নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গত কদিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অনুশীলনে জুটি বেঁধে লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং তো করেছেনই। কথা হলো এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বড় জুটির দেখা বাংলাদেশ পাবে কি?
নিউজিল্যান্ডকে দুবার বাংলাওয়াশ, তারকাখচিত ধোনির ভারতকে উড়িয়ে সিরিজ জয়, পাকিস্তান–ওয়েস্ট ইন্ডিজ–দক্ষিণ আফ্রিকাকেও একই পথ দেখিয়ে দুর্দান্ত সিরিজ জয়—গত এক যুগে নিজের মাঠে কত ইতিহাসই লিখেছে বাংলাদেশ। সেখানে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান যেন বড্ড মলিন। সিরিজ জয় দূরের স্বপ্ন, ওয়ানডেতে লঙ্কার বিপক্ষে মাঝেমধ্যে জেতাও বড় কঠিন! ঘরের মাঠে দুই দলের মধ্যে যে ১৭টি ওয়ানডে হয়েছে, তার মধ্যে ১৪ বারই বিজয়ের মুকুট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লঙ্কানরা।
চেনা কন্ডিশন, হাতের তালুর মতো পরিচিত মাঠ, তবুও কুশাল পেরেরা–হাসারাঙ্গাদের বিপক্ষে সাকিবদের ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস না খেলতে পারা, বড় জুটি গড়তে না পারা। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের পেলে যেন বড় রান করতে ভুলেই যান তামিম–সৌম্যরা! রান তো উঠছেই না, উইকেটে জুটির রসায়ন গড়তেও ব্যর্থ লিটনরা। এখনো লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্ক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটসম্যান মিলেও শত রানের জুটি গড়াও এখনো স্বপ্ন। শত রানের জুটি গড়তে না পারলেও অবশ্য নব্বই রানের জুটি আছে তিনটি–৯৯, ৯৫, ৯১।
জুটি বড় হয়নি, স্কোরবোর্ডও তাই সমৃদ্ধ হয়নি। সেটি বলছে লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একবারই তিন শর ওপর রান তুলতে পারার ইতিহাস। স্কোরবোর্ডে বড় রান উঠলে যে জেতা যায়, তারই প্রমাণ যেন ওই ওয়ানডেটা। ২০১৮–এর জানুয়ারিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৩২০ রান করেছিল মাশরাফির দল। বড় লক্ষ্যের চাপ সামলাতে না পেরে সেদিন ১৫৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল দিনেশ চান্দিমালের দল।
অথচ ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দশের ভেতর থাকা প্রতিটি দলের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে শত রানের জুটি আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ভারতের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষেই সাতবার শত রানের জুটি গড়েছেন মুশফিক–ইমরুলরা। চারটি শত রানের জুটি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান–এই তিন দেশের বিপক্ষে একটি করে শত রানের জুটি থাকলেও নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আছে তিনটি করে। তবে সবচেয়ে বেশি আছে ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
ধীরে ধীরে ক্রিকেট মানচিত্রে দুর্বল থেকে দুর্বলতম হতে থাকা জিম্বাবুয়ের দুর্বল বোলিং লাইনআপ যে তামিমদের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি, তারই প্রমাণ যেন তাদের বিপক্ষে ২১টি শত রানের জুটি! গত বছর লিটন–তামিম ওপেনিং জুটিতেই প্রায় তিন শ (২৯২) রান তুলে ফেলেছিলেন। অন্য দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, শত রানের জুটি গড়া নিয়মিত ঘটনায় রূপ দেওয়া তামিমদের এবার ‘লঙ্কা কুফা’টাও কাটাতে হবে। আর সেটি করতে হলে জমতে
হবে জুটি।
ঢাকা: মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গত কদিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অনুশীলনে জুটি বেঁধে লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং তো করেছেনই। কথা হলো এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বড় জুটির দেখা বাংলাদেশ পাবে কি?
নিউজিল্যান্ডকে দুবার বাংলাওয়াশ, তারকাখচিত ধোনির ভারতকে উড়িয়ে সিরিজ জয়, পাকিস্তান–ওয়েস্ট ইন্ডিজ–দক্ষিণ আফ্রিকাকেও একই পথ দেখিয়ে দুর্দান্ত সিরিজ জয়—গত এক যুগে নিজের মাঠে কত ইতিহাসই লিখেছে বাংলাদেশ। সেখানে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান যেন বড্ড মলিন। সিরিজ জয় দূরের স্বপ্ন, ওয়ানডেতে লঙ্কার বিপক্ষে মাঝেমধ্যে জেতাও বড় কঠিন! ঘরের মাঠে দুই দলের মধ্যে যে ১৭টি ওয়ানডে হয়েছে, তার মধ্যে ১৪ বারই বিজয়ের মুকুট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লঙ্কানরা।
চেনা কন্ডিশন, হাতের তালুর মতো পরিচিত মাঠ, তবুও কুশাল পেরেরা–হাসারাঙ্গাদের বিপক্ষে সাকিবদের ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস না খেলতে পারা, বড় জুটি গড়তে না পারা। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের পেলে যেন বড় রান করতে ভুলেই যান তামিম–সৌম্যরা! রান তো উঠছেই না, উইকেটে জুটির রসায়ন গড়তেও ব্যর্থ লিটনরা। এখনো লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্ক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটসম্যান মিলেও শত রানের জুটি গড়াও এখনো স্বপ্ন। শত রানের জুটি গড়তে না পারলেও অবশ্য নব্বই রানের জুটি আছে তিনটি–৯৯, ৯৫, ৯১।
জুটি বড় হয়নি, স্কোরবোর্ডও তাই সমৃদ্ধ হয়নি। সেটি বলছে লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একবারই তিন শর ওপর রান তুলতে পারার ইতিহাস। স্কোরবোর্ডে বড় রান উঠলে যে জেতা যায়, তারই প্রমাণ যেন ওই ওয়ানডেটা। ২০১৮–এর জানুয়ারিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৩২০ রান করেছিল মাশরাফির দল। বড় লক্ষ্যের চাপ সামলাতে না পেরে সেদিন ১৫৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল দিনেশ চান্দিমালের দল।
অথচ ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দশের ভেতর থাকা প্রতিটি দলের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে শত রানের জুটি আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ভারতের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষেই সাতবার শত রানের জুটি গড়েছেন মুশফিক–ইমরুলরা। চারটি শত রানের জুটি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান–এই তিন দেশের বিপক্ষে একটি করে শত রানের জুটি থাকলেও নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আছে তিনটি করে। তবে সবচেয়ে বেশি আছে ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
ধীরে ধীরে ক্রিকেট মানচিত্রে দুর্বল থেকে দুর্বলতম হতে থাকা জিম্বাবুয়ের দুর্বল বোলিং লাইনআপ যে তামিমদের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি, তারই প্রমাণ যেন তাদের বিপক্ষে ২১টি শত রানের জুটি! গত বছর লিটন–তামিম ওপেনিং জুটিতেই প্রায় তিন শ (২৯২) রান তুলে ফেলেছিলেন। অন্য দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, শত রানের জুটি গড়া নিয়মিত ঘটনায় রূপ দেওয়া তামিমদের এবার ‘লঙ্কা কুফা’টাও কাটাতে হবে। আর সেটি করতে হলে জমতে
হবে জুটি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৪ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৬ ঘণ্টা আগে