নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাংসের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে চাঁদাবাজির ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বক্তব্যের কারণে সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। তবে রাতারাতি অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
চাঁদাবাজির কারণে গরুর মাংসের দাম এখন ৮০০ টাকা কেজি—এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাঁদাবাজি একটা বিষয় অবশ্যই আছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠিন বক্তব্য রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। একটা বিষয় শুরু হলে রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে এমন তো ভাবার কোনো কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলার পর সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। যার যে দায়িত্ব আছে, পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সবাই সবার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। অর্থনীতিতে যখন সংকট হবে, তখন দ্রব্যমূল্য, বাজার ওঠানামা করে। ওঠানামা করাটা বাজারের ধর্ম। অপেক্ষা করেন, আপনাদের তো না খাইয়ে রাখেনি, দেশের মানুষ খেতে পারছে। একটা মানুষও না খেয়ে মরেনি। দেশের মানুষ অনেক ভালো আছে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে কোনো আশঙ্কা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণ প্রমাণ করে তারা এত উসকানি, এত আন্দোলন যে বাংলাদেশ উত্তাল সাগর হয়ে যাবে, এসবের পর তাদের ওই পিকনিক পার্টি-সমাবেশের নামে সেখানে জনগণ প্রলুব্ধ হয়নি। প্ররোচিতও হয়নি। দেশের জনগণ সারা বিশ্বের খবর রাখে। সারা বিশ্বের সব খবর নিয়ে গ্রামে চায়ের দোকানে রীতিমতো গবেষণা হয়। মানুষ বোঝে এখানে সরকারের দোষ নেই। বিশ্বে যে সংকট দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সেই দ্রব্যমূল্য বাংলাদেশের একার নয়। সারা দুনিয়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পৃথিবীর একটা দেশ দেখান, যেখানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আমরা আশা করি সামনের রমজানেও জিনিসপত্র এভেইলেবল থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমেরিকা ফিরে গিয়ে কী বলবে তা নিয়ে স্পেকুলেশনের কোনো প্রয়োজনীয়তা কি আমাদের আছে? আমরা বুঝব কী বলে গেছেন। আবার আমেরিকায় গিয়ে কী বলবেন, সে সব নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন তো আমাদের নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন, একটা কথা বলে রাখি, আমরা বিদেশি বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই, বন্ধুর পরিবর্তে যারা প্রভুর ভূমিকায় আসতে চান, সে প্রভুর দাসত্ব আমরা মানি না। এটাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি।’
বিএনপির সাথে মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক করলেও আওয়ামী লীগের সাথে করেনি—এটাকে কোনো সংকট মনে করছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো সংকটের কথা বলেনি, কেন বলবে? বিএনপির সাথে তাদের বৈঠক করা নির্বাচনের আগে একটা পরিস্থিতি ছিল। তখন এই বৈঠক সরকারি দল, বিরোধী দল সংশ্লিষ্ট সবার সাথে করার দরকার ছিল। এখন তারা মূলত এসেছে সরকারের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে। তাদের সঙ্গে একটা বৈঠক করেছে। তাদের মতামত বা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের কী ওপিনিয়ন, তাদের কী ভিউজ, সেটা জানাটা তারা যৌক্তিক মনে করেছে। সে কারণে বৈঠক করেছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সে-ও তো আমাদের দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টার সাথেও তারা কথা বলেছে। কাজেই এখানে কোনো ঘাটতি আছে এটা আমরা মনে করছি না।’
গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ, ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করের বিষয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ব সংকটের কারণে সারা দুনিয়াতেই এখন অর্থসংকট প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ঋণ আগের তুলনায় বাড়তে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ এ যাবৎ ঋণখেলাপি হওয়ার কোনো রেকর্ড রাখেনি। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আমরা ঋণখেলাপি থাকব না, এটুকু বলতে পারি।’
মাংসের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে চাঁদাবাজির ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বক্তব্যের কারণে সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। তবে রাতারাতি অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
চাঁদাবাজির কারণে গরুর মাংসের দাম এখন ৮০০ টাকা কেজি—এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাঁদাবাজি একটা বিষয় অবশ্যই আছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠিন বক্তব্য রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। একটা বিষয় শুরু হলে রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে এমন তো ভাবার কোনো কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলার পর সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। যার যে দায়িত্ব আছে, পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সবাই সবার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। অর্থনীতিতে যখন সংকট হবে, তখন দ্রব্যমূল্য, বাজার ওঠানামা করে। ওঠানামা করাটা বাজারের ধর্ম। অপেক্ষা করেন, আপনাদের তো না খাইয়ে রাখেনি, দেশের মানুষ খেতে পারছে। একটা মানুষও না খেয়ে মরেনি। দেশের মানুষ অনেক ভালো আছে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে কোনো আশঙ্কা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণ প্রমাণ করে তারা এত উসকানি, এত আন্দোলন যে বাংলাদেশ উত্তাল সাগর হয়ে যাবে, এসবের পর তাদের ওই পিকনিক পার্টি-সমাবেশের নামে সেখানে জনগণ প্রলুব্ধ হয়নি। প্ররোচিতও হয়নি। দেশের জনগণ সারা বিশ্বের খবর রাখে। সারা বিশ্বের সব খবর নিয়ে গ্রামে চায়ের দোকানে রীতিমতো গবেষণা হয়। মানুষ বোঝে এখানে সরকারের দোষ নেই। বিশ্বে যে সংকট দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সেই দ্রব্যমূল্য বাংলাদেশের একার নয়। সারা দুনিয়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পৃথিবীর একটা দেশ দেখান, যেখানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আমরা আশা করি সামনের রমজানেও জিনিসপত্র এভেইলেবল থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমেরিকা ফিরে গিয়ে কী বলবে তা নিয়ে স্পেকুলেশনের কোনো প্রয়োজনীয়তা কি আমাদের আছে? আমরা বুঝব কী বলে গেছেন। আবার আমেরিকায় গিয়ে কী বলবেন, সে সব নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন তো আমাদের নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন, একটা কথা বলে রাখি, আমরা বিদেশি বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই, বন্ধুর পরিবর্তে যারা প্রভুর ভূমিকায় আসতে চান, সে প্রভুর দাসত্ব আমরা মানি না। এটাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি।’
বিএনপির সাথে মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক করলেও আওয়ামী লীগের সাথে করেনি—এটাকে কোনো সংকট মনে করছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো সংকটের কথা বলেনি, কেন বলবে? বিএনপির সাথে তাদের বৈঠক করা নির্বাচনের আগে একটা পরিস্থিতি ছিল। তখন এই বৈঠক সরকারি দল, বিরোধী দল সংশ্লিষ্ট সবার সাথে করার দরকার ছিল। এখন তারা মূলত এসেছে সরকারের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে। তাদের সঙ্গে একটা বৈঠক করেছে। তাদের মতামত বা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের কী ওপিনিয়ন, তাদের কী ভিউজ, সেটা জানাটা তারা যৌক্তিক মনে করেছে। সে কারণে বৈঠক করেছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সে-ও তো আমাদের দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টার সাথেও তারা কথা বলেছে। কাজেই এখানে কোনো ঘাটতি আছে এটা আমরা মনে করছি না।’
গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ, ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করের বিষয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ব সংকটের কারণে সারা দুনিয়াতেই এখন অর্থসংকট প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ঋণ আগের তুলনায় বাড়তে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ এ যাবৎ ঋণখেলাপি হওয়ার কোনো রেকর্ড রাখেনি। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আমরা ঋণখেলাপি থাকব না, এটুকু বলতে পারি।’
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৩৮ মিনিট আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৬ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে