কর ফাঁকি ও চাঁদাবাজির দুই মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৪
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ০৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়ের করা কর ফাঁকি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের দায়ের করা চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক রেজাউল করিম ও ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে অব্যাহতির আদেশ দেন।

কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এনবিআরের দায়ের করা কর ফাঁকির মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য দিন ছিল আজ বুধবার। তবে মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত বলে উল্লেখ করেন বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক। এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কোনো উপাদান নেই বলেও জানান তিনি। পরে এ মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই ঢাকার কর অঞ্চল-৬–এর উপকর-কমিশনার সামিয়া আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এতে বলা হয়, তারেক রহমান ২০০২ থেকে ২০০৬ সালের বিভিন্ন অর্থবছরে বিভিন্ন খাত থেকে ১ কোটি ৪৭ হাজার টাকা আয় করেন। এর ওপর ধার্যকৃত ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা কর ফাঁকি দেন তিনি।

তারেক রহমান দেশে উপস্থিত না থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেন।

চাঁদাবাজির মামলা থেকে অব্যাহতি

চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ আটজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।

চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ আটজনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া বাকিরা হলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে বাদী ওই মামলা দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিদের তিনি চিনতেন না। চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এ মামলা দায়ের করতে বাধ্য করা হয় বলে তদন্তে জানা যায়। তদন্তে এবং সাক্ষ্য–প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে, তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেক রহমান একের পর এক মামলায় অব্যাহতি পাচ্ছেন। গত ২৪ নভেম্বর গাজীপুরের একটি বিস্ফোরক মামলা ও ২০ নভেম্বর শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় গাজীপুরের দুটি পৃথক আদালত তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর নোয়াখালীর দুটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অব্যাহতি দেন নোয়াখালীর একটি আদালত। এ ছাড়া ঢাকার দুটি আদালতে দায়ের করা দুটি মামলা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় সম্প্রতি। চারটি চাঁদাবাজির মামলাও হাইকোর্ট বাতিল করেন এর মধ্যে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত