ক্রীড়া ডেস্ক
১৬২ ও ২৪৭—মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংসের রান যোগ করলে হয় ৪০৯, যা নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের থেকে ১০২ রান কম। চাইলে ব্ল্যাকক্যাপসরা ইনিংসেই জিততে পারত। কিন্তু প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়ে পিষ্ট করে জেতার পরিকল্পনাই যে ছিল নিউজিল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮১ রানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
শুধু রানের হিসাব করলে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় ৪২৩ রানের। ২০১৮ সালে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শ্রীলঙ্কাকে ৪২৩ রানে হারিয়েছিল কিউইরা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আজ যে ২৮১ রানে জিতল, সেটা নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে কিউইদের সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭৯ রানে গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে নিউজিল্যান্ড। সেখানেই ইনিংস ঘোষণা করে আজ খেলা শুরু করে কিউইরা। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২৯ রানের। পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করতে পারলে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড হতো প্রোটিয়াদের। তবে এই পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার এডওয়ার্ড মুর ও নিল ব্র্যান্ডের উইকেট হারিয়ে ৩.১ ওভারে ২ উইকেটে ৫ রান হয়ে যায় তাদের। যেখানে মুরকে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় করেন ম্যাট হেনরি। আর ৩ রান করা ব্র্যান্ডকে বোল্ড করেন সাউদি। যার মধ্যে ব্র্যান্ড এই টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কও।
প্রথম দুই উইকেট পড়ার পর ৪ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জুবাইর হামজা। তিনি ও ৩ নম্বরে নামা রেয়নার্ড ফন টন্ডার ব্যাটিং করছিলেন টেস্ট মেজাজেই। তৃতীয় উইকেটে ফন টন্ডার ও হামজা গড়েন ১৬৩ বলে ৬৩ রানের জুটি। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফন টন্ডারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কাইল জেমিসন। ৮৩ বলে ২ চারে ৩১ রান করেন ফন টন্ডার। এক ওভার বিরতিতে এসে জেমিসন এবার ফিরিয়েছেন হামজাকে। হামজা করেন ৯২ বলে ৩৬ রান।
জেমিসন দ্রুত ২ উইকেট নিলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৩৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৩ রান। এরপর ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন কিগান পিটারসেন। ষষ্ঠ উইকেটে ডেভিড বেডিংহামের সঙ্গে ১৪৩ বলে ১০৫ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন পিটারসেন। বেডিংহামকে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন জেমিসন। ৯৬ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করেন বেডিংহাম। এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির আক্ষেপের পর দ্রুত গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়ারাও। ৬৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে ২৪৭ রানে। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন জেমিসন। মিচেল স্যান্টনার নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি, হেনরি ও গ্লেন ফিলিপস।
ম্যাচসেরা হয়েছেন রাচীন রবীন্দ্র। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে করেন ২৫২ রান ও নিয়েছেন ২ উইকেট। যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ার-সেরা ২৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ব্র্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নিউজিল্যান্ড ৫১১ রানে অলআউট হয়েছে। প্রথম ইনিংসে রাচীন রবীন্দ্র ৩৬৬ বলে ২৬ চার ও ৩ ছক্কায় ২৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। কেইন উইলিয়ামসনও সেঞ্চুরি করেন। এখানে ব্র্যান্ড ১১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৬২ রানে। ফলোঅন না করিয়ে নিউজিল্যান্ড আবারও ব্যাটিং করে। এই ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন উইলিয়ামসন। দুই ইনিংস মিলে কিউই ব্যাটার করেন ২২৭ রান।
১৬২ ও ২৪৭—মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংসের রান যোগ করলে হয় ৪০৯, যা নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের থেকে ১০২ রান কম। চাইলে ব্ল্যাকক্যাপসরা ইনিংসেই জিততে পারত। কিন্তু প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়ে পিষ্ট করে জেতার পরিকল্পনাই যে ছিল নিউজিল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮১ রানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
শুধু রানের হিসাব করলে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় ৪২৩ রানের। ২০১৮ সালে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শ্রীলঙ্কাকে ৪২৩ রানে হারিয়েছিল কিউইরা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আজ যে ২৮১ রানে জিতল, সেটা নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে কিউইদের সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭৯ রানে গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে নিউজিল্যান্ড। সেখানেই ইনিংস ঘোষণা করে আজ খেলা শুরু করে কিউইরা। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২৯ রানের। পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করতে পারলে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড হতো প্রোটিয়াদের। তবে এই পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার এডওয়ার্ড মুর ও নিল ব্র্যান্ডের উইকেট হারিয়ে ৩.১ ওভারে ২ উইকেটে ৫ রান হয়ে যায় তাদের। যেখানে মুরকে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় করেন ম্যাট হেনরি। আর ৩ রান করা ব্র্যান্ডকে বোল্ড করেন সাউদি। যার মধ্যে ব্র্যান্ড এই টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কও।
প্রথম দুই উইকেট পড়ার পর ৪ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জুবাইর হামজা। তিনি ও ৩ নম্বরে নামা রেয়নার্ড ফন টন্ডার ব্যাটিং করছিলেন টেস্ট মেজাজেই। তৃতীয় উইকেটে ফন টন্ডার ও হামজা গড়েন ১৬৩ বলে ৬৩ রানের জুটি। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফন টন্ডারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কাইল জেমিসন। ৮৩ বলে ২ চারে ৩১ রান করেন ফন টন্ডার। এক ওভার বিরতিতে এসে জেমিসন এবার ফিরিয়েছেন হামজাকে। হামজা করেন ৯২ বলে ৩৬ রান।
জেমিসন দ্রুত ২ উইকেট নিলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৩৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৩ রান। এরপর ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন কিগান পিটারসেন। ষষ্ঠ উইকেটে ডেভিড বেডিংহামের সঙ্গে ১৪৩ বলে ১০৫ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন পিটারসেন। বেডিংহামকে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন জেমিসন। ৯৬ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করেন বেডিংহাম। এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির আক্ষেপের পর দ্রুত গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়ারাও। ৬৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে ২৪৭ রানে। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন জেমিসন। মিচেল স্যান্টনার নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি, হেনরি ও গ্লেন ফিলিপস।
ম্যাচসেরা হয়েছেন রাচীন রবীন্দ্র। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে করেন ২৫২ রান ও নিয়েছেন ২ উইকেট। যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ার-সেরা ২৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ব্র্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নিউজিল্যান্ড ৫১১ রানে অলআউট হয়েছে। প্রথম ইনিংসে রাচীন রবীন্দ্র ৩৬৬ বলে ২৬ চার ও ৩ ছক্কায় ২৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। কেইন উইলিয়ামসনও সেঞ্চুরি করেন। এখানে ব্র্যান্ড ১১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৬২ রানে। ফলোঅন না করিয়ে নিউজিল্যান্ড আবারও ব্যাটিং করে। এই ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন উইলিয়ামসন। দুই ইনিংস মিলে কিউই ব্যাটার করেন ২২৭ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৪ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৬ ঘণ্টা আগে