে ১০ রানে ম্যাচে জয় পায় ভারত।
রোহিতের দ্বিতীয়বার সুপার ওভারে ব্যাটিং করা নিয়েই এখন আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কারণ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়া ব্যাটার পরে আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন না। একই নিয়ম বোলারদের ক্ষেত্রেও। এই নিয়ম অনুসরণ করেই প্রথম সুপার ওভারে বোলিং করা আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ভারতের মুকেশ কুমার পরে বোলিং করতে পারেননি।
তাহলে রোহিত কীভাবে পারলেন? এটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অবশ্য আইসিসি বা ম্যাচ অফিশিয়ালদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রটের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি পরিষ্কার নয় তাঁরও। আফগান কোচ বলেছেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই। এর আগে কখনো কি দুইবার সুপার ওভার হয়েছে? এটা একেবারেই নতুন। বলার চেষ্টা করছি, আমরা প্রতিনিয়ত নিয়মগুলোকে পরীক্ষা করছি সঙ্গে নীতিমালাকেও।’
তবে রোহিত যদি ‘রিটায়ার হার্ট’ হতেন তাহলে তাঁর ব্যাটিং করা নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। কারণ রিটায়ার হার্টের বিষয়ে আইসিসির ২৫.৪. ২ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যাটার চোট বা অসুস্থ হয়ে পড়লে বা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রিটায়ার হার্ট হন তাহলে পরে ব্যাটিং শুরু করতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ রিটায়ার নিলে ব্যাটিংয়ে ফিরতে হলে প্রতিপক্ষের অধিনায়কের অনুমতি নিতে হবে।
তবে রোহিতের ঘটনায় এমন কিছুই হয়নি। আর ম্যাচ শেষে তাঁর চলে যাওয়াকে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় রিটায়ার আউট বলেই জানিয়েছেন। ভারতীয় কোচের কথা অনুযায়ী তাই বলা যায়, রোহিতের ব্যাটিং বৈধ ছিল না। এমন ঘটনার আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫ সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৫ ঘণ্টা আগে