নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন, তাঁকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আয়োজিত ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল—জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ফয়জুল হাকিম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণা করেন। এতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি কমরেড বদরুদ্দীন উমর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর গণদুশমন, ফ্যাসিবাদের দোসর, খুনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি অনেকে পালিয়ে গেছেন। কীভাবে তাঁরা পালিয়ে যান, কারা তাঁদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন—তাঁদের কি চিহ্নিত করা হয়েছে?’
অন্তর্বর্তী সরকারে মেহনতি মানুষের প্রতিনিধি নেই জানিয়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের এই নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর এই সরকার গঠিত হলে এই সংগ্রামে যারা নিহত হয়েছেন, প্রতিরোধ যাঁরা গড়ে তুলেছিলেন, বিশেষ করে যাঁরা গরিব মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ, মেহনতি মানুষ, তাঁদের একটা প্রতিনিধিত্ব থাকত। কিন্তু আমরা দেখেছি, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত শ্রমজীবী জনগণ তাঁরা মুক্তি কোন পথে, তার সন্ধান করছেন।’
সংবিধান বিষয়ে ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘এই জনপদে বহু আন্দোলন হয়েছে। সংবিধান পড়লে মনে হয়, শুধু পাকিস্তান আমলে আন্দোলন হয়েছে। ইতিহাসের পাতা খুলে দেখুন, ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসনের বিরুদ্ধে কত কৃষক বিদ্রোহ হয়েছে, কত ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ হয়েছে, তিতুমীরের বিদ্রোহ হয়েছে! ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই, এই সংবিধান পড়লে তো বোঝা যায় না। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের জন্য। সংবিধান সভার নির্বাচন দিতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণকে সমান অধিকার দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি মঈনউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন, তাঁকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আয়োজিত ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল—জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ফয়জুল হাকিম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণা করেন। এতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি কমরেড বদরুদ্দীন উমর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর গণদুশমন, ফ্যাসিবাদের দোসর, খুনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি অনেকে পালিয়ে গেছেন। কীভাবে তাঁরা পালিয়ে যান, কারা তাঁদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন—তাঁদের কি চিহ্নিত করা হয়েছে?’
অন্তর্বর্তী সরকারে মেহনতি মানুষের প্রতিনিধি নেই জানিয়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের এই নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর এই সরকার গঠিত হলে এই সংগ্রামে যারা নিহত হয়েছেন, প্রতিরোধ যাঁরা গড়ে তুলেছিলেন, বিশেষ করে যাঁরা গরিব মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ, মেহনতি মানুষ, তাঁদের একটা প্রতিনিধিত্ব থাকত। কিন্তু আমরা দেখেছি, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত শ্রমজীবী জনগণ তাঁরা মুক্তি কোন পথে, তার সন্ধান করছেন।’
সংবিধান বিষয়ে ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘এই জনপদে বহু আন্দোলন হয়েছে। সংবিধান পড়লে মনে হয়, শুধু পাকিস্তান আমলে আন্দোলন হয়েছে। ইতিহাসের পাতা খুলে দেখুন, ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসনের বিরুদ্ধে কত কৃষক বিদ্রোহ হয়েছে, কত ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ হয়েছে, তিতুমীরের বিদ্রোহ হয়েছে! ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই, এই সংবিধান পড়লে তো বোঝা যায় না। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের জন্য। সংবিধান সভার নির্বাচন দিতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণকে সমান অধিকার দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি মঈনউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৭ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৮ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৯ ঘণ্টা আগে