রজত কান্তি রায়, ঢাকা
ব্যাপক ভিড় ঠেলতে ঠেলতে মীরপুর রোড ধরে এগিয়ে চলেছি ভাড়ার বাইকে সওয়ার হয়ে। জ্যৈষ্ঠের গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের সামনে রোগী, অ্যাম্বুলেন্স, বাইক, প্রাইভেট কার, বাস ইত্যাদির অসম দৌড় প্রতিযোগিতা খানিক বেশি বলে গতি মন্থর। হঠাৎ ফুটপাথ লাগোয়া হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের সীমানা প্রাচীরের একটি পিলারে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল। চার রঙে ছাপা কিংবা আর্টিস্টিক ক্যালিগ্রাফিতে বড় অক্ষরে লেখা নয়। অফহোয়াইট পিলারের ওপর সম্ভবত মোটা পেনসিলের কালো কালিতে লেখা আছে ‘একটি কিডনি বিক্রি করা হইবে রক্তের গ্রো (গ্রুপ) A+ পজিটিভ’। তার নিচে মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া।
বাইকারকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করে ফিরে গেলাম পিলারটির কাছে। একজন ভিক্ষুক সেখানে বসে ভিক্ষা করছেন। তাঁকে উপেক্ষা করে ছবি তুললাম। অফিসে এসে বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরটিতে কয়েকবার ফোন করলে সেটা বন্ধ পাওয়া গেল। ফলে জানা গেল না, কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া মানুষটি কেন কিডনি বিক্রি করতে চাচ্ছেন বা তাঁর প্রকৃত অবস্থা কী।
‘একটি কিডনি বিক্রি করা হইবে রক্তের গ্রো (গ্রুপ) A+ পজিটিভ’ যতি চিহ্নহীন এই নয় বা দশটি শব্দ যেকোনো মানুষের বুকে কাঁপন ধরাতে বাধ্য। দেশের বিদ্যমান আইনে শরীরের কোনো অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ বিক্রি নিষেধ। সেখানে মীরপুর রোডের মতো একটি ভীষণ ব্যস্ত রাস্তার পাশে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরে মোবাইল নম্বর দিয়ে কিডনি বিক্রির ঘোষণা দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। এই ঘটনা অনেকগুলো ইঙ্গিত দেয়। সব ইঙ্গিত বাদ দিয়ে যা বলার তা হলো, কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া মানুষটি কি সত্যি সেটা বিক্রি করে দিয়েছেন?
ব্যাপক ভিড় ঠেলতে ঠেলতে মীরপুর রোড ধরে এগিয়ে চলেছি ভাড়ার বাইকে সওয়ার হয়ে। জ্যৈষ্ঠের গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের সামনে রোগী, অ্যাম্বুলেন্স, বাইক, প্রাইভেট কার, বাস ইত্যাদির অসম দৌড় প্রতিযোগিতা খানিক বেশি বলে গতি মন্থর। হঠাৎ ফুটপাথ লাগোয়া হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের সীমানা প্রাচীরের একটি পিলারে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল। চার রঙে ছাপা কিংবা আর্টিস্টিক ক্যালিগ্রাফিতে বড় অক্ষরে লেখা নয়। অফহোয়াইট পিলারের ওপর সম্ভবত মোটা পেনসিলের কালো কালিতে লেখা আছে ‘একটি কিডনি বিক্রি করা হইবে রক্তের গ্রো (গ্রুপ) A+ পজিটিভ’। তার নিচে মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া।
বাইকারকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করে ফিরে গেলাম পিলারটির কাছে। একজন ভিক্ষুক সেখানে বসে ভিক্ষা করছেন। তাঁকে উপেক্ষা করে ছবি তুললাম। অফিসে এসে বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরটিতে কয়েকবার ফোন করলে সেটা বন্ধ পাওয়া গেল। ফলে জানা গেল না, কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া মানুষটি কেন কিডনি বিক্রি করতে চাচ্ছেন বা তাঁর প্রকৃত অবস্থা কী।
‘একটি কিডনি বিক্রি করা হইবে রক্তের গ্রো (গ্রুপ) A+ পজিটিভ’ যতি চিহ্নহীন এই নয় বা দশটি শব্দ যেকোনো মানুষের বুকে কাঁপন ধরাতে বাধ্য। দেশের বিদ্যমান আইনে শরীরের কোনো অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ বিক্রি নিষেধ। সেখানে মীরপুর রোডের মতো একটি ভীষণ ব্যস্ত রাস্তার পাশে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরে মোবাইল নম্বর দিয়ে কিডনি বিক্রির ঘোষণা দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। এই ঘটনা অনেকগুলো ইঙ্গিত দেয়। সব ইঙ্গিত বাদ দিয়ে যা বলার তা হলো, কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া মানুষটি কি সত্যি সেটা বিক্রি করে দিয়েছেন?
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২০ দিন আগেফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ দিন আগেকথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪