রানা আব্বাস, নিউইয়র্ক থেকে
বিশাল যুক্তরাষ্ট্রের এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ছোটাছুটি করতে গিয়ে দলগুলো নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়েছে। ম্যাচ শেষে মাঠ থেকে হোটেলে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই ব্যাগপত্তর নিয়ে দ্রুত বিমান ধরার তাড়া থাকছে। এতে খেলোয়াড়দের ম্যাচের স্নায়ুচাপের মধ্যে এই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বিমান ধরার বাড়তি চাপও নিতে হচ্ছে।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে বিষয়টা নিয়ে বেশ বিরক্ত মনে হলো। গত পরশু নিউইয়র্কের কান্টিয়াগ পার্কে দলের অনুশীলন দেখতে আসা বিসিবির প্রধান নির্বাচকের কথায় মনে হলো, যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটই শুধু নয়, তাদের লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জটাও বেশ নিতে হচ্ছে।
বিশাল যুক্তরাষ্ট্রের এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ছোটাছুটি করতে গিয়ে দলগুলো নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়ছে। লিপু বলছিলেন, ম্যাচ শেষে মাঠ থেকে হোটেলে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই ব্যাগপত্তর নিয়ে দ্রুত বিমান ধরার তাড়া থাকছে। খেলোয়াড়দের ম্যাচের স্নায়ুচাপের মধ্যে এই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বিমান ধরার বাড়তি চাপও নিতে হচ্ছে। এতে যেন বাংলাদেশ দল হাঁপিয়েই উঠছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিনের উদাহরণ সামনে আনলেন লিপু। এই ম্যাচটা খেলার পর ছয় ঘণ্টার বিশ্রামও পাওয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চলে যেতে হবে বিমানবন্দরে। ধরতে হবে সেন্ট ভিনসেন্টের ফ্লাইট। ম্যাচ খেলার আগে তাই লাগেজ গোছানোর কাজটাও করে রাখতে হচ্ছে শান্তদের। এই তাড়াহুড়োয় দম ফেলার ফুরসত নেই।
শুধু বাংলাদেশ দলের নয়, এ ধরনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে বেশির ভাগ দলের। টুর্নামেন্টের শুরুতে যেমন শ্রীলঙ্কা গুরুতর অভিযোগ করেছিল বিষয়টি নিয়ে; মায়ামি থেকে নিউইয়র্কে আসতে ফ্লাইট ঝামেলার কারণে মায়ামি বিমানবন্দরে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলন বেশ তড়িঘড়ি সারতে হয়েছিল। ব্রুকলিনে যে হোটেলে লঙ্কান দল উঠেছিল, সেটা নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ধরতে হবে ডালাসের ফ্লাইট। ম্যাচ যখন শেষ হয়েছে, ততক্ষণে নিউইয়র্কে প্রায় বেলা ২টা বেজে গেছে।
মাঠ থেকে টিম হোটেলের দূরত্বের কারণে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তড়িঘড়ি করে আবাস পরিবর্তন করতে হয়েছিল পাকিস্তান দলকে। শুরুতে যে হোটেল পেয়েছিল পাকিস্তান, সেখান থেকে স্টেডিয়ামে যেতে সময় লাগত ৯০ মিনিট। বাংলাদেশের টিম হোটেল নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্বে।
মাত্র তিন মাসে নির্মিত নাসাউ কাউন্টিতে অবস্থিত আইজেনহাওয়ার পার্কের এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিউইয়র্ক শহর থেকে বেশ দূরে। এখানকার অপ্রতুল ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধার মধ্যে লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিপুর একটা পরামর্শ আছে আয়োজকদের প্রতি। ‘দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোর ম্যাচ কিছুটা কমিয়ে আইসিসি আরও সময় নিয়ে এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে। যে সময়ের মধ্যে তারা টুর্নামেন্ট শেষ করতে যাচ্ছে, তাতে আসলে দলগুলোর নিশ্বাস নেওয়ার সময় থাকে না’—সাংবাদিকদের সঙ্গে পরশু বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে এক আড্ডায় বলছিলেন লিপু।
অবশ্য সব দলেরই যে এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তা নয়। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোকে গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের এক স্টেট থেকে অন্য স্টেট কিংবা এক ক্যারিবীয় দ্বীপ থেকে আরেক ক্যারিবীয় দ্বীপে খুব একটা ছোটাছুটি করতে হয়নি। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন নিউইয়র্কেই খেলে ফেলল টানা তিনটি ম্যাচ। সেখানে বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তিনটি লং ডিসটেন্সের ভেন্যুতে। বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার ঝক্কি নিতে হচ্ছে। টুর্নামেন্টের সূচি তৈরির সময় সব ক্রিকেট বোর্ডের পরামর্শ বা পর্যবেক্ষণ চায় আইসিসি। আয়তনে বিশাল দেশ কিংবা একাধিক দেশের আয়োজনে হওয়া বেশির ভাগ জটিল সূচিতে বিসিবির যে খুব বেশি ‘ইনপুট’ থাকে না, তা সূচি দেখলেই পরিষ্কার।
আর সব দলের মতো বাংলাদেশের কাছে বিরাট ধাঁধা নিউইয়র্কের উইকেটও। মিরপুরের উইকেট যথেষ্ট মন্থর হলেও এতটা বিপজ্জনক অসম বাউন্স (চোটে পড়ার শঙ্কাও থাকছে) অন্তত নেই বলেই মনে করে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেট-সংস্কৃতি নেই এমন একটি জায়গায় বিশাল আয়োজন, এ ধরনের হ্যাঁপা তো নিতেই হবে। আজ থেকে বাংলাদেশের গন্তব্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানেও মাঠের বাইরের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো এতটা পরীক্ষা হয়তো দিতে হবে না ক্যারিবীয় দ্বীপে।
বিশাল যুক্তরাষ্ট্রের এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ছোটাছুটি করতে গিয়ে দলগুলো নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়েছে। ম্যাচ শেষে মাঠ থেকে হোটেলে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই ব্যাগপত্তর নিয়ে দ্রুত বিমান ধরার তাড়া থাকছে। এতে খেলোয়াড়দের ম্যাচের স্নায়ুচাপের মধ্যে এই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বিমান ধরার বাড়তি চাপও নিতে হচ্ছে।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে বিষয়টা নিয়ে বেশ বিরক্ত মনে হলো। গত পরশু নিউইয়র্কের কান্টিয়াগ পার্কে দলের অনুশীলন দেখতে আসা বিসিবির প্রধান নির্বাচকের কথায় মনে হলো, যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটই শুধু নয়, তাদের লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জটাও বেশ নিতে হচ্ছে।
বিশাল যুক্তরাষ্ট্রের এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ছোটাছুটি করতে গিয়ে দলগুলো নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়ছে। লিপু বলছিলেন, ম্যাচ শেষে মাঠ থেকে হোটেলে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই ব্যাগপত্তর নিয়ে দ্রুত বিমান ধরার তাড়া থাকছে। খেলোয়াড়দের ম্যাচের স্নায়ুচাপের মধ্যে এই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বিমান ধরার বাড়তি চাপও নিতে হচ্ছে। এতে যেন বাংলাদেশ দল হাঁপিয়েই উঠছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিনের উদাহরণ সামনে আনলেন লিপু। এই ম্যাচটা খেলার পর ছয় ঘণ্টার বিশ্রামও পাওয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চলে যেতে হবে বিমানবন্দরে। ধরতে হবে সেন্ট ভিনসেন্টের ফ্লাইট। ম্যাচ খেলার আগে তাই লাগেজ গোছানোর কাজটাও করে রাখতে হচ্ছে শান্তদের। এই তাড়াহুড়োয় দম ফেলার ফুরসত নেই।
শুধু বাংলাদেশ দলের নয়, এ ধরনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে বেশির ভাগ দলের। টুর্নামেন্টের শুরুতে যেমন শ্রীলঙ্কা গুরুতর অভিযোগ করেছিল বিষয়টি নিয়ে; মায়ামি থেকে নিউইয়র্কে আসতে ফ্লাইট ঝামেলার কারণে মায়ামি বিমানবন্দরে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলন বেশ তড়িঘড়ি সারতে হয়েছিল। ব্রুকলিনে যে হোটেলে লঙ্কান দল উঠেছিল, সেটা নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ধরতে হবে ডালাসের ফ্লাইট। ম্যাচ যখন শেষ হয়েছে, ততক্ষণে নিউইয়র্কে প্রায় বেলা ২টা বেজে গেছে।
মাঠ থেকে টিম হোটেলের দূরত্বের কারণে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তড়িঘড়ি করে আবাস পরিবর্তন করতে হয়েছিল পাকিস্তান দলকে। শুরুতে যে হোটেল পেয়েছিল পাকিস্তান, সেখান থেকে স্টেডিয়ামে যেতে সময় লাগত ৯০ মিনিট। বাংলাদেশের টিম হোটেল নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্বে।
মাত্র তিন মাসে নির্মিত নাসাউ কাউন্টিতে অবস্থিত আইজেনহাওয়ার পার্কের এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিউইয়র্ক শহর থেকে বেশ দূরে। এখানকার অপ্রতুল ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধার মধ্যে লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিপুর একটা পরামর্শ আছে আয়োজকদের প্রতি। ‘দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোর ম্যাচ কিছুটা কমিয়ে আইসিসি আরও সময় নিয়ে এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে। যে সময়ের মধ্যে তারা টুর্নামেন্ট শেষ করতে যাচ্ছে, তাতে আসলে দলগুলোর নিশ্বাস নেওয়ার সময় থাকে না’—সাংবাদিকদের সঙ্গে পরশু বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে এক আড্ডায় বলছিলেন লিপু।
অবশ্য সব দলেরই যে এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তা নয়। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোকে গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের এক স্টেট থেকে অন্য স্টেট কিংবা এক ক্যারিবীয় দ্বীপ থেকে আরেক ক্যারিবীয় দ্বীপে খুব একটা ছোটাছুটি করতে হয়নি। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন নিউইয়র্কেই খেলে ফেলল টানা তিনটি ম্যাচ। সেখানে বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তিনটি লং ডিসটেন্সের ভেন্যুতে। বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার ঝক্কি নিতে হচ্ছে। টুর্নামেন্টের সূচি তৈরির সময় সব ক্রিকেট বোর্ডের পরামর্শ বা পর্যবেক্ষণ চায় আইসিসি। আয়তনে বিশাল দেশ কিংবা একাধিক দেশের আয়োজনে হওয়া বেশির ভাগ জটিল সূচিতে বিসিবির যে খুব বেশি ‘ইনপুট’ থাকে না, তা সূচি দেখলেই পরিষ্কার।
আর সব দলের মতো বাংলাদেশের কাছে বিরাট ধাঁধা নিউইয়র্কের উইকেটও। মিরপুরের উইকেট যথেষ্ট মন্থর হলেও এতটা বিপজ্জনক অসম বাউন্স (চোটে পড়ার শঙ্কাও থাকছে) অন্তত নেই বলেই মনে করে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেট-সংস্কৃতি নেই এমন একটি জায়গায় বিশাল আয়োজন, এ ধরনের হ্যাঁপা তো নিতেই হবে। আজ থেকে বাংলাদেশের গন্তব্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানেও মাঠের বাইরের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো এতটা পরীক্ষা হয়তো দিতে হবে না ক্যারিবীয় দ্বীপে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। একসময় জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। অবসরের পর এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৫ ঘণ্টা আগে