নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতেই এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) হচ্ছে টি–টোয়েন্টি সংস্করণে। লিগের ১৭ ম্যাচ হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, এ কেমন টি–টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করেছে বিসিবি! ২০ ওভারের মারকাটারি ব্যাটিংটাই তো দেখা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিটি ম্যাচই হচ্ছে ম্যাড়ম্যাড়ে, বড় একপেশে।
করোনার বাধা টপকে ৩১ মে থেকে শুরু হওয়া ডিপিএলে খেলছে ১২টি দল। এরই মধ্যে প্রতিটি দলেরই দুই থেকে তিনটি করে ম্যাচ খেলা হয়েছে। কাল বিকেল পর্যন্ত হওয়া ১৭ ম্যাচে টোয়েন্টি মানে যে চার–ছক্কার ফুলঝুরি, সেভাবে দেখা মেলেনি। মাত্র দুবারই ১৬০ রানের ওপরে দলীয় স্কোর দেখা গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭১ রানের দলীয় স্কোরটি এসেছে আবার বিকেএসপির তুলনামূলক ছোট বাউন্ডারির মাঠে।
মিরপুরে একবারই ১৬০ রানের ওপরে (১৬৬) স্কোর হয়েছে। বাকি ১৫ ম্যাচের মধ্যে ১৫০ রান উঠেছে চারবার। ১৪০ রানের ওপর চারবার। ২০ ওভার পর্যন্ত গড়ানো অন্য ম্যাচগুলোয় দলীয় ইনিংস থেমেছে ১০০–১৩০ রানের মধ্যে। বৃষ্টিবাধায় কাল বিকেল পর্যন্ত ডিপিএলের ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিই হয়েছে মিরপুরে। বাকি চারটি ম্যাচ বিকেএসপির দুটি মাঠে। বিকেএসপিতে দুটি ম্যাচ অবশ্য পরিত্যক্ত।
মিরপুরের উইকেট সব সময়ই কিছুটা মন্থর, বল ধীরগতিতে আসে। এখানে বড় স্কোর ম্যাচের হাপিত্যেশ পুরোনো। যদিও আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এই মিরপুরেই প্রায় সময় বড় স্কোরের দেখা মিলছে। তিন বছর আগে সাকিব–তামিম ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মিরপুরেই রান উঠেছিল ২১১। এখন পর্যন্ত এ মাঠে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। মিরপুরে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে ১৮ বারই ১৭০ থেকে ১৯০ স্কোর দেখা গেছে। ২০০ ছাড়িয়েছে তিনবার। সাকিব–তামিমদের ব্যাটেই দুবার ২০০ রানের ওপর স্কোর দেখেছেন দর্শকেরা। হরহামেশাই ১৫০–১৬০ তো উঠেছেই।
ডিপিএলে সেই রানবন্যাটা কই? জাতীয় দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকের যুক্তি, ‘আবহাওয়ার কারণে ব্যাটিং উইকেট হচ্ছে না, তাই বড় স্কোর হচ্ছে না।’ বাংলাদেশ দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আরও যোগ করেছেন, ‘সাধারণত ব্যাটিং উইকেট করার চেষ্টা করা হয়। খুব কঠিন, এই যে এখন (কাল দুপুরে) বৃষ্টি হলো। এ রকম হলে পরের ম্যাচে বড় স্কোর কি আশা করা যায়?’
রাজ্জাকের যুক্তি উপেক্ষা করার উপায় নেই। আরেকটি কারণ হতে পারে সাকিব–সৌম্যদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের নিষ্প্রভ থাকা। ডিপিএলে এখন পর্যন্ত ১১টি ফিফটি হলেও এর মধ্য মাত্র দুটি এসেছে নিয়মিত জাতীয় দলের হয়ে টি–টোয়েন্টি খেলছেন এমন দুই ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে। টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি ফিফটির দেখা পেয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানও। তিনটি করে ম্যাচ খেলে ফেললেও মুশফিক–নাঈমদের ব্যাটে ফিফটির দেখা মেলেনি। সৌম্য–শান্ত–মিঠুনরা তো ঘুরপাক খাচ্ছেন ব্যর্থতার বৃত্তে।
ছক্কা সংখ্যায় পিছিয়ে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা। আলাউদ্দিন বাবু–ইরফান উজ্জামানের মতো জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা যেখানে ছক্কা মেরে মিরপুরের গ্যালারিতে বল হারিয়ে ফেলছেন, সেখানে সৌম্যর মতো ড্যাশিং ব্যাটসম্যান এখনো একটি ছক্কাও মারতে পারেননি। হাতের তালুর মতো চেনা মাঠেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং পারছেন না, সৌম্য–মিঠুনরা ভারতের রানপ্রসবা উইকেটে কীভাবে জ্বলে উঠবেন!
ঢাকা: টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতেই এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) হচ্ছে টি–টোয়েন্টি সংস্করণে। লিগের ১৭ ম্যাচ হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, এ কেমন টি–টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করেছে বিসিবি! ২০ ওভারের মারকাটারি ব্যাটিংটাই তো দেখা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিটি ম্যাচই হচ্ছে ম্যাড়ম্যাড়ে, বড় একপেশে।
করোনার বাধা টপকে ৩১ মে থেকে শুরু হওয়া ডিপিএলে খেলছে ১২টি দল। এরই মধ্যে প্রতিটি দলেরই দুই থেকে তিনটি করে ম্যাচ খেলা হয়েছে। কাল বিকেল পর্যন্ত হওয়া ১৭ ম্যাচে টোয়েন্টি মানে যে চার–ছক্কার ফুলঝুরি, সেভাবে দেখা মেলেনি। মাত্র দুবারই ১৬০ রানের ওপরে দলীয় স্কোর দেখা গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭১ রানের দলীয় স্কোরটি এসেছে আবার বিকেএসপির তুলনামূলক ছোট বাউন্ডারির মাঠে।
মিরপুরে একবারই ১৬০ রানের ওপরে (১৬৬) স্কোর হয়েছে। বাকি ১৫ ম্যাচের মধ্যে ১৫০ রান উঠেছে চারবার। ১৪০ রানের ওপর চারবার। ২০ ওভার পর্যন্ত গড়ানো অন্য ম্যাচগুলোয় দলীয় ইনিংস থেমেছে ১০০–১৩০ রানের মধ্যে। বৃষ্টিবাধায় কাল বিকেল পর্যন্ত ডিপিএলের ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিই হয়েছে মিরপুরে। বাকি চারটি ম্যাচ বিকেএসপির দুটি মাঠে। বিকেএসপিতে দুটি ম্যাচ অবশ্য পরিত্যক্ত।
মিরপুরের উইকেট সব সময়ই কিছুটা মন্থর, বল ধীরগতিতে আসে। এখানে বড় স্কোর ম্যাচের হাপিত্যেশ পুরোনো। যদিও আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এই মিরপুরেই প্রায় সময় বড় স্কোরের দেখা মিলছে। তিন বছর আগে সাকিব–তামিম ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মিরপুরেই রান উঠেছিল ২১১। এখন পর্যন্ত এ মাঠে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। মিরপুরে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে ১৮ বারই ১৭০ থেকে ১৯০ স্কোর দেখা গেছে। ২০০ ছাড়িয়েছে তিনবার। সাকিব–তামিমদের ব্যাটেই দুবার ২০০ রানের ওপর স্কোর দেখেছেন দর্শকেরা। হরহামেশাই ১৫০–১৬০ তো উঠেছেই।
ডিপিএলে সেই রানবন্যাটা কই? জাতীয় দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকের যুক্তি, ‘আবহাওয়ার কারণে ব্যাটিং উইকেট হচ্ছে না, তাই বড় স্কোর হচ্ছে না।’ বাংলাদেশ দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আরও যোগ করেছেন, ‘সাধারণত ব্যাটিং উইকেট করার চেষ্টা করা হয়। খুব কঠিন, এই যে এখন (কাল দুপুরে) বৃষ্টি হলো। এ রকম হলে পরের ম্যাচে বড় স্কোর কি আশা করা যায়?’
রাজ্জাকের যুক্তি উপেক্ষা করার উপায় নেই। আরেকটি কারণ হতে পারে সাকিব–সৌম্যদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের নিষ্প্রভ থাকা। ডিপিএলে এখন পর্যন্ত ১১টি ফিফটি হলেও এর মধ্য মাত্র দুটি এসেছে নিয়মিত জাতীয় দলের হয়ে টি–টোয়েন্টি খেলছেন এমন দুই ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে। টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি ফিফটির দেখা পেয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানও। তিনটি করে ম্যাচ খেলে ফেললেও মুশফিক–নাঈমদের ব্যাটে ফিফটির দেখা মেলেনি। সৌম্য–শান্ত–মিঠুনরা তো ঘুরপাক খাচ্ছেন ব্যর্থতার বৃত্তে।
ছক্কা সংখ্যায় পিছিয়ে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা। আলাউদ্দিন বাবু–ইরফান উজ্জামানের মতো জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা যেখানে ছক্কা মেরে মিরপুরের গ্যালারিতে বল হারিয়ে ফেলছেন, সেখানে সৌম্যর মতো ড্যাশিং ব্যাটসম্যান এখনো একটি ছক্কাও মারতে পারেননি। হাতের তালুর মতো চেনা মাঠেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং পারছেন না, সৌম্য–মিঠুনরা ভারতের রানপ্রসবা উইকেটে কীভাবে জ্বলে উঠবেন!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৪ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৫ ঘণ্টা আগে