নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়ের করা কর ফাঁকি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের দায়ের করা চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক রেজাউল করিম ও ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে অব্যাহতির আদেশ দেন।
কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এনবিআরের দায়ের করা কর ফাঁকির মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য দিন ছিল আজ বুধবার। তবে মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত বলে উল্লেখ করেন বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক। এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কোনো উপাদান নেই বলেও জানান তিনি। পরে এ মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই ঢাকার কর অঞ্চল-৬–এর উপকর-কমিশনার সামিয়া আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এতে বলা হয়, তারেক রহমান ২০০২ থেকে ২০০৬ সালের বিভিন্ন অর্থবছরে বিভিন্ন খাত থেকে ১ কোটি ৪৭ হাজার টাকা আয় করেন। এর ওপর ধার্যকৃত ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা কর ফাঁকি দেন তিনি।
তারেক রহমান দেশে উপস্থিত না থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেন।
চাঁদাবাজির মামলা থেকে অব্যাহতি
চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ আটজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ আটজনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া বাকিরা হলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।
মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে বাদী ওই মামলা দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিদের তিনি চিনতেন না। চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এ মামলা দায়ের করতে বাধ্য করা হয় বলে তদন্তে জানা যায়। তদন্তে এবং সাক্ষ্য–প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে, তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেক রহমান একের পর এক মামলায় অব্যাহতি পাচ্ছেন। গত ২৪ নভেম্বর গাজীপুরের একটি বিস্ফোরক মামলা ও ২০ নভেম্বর শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় গাজীপুরের দুটি পৃথক আদালত তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর নোয়াখালীর দুটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অব্যাহতি দেন নোয়াখালীর একটি আদালত। এ ছাড়া ঢাকার দুটি আদালতে দায়ের করা দুটি মামলা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় সম্প্রতি। চারটি চাঁদাবাজির মামলাও হাইকোর্ট বাতিল করেন এর মধ্যে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়ের করা কর ফাঁকি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের দায়ের করা চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক রেজাউল করিম ও ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে অব্যাহতির আদেশ দেন।
কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এনবিআরের দায়ের করা কর ফাঁকির মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য দিন ছিল আজ বুধবার। তবে মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত বলে উল্লেখ করেন বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক। এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কোনো উপাদান নেই বলেও জানান তিনি। পরে এ মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই ঢাকার কর অঞ্চল-৬–এর উপকর-কমিশনার সামিয়া আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এতে বলা হয়, তারেক রহমান ২০০২ থেকে ২০০৬ সালের বিভিন্ন অর্থবছরে বিভিন্ন খাত থেকে ১ কোটি ৪৭ হাজার টাকা আয় করেন। এর ওপর ধার্যকৃত ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা কর ফাঁকি দেন তিনি।
তারেক রহমান দেশে উপস্থিত না থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেন।
চাঁদাবাজির মামলা থেকে অব্যাহতি
চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ আটজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ আটজনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া বাকিরা হলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।
মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে বাদী ওই মামলা দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিদের তিনি চিনতেন না। চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এ মামলা দায়ের করতে বাধ্য করা হয় বলে তদন্তে জানা যায়। তদন্তে এবং সাক্ষ্য–প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে, তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেক রহমান একের পর এক মামলায় অব্যাহতি পাচ্ছেন। গত ২৪ নভেম্বর গাজীপুরের একটি বিস্ফোরক মামলা ও ২০ নভেম্বর শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় গাজীপুরের দুটি পৃথক আদালত তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর নোয়াখালীর দুটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অব্যাহতি দেন নোয়াখালীর একটি আদালত। এ ছাড়া ঢাকার দুটি আদালতে দায়ের করা দুটি মামলা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় সম্প্রতি। চারটি চাঁদাবাজির মামলাও হাইকোর্ট বাতিল করেন এর মধ্যে।
দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামগ্রিকভাবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৩২ মিনিট আগে৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়েছে এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদেশে বিপন্ন অবস্থায় আছে বলে ক্রমাগত প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিস
৩ ঘণ্টা আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন অব্যাহতির এ আদেশ দেন
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রি
৪ ঘণ্টা আগে