নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: টানা চার ম্যাচ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর খেলোয়াড় তালিকায় কোথাও পাওয়া গেল না আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের নাম। লিগ শুরুর আগে প্রায় এক মাস মাহমুদউল্লাহ–সৌম্যদের সঙ্গে অনুশীলনকরা লেগ স্পিনারের হলোটা কী? নাকি ঘরোয়া ক্রিকেটে দলগুলোর ‘লেগ স্পিনে অনাগ্রহে’র সংস্কৃতির শিকার হয়ে একাদশে জায়গা হচ্ছে না তাঁর? ম্যাচের পর ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকা বিপ্লবের কপালের ‘লিখন’ও কি জুবায়ের হোসেন লিখনের মতো হয়ে গেল—সেই প্রশ্ন চারপাশে!
লেগ স্পিন নিয়ে হা–হুতাশের মধ্যে বাংলাদেশ দলে বড় চমক হয়েই এসেছিলেন বিপ্লব। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকের আগে তাঁর ছিল না প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও। সেই ‘আনকোরা’ বিপ্লব অভিষেকে দারুণ বোলিং করে বেশ নজর কেড়েছিলেন।
অবশ্য অভিষেকের অনেক আগেই বিপ্লবে মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। বিপ্লবের অভিষেকের তিন মাস আগে মিনহাজুল তাঁর বিষয়ে সনদ দিয়েছিলেন এই বলে, ‘বিপ্লবের (আমিনুল) লেগ স্পিনটা অসাধারণ’। মিনহাজুলের সেই ‘অসাধারণ’ বিপ্লব জাতীয় দলের কক্ষপথ থেকে সরে গেছেন আগেই। এখন ডিপিএলে খেলাও তাঁর কাছে বড় স্বপ্ন।
বিপ্লব জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলেছিলেন প্রায় ১৪ মাস আগে। মিরপুরে ২০২০ সালের ৯ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৭ টি–টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেটসংখ্যা ১০। এরপর দল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড গেলেও দলে সুযোগ পাননি তিনি। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল অসুস্থতার কারণে বিপ্লবকে নেওয়া হয়নি। সেই মার্চেই ঘরের মাঠে আয়ারাল্যান্ডের তরুণদের বিপক্ষে দুই টি–টোয়েন্টিতে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে এরপর আর সুযোগ হয়নি এই লেগ স্পিনারের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে জাতীয় দলের অনুশীলনেও যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লব। প্রথমদিকে প্রাথমিক দলে বিপ্লবের নাম না থাকলেও বিস্ময় জাগিয়ে পরে আবার প্রথম দুই ওয়ানডের অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আর নামা হয়নি তাঁর। তবে লঙ্কান স্পিনার হাসারাঙ্গা–সান্দাকানদের বিপক্ষে নেটে সাকিব–তামিমদের প্রস্তুত করতে রেখেছিলেন বড় অবদান। নিজেকে প্রস্তুত রাখা বিপ্লব হয়তো আশায় ছিলেন ডিপিএলে খেলবেন। কিন্তু লিগের প্রায় অর্ধেকটা গড়িয়ে গেলেও মাঠে তাঁর আর নামা হয়নি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বিপ্লব ও আরেক লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের খেলার বিষয়ে নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘যদি তাদের জাতীয় দলে কিছু দেওয়ার সামর্থ্য থাকে, অবশ্যই খেলবে। জাতীয় দল কারও তৈরি হওয়ার জায়গা নয়। এরা পরিণত হোক।’
পরিণত হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক আঙিনায় নামিয়ে দেওয়া, আবার কিছুদিনের মধ্যেই ছুড়ে ফেলার উদাহরণ দেশের ক্রিকেটে তো কম নেই। একদিকে লেগ স্পিনার নিয়ে যেমন আছে হা–হুতাশ। অন্যদিকে যাঁরা আছে পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না তারাও। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব তাদেরই একজন।
ঢাকা: টানা চার ম্যাচ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর খেলোয়াড় তালিকায় কোথাও পাওয়া গেল না আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের নাম। লিগ শুরুর আগে প্রায় এক মাস মাহমুদউল্লাহ–সৌম্যদের সঙ্গে অনুশীলনকরা লেগ স্পিনারের হলোটা কী? নাকি ঘরোয়া ক্রিকেটে দলগুলোর ‘লেগ স্পিনে অনাগ্রহে’র সংস্কৃতির শিকার হয়ে একাদশে জায়গা হচ্ছে না তাঁর? ম্যাচের পর ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকা বিপ্লবের কপালের ‘লিখন’ও কি জুবায়ের হোসেন লিখনের মতো হয়ে গেল—সেই প্রশ্ন চারপাশে!
লেগ স্পিন নিয়ে হা–হুতাশের মধ্যে বাংলাদেশ দলে বড় চমক হয়েই এসেছিলেন বিপ্লব। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকের আগে তাঁর ছিল না প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও। সেই ‘আনকোরা’ বিপ্লব অভিষেকে দারুণ বোলিং করে বেশ নজর কেড়েছিলেন।
অবশ্য অভিষেকের অনেক আগেই বিপ্লবে মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। বিপ্লবের অভিষেকের তিন মাস আগে মিনহাজুল তাঁর বিষয়ে সনদ দিয়েছিলেন এই বলে, ‘বিপ্লবের (আমিনুল) লেগ স্পিনটা অসাধারণ’। মিনহাজুলের সেই ‘অসাধারণ’ বিপ্লব জাতীয় দলের কক্ষপথ থেকে সরে গেছেন আগেই। এখন ডিপিএলে খেলাও তাঁর কাছে বড় স্বপ্ন।
বিপ্লব জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলেছিলেন প্রায় ১৪ মাস আগে। মিরপুরে ২০২০ সালের ৯ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৭ টি–টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেটসংখ্যা ১০। এরপর দল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড গেলেও দলে সুযোগ পাননি তিনি। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল অসুস্থতার কারণে বিপ্লবকে নেওয়া হয়নি। সেই মার্চেই ঘরের মাঠে আয়ারাল্যান্ডের তরুণদের বিপক্ষে দুই টি–টোয়েন্টিতে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে এরপর আর সুযোগ হয়নি এই লেগ স্পিনারের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে জাতীয় দলের অনুশীলনেও যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লব। প্রথমদিকে প্রাথমিক দলে বিপ্লবের নাম না থাকলেও বিস্ময় জাগিয়ে পরে আবার প্রথম দুই ওয়ানডের অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আর নামা হয়নি তাঁর। তবে লঙ্কান স্পিনার হাসারাঙ্গা–সান্দাকানদের বিপক্ষে নেটে সাকিব–তামিমদের প্রস্তুত করতে রেখেছিলেন বড় অবদান। নিজেকে প্রস্তুত রাখা বিপ্লব হয়তো আশায় ছিলেন ডিপিএলে খেলবেন। কিন্তু লিগের প্রায় অর্ধেকটা গড়িয়ে গেলেও মাঠে তাঁর আর নামা হয়নি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বিপ্লব ও আরেক লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের খেলার বিষয়ে নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘যদি তাদের জাতীয় দলে কিছু দেওয়ার সামর্থ্য থাকে, অবশ্যই খেলবে। জাতীয় দল কারও তৈরি হওয়ার জায়গা নয়। এরা পরিণত হোক।’
পরিণত হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক আঙিনায় নামিয়ে দেওয়া, আবার কিছুদিনের মধ্যেই ছুড়ে ফেলার উদাহরণ দেশের ক্রিকেটে তো কম নেই। একদিকে লেগ স্পিনার নিয়ে যেমন আছে হা–হুতাশ। অন্যদিকে যাঁরা আছে পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না তারাও। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব তাদেরই একজন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৫ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৬ ঘণ্টা আগে