নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বোলাররা নিংড়ে দিয়েছেন নিজেদের। পাশাপাশি অসাধারণ ফিল্ডিং। ফলে অলিখিত ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৫ রানেই থামিয়েছে বাংলাদেশ দল। তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমানরা নিজেদের কাজটা দারুভাবে সামলিয়েছেন, লক্ষ্যটা রেখেছেন নাগালে। ব্যাট হাতে পরের কাজটা নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা ঠিকঠাক করলেই হয়।
লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে কৃতিত্বটা পেতে পারেন জানিত লিয়ানাগে। এক এক করে সবাই আউট হলেও ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তুলি নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। অপরাজিত ছিলেন ১০১ রানে। শ্রীলঙ্কার ৪৩ শতাংশ রানই এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২০০ রান হওয়া নিয়েও ছিল শঙ্কা। ৮ম উইকেটে মাহিশ তিকশানার সঙ্গে গড়েছেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬০ রানের জুটি। যার কল্যাণে স্কোর পেরোয় ২৩০।
আগের দুই ওয়ানডে ম্যাচে শুরু এবং শেষ দিকে উইকেট নিতে পারলেও মাঝের ওভারে ব্যর্থ প্রয়োজনীয় উইকেট কিংবা ব্রেক-থ্রু এনে দিতে পারেননি বোলাররা। তবে আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঝের ওভারে তোপ দাগলেন মোস্তাফিজ-মিরাজরা।
পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট নিয়ে শুরুতে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান তাসকিন আহমেদ। ড্রেসিংরুমে ফিরে হয়তো আক্ষেপে পুড়ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বল, তাসকিনের স্লটের ডেলিভারি হালকা ভেতরে ঢুকে এ লঙ্কান ওপেনারের প্যাডে লাগে, মনে হচ্ছিল বল স্টাম্প মিস করবে। তাসকিন-শান্তদের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে তর্জনী তুলে দেন আম্পায়ার।
নিসাঙ্কাও ড্রেসিংরুমে উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলেন। তবে এ সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটার আভিষ্কা ফার্নান্দো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন রিভিউ নিতে। তিনি অবশ্য সেটি করেননি। বিপরীতে বাংলাদেশ পেল প্রথম সাফল্য। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, নিশাঙ্কার আউট হওয়া বল লেগ স্টাম্পও মিস করেছে। নিজের শেষ ৫ ওয়ানডে ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন নিশাঙ্কা। তাঁকে ১ রানে ফেরানোয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের চেহারায় ছিল স্বস্তির ছাপও।
তাসকিন পরের ওভারে ফেরান আভিষ্কাকেও। পুরো সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেননি এ লঙ্কান ওপেনার। শর্ট লেংথের বল ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ল উইকেটকিপার মুশফিকের হাতে। ৪ রানে ফেরেন আভিষ্কা।
১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন। ১১ তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বোলিং আক্রমণে এসে দারুণ এক ডেলিভারিতে ভাঙেন ২৬ রানের এ জুটি। সাদিরার (১৪) ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে মুশফিকের হাতে।
ছন্দ হারানো মোস্তাফিজ বেশ কিছু ম্যাচেই দলের প্রয়োজনীয় উইকেট এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। তানজিম হাসান সাকিবের জায়গায় সুযোগ পেয়ে আজ নিজের প্রথম ওভারেই নিয়েছেন উইকেট। চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বড় করার চেষ্টা করেন মেন্ডিস। তবে রিশাদ হোসেন বোলিং আক্রমণে এসেই এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত ব্রেক-থ্রু। বাংলাদেশকে পেলে মেন্ডিসের ব্যাটও হয়ে যায় চড়া। এ ম্যাচেও থিতু হয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু ১৮তম ওভারে রিশাদের করা প্রথম বল মেন্ডিসের ব্যাটে থেকে মুশফিকের হাতে যায়। আসালাঙ্কার সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি ভাঙে মেন্ডিসের। ৫১ বলে ২৯ রান আসে লঙ্কান অধিনায়কের ব্যাট থেকে। রিশাদের প্রথম ওয়ানডে উইকেটও এটি। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। জানিত লিয়ানাগেকে সঙ্গে নিয়ে আসালাঙ্কা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ রানের একটি জুটিও গড়েন দুজনে।
২৫তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসালাঙ্কা। ম্যাচে মুশফিকের এটি ছিল চতুর্থ ক্যাচ। ৪৬ বলে ৩৭ রান আসে আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে। তাপর মেহেদী হাসান মিরাজ পরপর নিজের দুই ওভারে দুনিত ভেল্লালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফেরালে লঙ্কানরা বেশ চাপে পড়ে যায়। ভেল্লালাগে ১৮ বলে ১ আর হাসারাঙ্গা ফেরেন ১১ রানে।
বিপর্যয়ের মধ্যেও অবিচল ছিলেন লিয়ানাগে। ৬ নম্বরে নেমে একাই করে গেছেন লড়াই। দারুণ ছন্দে থাকা এ ব্যাটার প্রথম ওয়ানডের পর আজ তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১০২ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় খেলেছেন ১০১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন ৩ টি, মিরাজ ও মোস্তাফিজ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বোলাররা নিংড়ে দিয়েছেন নিজেদের। পাশাপাশি অসাধারণ ফিল্ডিং। ফলে অলিখিত ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৫ রানেই থামিয়েছে বাংলাদেশ দল। তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমানরা নিজেদের কাজটা দারুভাবে সামলিয়েছেন, লক্ষ্যটা রেখেছেন নাগালে। ব্যাট হাতে পরের কাজটা নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা ঠিকঠাক করলেই হয়।
লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে কৃতিত্বটা পেতে পারেন জানিত লিয়ানাগে। এক এক করে সবাই আউট হলেও ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তুলি নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। অপরাজিত ছিলেন ১০১ রানে। শ্রীলঙ্কার ৪৩ শতাংশ রানই এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২০০ রান হওয়া নিয়েও ছিল শঙ্কা। ৮ম উইকেটে মাহিশ তিকশানার সঙ্গে গড়েছেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬০ রানের জুটি। যার কল্যাণে স্কোর পেরোয় ২৩০।
আগের দুই ওয়ানডে ম্যাচে শুরু এবং শেষ দিকে উইকেট নিতে পারলেও মাঝের ওভারে ব্যর্থ প্রয়োজনীয় উইকেট কিংবা ব্রেক-থ্রু এনে দিতে পারেননি বোলাররা। তবে আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঝের ওভারে তোপ দাগলেন মোস্তাফিজ-মিরাজরা।
পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট নিয়ে শুরুতে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান তাসকিন আহমেদ। ড্রেসিংরুমে ফিরে হয়তো আক্ষেপে পুড়ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বল, তাসকিনের স্লটের ডেলিভারি হালকা ভেতরে ঢুকে এ লঙ্কান ওপেনারের প্যাডে লাগে, মনে হচ্ছিল বল স্টাম্প মিস করবে। তাসকিন-শান্তদের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে তর্জনী তুলে দেন আম্পায়ার।
নিসাঙ্কাও ড্রেসিংরুমে উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলেন। তবে এ সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটার আভিষ্কা ফার্নান্দো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন রিভিউ নিতে। তিনি অবশ্য সেটি করেননি। বিপরীতে বাংলাদেশ পেল প্রথম সাফল্য। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, নিশাঙ্কার আউট হওয়া বল লেগ স্টাম্পও মিস করেছে। নিজের শেষ ৫ ওয়ানডে ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন নিশাঙ্কা। তাঁকে ১ রানে ফেরানোয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের চেহারায় ছিল স্বস্তির ছাপও।
তাসকিন পরের ওভারে ফেরান আভিষ্কাকেও। পুরো সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেননি এ লঙ্কান ওপেনার। শর্ট লেংথের বল ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ল উইকেটকিপার মুশফিকের হাতে। ৪ রানে ফেরেন আভিষ্কা।
১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন। ১১ তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বোলিং আক্রমণে এসে দারুণ এক ডেলিভারিতে ভাঙেন ২৬ রানের এ জুটি। সাদিরার (১৪) ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে মুশফিকের হাতে।
ছন্দ হারানো মোস্তাফিজ বেশ কিছু ম্যাচেই দলের প্রয়োজনীয় উইকেট এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। তানজিম হাসান সাকিবের জায়গায় সুযোগ পেয়ে আজ নিজের প্রথম ওভারেই নিয়েছেন উইকেট। চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বড় করার চেষ্টা করেন মেন্ডিস। তবে রিশাদ হোসেন বোলিং আক্রমণে এসেই এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত ব্রেক-থ্রু। বাংলাদেশকে পেলে মেন্ডিসের ব্যাটও হয়ে যায় চড়া। এ ম্যাচেও থিতু হয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু ১৮তম ওভারে রিশাদের করা প্রথম বল মেন্ডিসের ব্যাটে থেকে মুশফিকের হাতে যায়। আসালাঙ্কার সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি ভাঙে মেন্ডিসের। ৫১ বলে ২৯ রান আসে লঙ্কান অধিনায়কের ব্যাট থেকে। রিশাদের প্রথম ওয়ানডে উইকেটও এটি। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। জানিত লিয়ানাগেকে সঙ্গে নিয়ে আসালাঙ্কা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ রানের একটি জুটিও গড়েন দুজনে।
২৫তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসালাঙ্কা। ম্যাচে মুশফিকের এটি ছিল চতুর্থ ক্যাচ। ৪৬ বলে ৩৭ রান আসে আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে। তাপর মেহেদী হাসান মিরাজ পরপর নিজের দুই ওভারে দুনিত ভেল্লালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফেরালে লঙ্কানরা বেশ চাপে পড়ে যায়। ভেল্লালাগে ১৮ বলে ১ আর হাসারাঙ্গা ফেরেন ১১ রানে।
বিপর্যয়ের মধ্যেও অবিচল ছিলেন লিয়ানাগে। ৬ নম্বরে নেমে একাই করে গেছেন লড়াই। দারুণ ছন্দে থাকা এ ব্যাটার প্রথম ওয়ানডের পর আজ তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১০২ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় খেলেছেন ১০১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন ৩ টি, মিরাজ ও মোস্তাফিজ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৩৭ মিনিট আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
২ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৩ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
৪ ঘণ্টা আগে